অহংকার
সকালে নড়ে চড়ে বসলো তক্তা
এক দিস্তা অহংকার জমা হয়ে আছে।
লাল শালুতে মোড়া জাবদা খাতায়
কয়েকটা মৃত্যুর হিসাব।
তাতে ঋজু বেশ কিছু অক্ষর সন তারিখ...
দাদুর দেওয়া কালি আর দোয়াত রাখা একপাশে
যাতে স্বরবর্ণ লিখতে শিখেছিলো
আমার বাবা কাকা দাদা।
আমি লিখতে বসে দেখছি সেই অহংকার
অহংকারের নাম বাংলা।
আমার চোদ্দ পুরুষের ভাষা।
ভাষার জন্য
কাঁটাতার থাকে ছেঁড়া ছেঁড়া যদি দু-দেশের মাঝামাঝি
ভাষায় ভাষায় হাত ধরাধরি ঢেউ এর কাছাকাছি।
বাঁচার জন্য গান বাঁধি আমি স্বপ্নের উত্তাপ
আমার গানেতে ভরে থাকবেই প্রেমিকার সন্তাপ।
আমার ভাষাতে মুর্শিদ চাচা ভাটিয়ালি সুর গঙ্গে
উত্তাল হবে স্লোগান মিছিল আমার ভাষার বঙ্গে।
হাত পেতে থাকি চন্নমেত্ত দু একফোঁটায় ধন্য
কাঁটাতার কেটে ভাসা চরাচর মাতৃভাষার জন্য।