আধেকজান
(পর্ব # ১১)
তবুও যেটুকু ছিল সমীরণ, সে থাকাটুকুও তো অ্যাডভোকেট সুজিত মুখার্জীর নামের গুণেই। না হলে হয়তো তার নাম মুছে যেত সেই সত্তরের অন্ধকার সকালে। যেমন সুশাসনের দোহাই-- সে সময়ের অন্য আরও অনেক বিপ্লবী উবে গিয়েছিল। ভাবে উদ্দালক। আগ্নেয় গল্পগুলো তো সব কালে সব দেশে একই। স্বাধীনতা বা মানুষের শোষণমুক্তির স্বপ্ন—তোমার মন যদি সংবেদী হয়, সে স্বপ্নে তুমি ভাসতে বাধ্য। প্রত্যক্ষে বা পরোক্ষে। আর প্রত্যক্ষ রাজনীতির নিজস্ব চলন আছে। আছে তার সপ্রাণ আকর্ষ। সে আকর্ষণের মন্ত্র—চরৈবেতি। হয় এগিয়ে যাও, নয় নিশ্চিহ্ন হও। থেমে থাকার কোনো সুযোগ নেই সে যাত্রাপথে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সমীরণও নকশালবাড়ির আদর্শে মানব-মুক্তির স্বপ্নে পথ ভেঙেছিল। সে পথ সে-রাজনীতির নিয়মে পৌঁছে দিয়েছিল তাকে বীরভূমের তখনকার বিহার ঘেঁষা এক গ্রামে—গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার কৌশলে। আর রাষ্ট্র মনে তো নিথর মাটি নয়, বরং উদ্ধত শক্তি, কায়েমী স্বার্থের স্থিতাবস্থার পন্থী। তুমি সে শক্তির গায়ে আঁচড় কাটলে সেও তো তার দাঁত-নখ বার করবেই। হ্যাঁ, তার গণতান্ত্রিক থাবার আড়ালেই। সত্তরের গল্প তো সবার জানা। রাষ্ট্র যথারীতি গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সে আগুনে গাথা। আগুন নিভে গেলেও ছাইচাপা সে আগ্নেয় আলপনার দাগ পুরোপুরি মুছে যায় না বোধহয়, ধিকিধিকি জ্বলতেই থাকে, যেন বা জন্মদাগ। ভাবে উদ্দালক। তবে তার বাবা নিজেকে এমন গুটিয়ে নিয়েছিল কেন?
যখন অন্য সহযোদ্ধারা জেলে অত্যাচারিত বিনা বিচারে, বিচারের নামে প্রহসনে—তখন তার একাকী হঠাত্ মুক্তিতে সদ্যযুবা, অগ্নিশুদ্ধ সমীরণ কি লজ্জা পেয়েছিল? সহকর্মীদের চোখে ছোটো হয়ে যাবার লজ্জা? বন্ধুরা তাকে যদি বিশ্বাসঘাতক ভাবে, তাই নিজেকে গুটিয়ে নেওয়া? হ্যাঁ, সমীরণও এক সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে। কিন্তু দু-দিন পরেই পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়। তখনকার পুলিশি কায়দায় ভ্যানে করে অন্ধকার ফাঁকা জায়গায় নিয়ে গিয়ে ছেড়ে দেওয়া বা ছেড়ে দেওয়ার নামে পেছন থেকে গুলি করে একেবারে মুক্ত করে দেওয়া নয়। বরং তার ক্ষেত্রে এ নিয়মের ব্যতিক্রমে পুলিশ তাকে লকআপ থেকে ডেকে আনে। সে ভেবেছিল জিজ্ঞাসাবাদের নামে তার ওপর আর একদফা আড়ং ধোলাই হবে বোধহয়! কিন্তু সে অবাক হয় যখন দেখে যে তার পর-অধীন সে পথ বাঁক নেয় থানার অফিসের দিকে! অবশেষে নাগরিক সুরক্ষাদায়ী সে-অফিসে পা দিতেই অন্য বাস্তবতা ঢেকে নেয় তাকে। দেখে তার বাবা বসে আছে সেখানে। মুহূর্তে সব ছবি আলো পায় সমীরণের মনে। দুঁদে উকিল সুজিত মুখার্জির পরাক্রমী হাতের কালো ছায়া স্পষ্ট হয়ে ফুটে ওঠে তার চেতনায়। যে ছায়ায় লেপ্টে থাকে সে সময়ের অনেকানেক মন্ত্রী-আমলার সঙ্গে তার বাবার কেজো সখ্যতা। কুঁকড়ে যায় সে লজ্জায়, ঘৃণায়। না, সে ক্ষণে সে মনের বাইরে কোনও বাহ্যিক প্রতিক্রিয়া দেখায় না। তা নেহাতই নাটকীয় হয়ে উঠবে জেনে। যদিও পরবর্তিতে সে উপলব্ধি করেছে সেদিনের সে কাজে যা ছিল তা এক পিতার সন্তানের প্রতি স্নেহের দায়ই শুধু।
সে সময় যখন বিপ্লব মুখ থুবড়ে পড়েছিল, তখন তো অনেকেই এ রকমভাবে ছাড়া পেয়েছিল। মুচলেকা দিয়ে, এমন কি দলের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার বিনিময়েও। তবে সমীরণ মুখার্জী নিজেকে সারা জীবন খোলসের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিল কেন? ভাবনা শেষ হতে চায় না উদ্দালকের। প্রথমদিকে না হয় পুলিশের কঠোর নির্দেশ ছিল বাড়ির বাইরে পা না দেওয়ার। হয়তো অকারণ প্রাণ যাওয়ারও আশঙ্কা ছিল অসফল বিপ্লবে শতধা বিচ্ছিন্ন পার্টির কোনও উপদলের হাতে, বা শাসকদলের লুম্পেনি নকশাল