১.রাধা
এইসব গভীর রাতের কাছে একা বসে থাকি। চারিদিক থেকে খসখসে এই পাতার শব্দে মনে হয় তুমিও জেগে আছ কতকাল! ঘুমের চোখ থেকে নামছে রিংটোনের গান। শব্দের লোভে আমি জলের কাছে ছুটি। পাথরে ঠোক্কর খেয়ে কুচিকুচি চাঁদ ছড়িয়ে আছে দলমা জুড়ে। হাতির শুঁড়ে অরণ্যের পলাশ, প্রেমের যাপন। পাতা হয়ে থাকে হাত। বিস্তৃত স্বপ্নে আঙ্গিক পেতে বসে হলুদ চুলের মেয়ে। বসন্ত কোন পরপুরুষের নাম ভেবে , মুরলীমুরজ কেমন বাজছে দেখো শীতের সরীসৃপে!
২. অন্নপূর্ণা
একেকদিন অদৃশ্য রোদ ফাঁদ পেতে ধরে। কিছু মুহূর্তের কথা ভোলাতে তুমিও, ঘোরাও জাদুছড়ি। সরে যায় জোয়ারের জল, মৃদু, বালিজুড়ে ফুটে ওঠে ম্লান বালকের মুখ। হাততালি বাজে। নারীর সামান্য সোহাগ, ছড়িতে ভরে ছুঁড়ে দাও দর্শকের প্রতি। বোঝে তারা, একটি মুগ্ধ জাদুঘরে কিভাবে মেশাও খুচরো পয়সা, ঘরের অভাব। সবটুকু জেনে চুপ থাকে; অভিনয় শেখে সেও। তখনই মঞ্চে আলো জ্বলে। সাদা পায়রা বেরিয়ে পড়ে ছেঁড়া ফতুয়ার ফাঁক থেকে...
নিরুপায় তুমি, অসহায় ঢঙে চিৎকার করে বল --- এই দানা পানি, পোষমানা, বিশ্বাসঘাতক; সবটুকু যথাসাধ্য ছিল! বাকি যত কিছু শব্দ কবিতা অক্ষর-- পরাবাস্তব! পরাবাস্তব...
৩. পটুয়াপাড়ার ঈশ্বরী
একদিন একদিন, আমার খুব প্রতিমা হতে ইচ্ছে করে। তোমার হাত খেলা করছে খড়ের শরীরে, শিল্পলোভে। আর আমি মাটি মেখে, রঙ মেখে, এলোচুলে জ্যান্ত হয়ে উঠছি ক্রমশ।
চোখ ভেসে যাচ্ছে জলে। তোমার দৃশ্য হারিয়ে যাচ্ছে জলে। আর নিজেকে বসিয়ে নিচ্ছ পিতার আসনে। অথচ জানোনা, সকল মেয়েরা পিতাকেই জীবনের প্রথম পুরুষ ভেবে বসে।