১. রং
বসন্ত, তুমি আজ এসো নতুন সুরে,
যাও রাস্তার ঐ ছেলেটার মুখে একটু
হাসি এনে দাও।
যে অভাগীর কোল শূন্য,
অথচ সে চেয়েছিল কিছুটা পুণ্য,
যাও তাকে তার প্রাপ্য ফিরিয়ে দাও।
ঘরের ভেতরে বন্দী সেই অপেক্ষারত প্রেমিক,
জানিনা কতবার তার কলম মুখ থুবড়ে
পড়েছে চিঠি লিখতে লিখতে।
দিন চোখের সামনে বেমালুম পেরিয়ে
গেছে জানালার গরাদ দিয়ে !
জ্বরের সময় তার জলপট্টির দরকার হয় খুব।
দেখেছ, তার শরীরে কেমন ঘুণ ধরেছে
অপেক্ষা করতে করতে?
বসন্ত, যাও খবর পাঠাও মরশুমের,
বাতাস কে বলো তার কুশল বিনিময়ের
আলাপ পৌঁছে দিতে।
মানতের সুতো এখনও ঠিক আছে আঙুলে বাঁধা।
পলাশ, তোমার কোনো নিজস্ব পরিচয় নেই,
না তোমার আছে কোনো স্থায়ীত্ব, কৃষ্ণচূড়া,
সবাই তো একদিন মাটি স্পর্শ করে ঠোঁটে।
বসন্ত, তোমার কোনোদিন মৃত্যু নেই
যতদিন রং আছে, আছে ভালোবাসা।
তাদের জন্য তোমার অমরত্ব হল শ্রেষ্ঠ উপহার।
সত্তার অদৈত্ব প্রকাশ করার জন্য তুমি
বারবার নতুন জন্ম পাবে। তাতেই পৃথিবীর শান্তি।
২. বারে বারে ফিরে যাও কেন ?
বারে বারে ফিরে যাও কেন ?
তরঙ্গ ছড়িয়ে যায়, যাচ্ছে, যাবে।
তাদের খুঁজতে যাও কেন ?
বারে বারে ফিরে যাও কেন ?
আজও সেই নদী কলহাস্য করে,
সকলেই ভাবে সে পাগলী, মাথায় ছিট।
কারণ নেই, অকারণ নেই, শুধু হাসে।
আসলে তার জন্য এক দিন বরাদ্দ ছিল।
ও উন্নাসিক ! তার স্রোতে কেবল হাত ছুঁয়ে
তুমি বারে বারে ফিরে যাও কেন ?
হাতের মুঠো আর একটু ক্ষণ রাখো।
তালুতে রাখো আরেকটু আনন্দ, উত্তাপ।
জীবন তো কর্পূরের মতো,
একটু একটু উবে যেতে থাকে।
তাকে একা করে যাও কেন ?
বারে বারে ফিরে যাও কেন ?
চেনা বাতাস ফিরে আসে,
আহ্বান জানায়, এসো।