ভেকের ‘কংসাল’ ঘাতকের হাতে। কিন্তু সব ভয়-আশঙ্কাকে জয় করেই তো সে বিপ্লবস্বপ্নে রাঙিয়েছিল নিজেকে! তবে? না, কোনো উত্তর জানা নেই উদ্দালকের। তবে কি বিপ্লবের আগুন জ্বলতে না জ্বলতেই তার নিভে যাওয়া, নেতৃত্বের বালকসুলভ বিপ্লবী রোমান্টিসিজম, মাটি-মানুষকে না জানা—এ সবই কি মানুষটার নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার কারণ ছিল, সারা জীবনের জন্য! তাহলে সে দায় তো সমীরণ মুখার্জ্জীরও। সে তো নাবালক, অবোধ ছিল না! না কি, নেতৃত্বের পরস্পরিক বিশ্বাসহীনতা? সে শিক্ষা নিয়ে পরবর্তীসময়েও রাজনীতি না হোক, অন্য কোনও সামাজিক সংগ্রামেও তো নিজেকে জড়িয়ে নিতে পারত সে? কিংবা কিছু না করেই স্বাভাবিক জীবনযাত্রা, যেমন অন্য সকল মানুষ যাপন করে? উদ্দালক নিজেও তো তাই-ই। ভাবে উদ্দালক। এক বছর পরে সে তো আবারও বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিল মানুষটা, যাদবপুরেই। যদিও আর্টস, পলিটিকাল সায়েন্স, যাদবপুরে যা ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন। মাষ্টার করে স্কুলে চাকরি। নাকি সে স্কুলের চাকরিতেও সুজিত মুখার্জীর প্রবল হাতের ছোঁয়া ছিল, তাই! জানে না, জানে না উদ্দালক।
আরও একটা কথা বুঝতে পারে না উদ্দালক। অব-সামাজিক জীবনই যখন কাটাবে বলে ভেবে রেখেছিল, বা মনের সে অন্ধকার কন্দর থেকে বেরিয়ে আসতে পারছিলই না, তখন বিয়ে কেন করেছিল তার বাবা? সত্যিকার অর্থেই তো শিক্ষিত ছিল সে। তবে কি তার বাবা কোথাও একটা ছায়া খুঁজেছিল? একান্ত আপন নারীর আশ্রয়, যা বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠান দেয়? কিন্তু তখন তো তার ঠাকুরমা, বাবার মা তো বেঁচেই ছিল। মায়ের আশ্রয় কি সে শুশ্রূষার জন্য যথেষ্ঠ ছিল না? কই তার ঠাকুরমার সম্পর্কে তো কোনও বিরূপ কথা শোনে নি সে তার মায়ের কাছে? তাহলে...! নাকি সে আশ্রয় মনের মানুষের কাছেই পাওয়া যায় শুধু! রাতকে ছিঁড়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলে উদ্দালক। আম্রপালির কথা মনে ভেসে আসে তার। আলো-ছায়ার কাটাকুটি খেলা তার অবচেতন মনে তখন।
কিন্তু অপর্ণা, তার মা! উদ্দালকের মনের গভীরে আলো-ছায়ার সে কাটাকুটি খেলা চলতে থাকে, চলতেই থাকে। দানের পর দান—মীমাংসাহীন। তার মা-বাবার বিয়ে তো প্রেমজ ছিল না, বরং তা তো সম্বন্ধের বিয়ে ছিল। তার মা নিজে তো উচ্চশিক্ষিত ছিল, বর্ধিষ্ণু পরিবারেরও। উদ্দালকের ঠাকুরদা আর দাদু ছিল সহকর্মী, একই পেশার। সেই আলাপেই বিয়ে। মা তো জানতো তার বাবার অতীত। বর্তমানের সরকারি স্কুল শিক্ষকের জীবন। তবে? সমীরণ-অপর্ণার বিবাহিত জীবন ছাড়া-ছাড়া ছিল কেন? তার মা কি শুধু তার ঠাকুরদাকে দেখে এসেছিল এ বাড়ি? ঠাকুরদার অগাধ টাকা? কিন্তু তারপরেও তো সে এসেছিল দুজনের জীবনে। সন্তান তো দুটো জীবনের সেতু। তাহলে? কোনো প্রশ্নেরই উত্তর জানে না উদ্দালক। ফলে তার পাঁজর দুমড়ে এক দীর্ঘ, তপ্ত বাতাস উড়ে যায় অন্ধকার শূন্যে।
অবশ্য এটাও ঘটনা যে, সুজিত কুমার মুখার্জী, তার ঠাকুরদা সুদূর বীরভুমের এক অজ পাড়া গাঁ থেকে কলকাতা পড়তে এসে একার চেষ্টায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিল এ নগর কলকাতায়। সেই ব্রিটিশ আমলে সে ছিল বৃত্তিপাওয়া ফার্স্ট ডিভিশন ছাত্র। কলকাতায় সফলভাবে আইএ ও গ্রাজুয়েশন। তারপর ওকালতি শিক্ষা ও পেশা। হয়ে উঠেছিল বড়লোক ও বড়মানুষ—দুই-ই। প্রায়ই তার দাদু তাকে বলত—দাদাভাই, বড়লোক অনেকেই হতে পারে, বড়মানুষ... কোটিকে গুটিক। বড়ত্বের এ কথা উদ্দালকের মনে হাসি আঁকে। তার ঠাকুরদা যেন তার বন্ধুই ছিল। অন্যদের মতো নিজস্ব ব্যক্তিত্বের সীমার বাইরে তাকে রাখে নি। নিজের অপর মানস সীমার মধ্যেই তাকে আদরে ঠাই দিয়েছিল।
--কী দাদাভাই। যাদবপুরে তো অনেক সুন্দরী-সুন্দরী মেয়ে। প্রেম-ট্রেম করছ নাকি?
--কী যে বলো দাদু। আজকালকার মেয়েরা সেয়ানা খুব। তারা পকেট দেখে প্রেমে পড়ে।
--তা আমার দাদাভাই-এর পেছন কি চিমসে নাকি?
তার সঙ্গে এ রকমই সম্পর্ক ছিল তার ঠাকুরদার, ওকালতির অবসরের অবরে-সবরে। ভাবনারা অদৃশ্য কুয়াশার মতো ভিজিয়ে দিতে থাকে উদ্দালককে। অবরে-সবরে কথাটা তার ঠাকুরদা খুবই বলতো। মাঝে মাঝেই মানুষটা গ্রাম্যলব্জ ব্যবহার করতো। শিকড়কে সে কোনওদিন ভোলে নি। যতদিন শরীর দিয়েছে গ্রামে গিয়েছে অত ব্যস্ততার মাঝেও—বছরে অন্তত কম করে দু’বার-তিনবার। সেও তো ছোটোবেলায় অনেকবারই গ্রামে গেছে ঠাকুরদার সঙ্গে। তার বাবারও বিপ্লবী জীবনের আগে ভালোই যোগাযোগ ছিল গ্রামের সঙ্গে, তেমনটাই তো শুনেছে সে। পরে পড়ার চাপে তেমন আর যাওয়া হয়ে উঠত না। আসলে তার মা... না, তার মা কোনদিনও গ্রামে যায় নি। মাটি-ধুলো-বাঁশবন... কল্পিত কষ্টে নাক সিঁটকাতো, এখনও সিঁটকায় অপর্ণা মুখার্জী(গাঙ্গুলী)। কিন্তু সেও তো আর...
কুয়াশারা উড়ে উড়ে আরও শীত ডেকে আনে যেন।
--জানো দাদাভাই, কাঠের তক্তাতে শুয়ে যে ঘুম ঘুমোবে, সোনার পালঙ্কেও সেই ঘুমই ঘুমোবে। বরঞ্চ সোনার পালঙ্কে ঘুম কমই হবে চোরের ভয়ে।
বাতিক কিনা জানে না উদ্দালক, তার ঠাকুরদা, কোটি-কোটিপতি যে, সত্যিই শুতো কিন্তু কাঠের চৌকিতে! পেছনের ফেলে আসা শেকড়, দারিদ্রকে ভুলতে না চেয় কি! তবে এটা ঘটনা, শেকড়ের টানেই সে টেনে গেছে তার গ্রামের সংসার। ভাই অজিতকে লেখাপড়া শিখিয়েছে। তিন বোনের ভালো বিয়ে দিয়েছে। তার ছোটো ঠাকুরদা পাশের শহর ঈশ্বরপুরে হাই স্কুলের মাষ্টার ছিল। তার ছেলে, উদ্দালকের বিজনকাকা, সেও ছিল হাই স্কুলের শিক্ষক, বামনী গাঁয়ে। বিজনকাকা ঠাকুরদা বেঁচে থাকতে বছরে একবার হলেও আসতো। কেন কে জানে তার মা বিজন ঠাকুরপোকে পছন্দই করতো। আর তার বাবাও। আসলে বিজনকাকা ছিল কথার জাদুকর। হবে নাই বা কেন? সে যে ছিল রাজনীতির লোক, নেতা। আগে সমাজতন্ত্রী, এখন সময়ের জলে গড়িয়ে নব্য জাতীয়তাবাদী। এখন আর যাতায়াত নেই। তবে বিজয়ায় ফোন করে বিজনকাকা তার বৌঠানকে এখনো শুভেচ্ছা জানায়। বিজনকাকার ছেলে সায়ন বছর পাঁচেক আগে প্রাইমারি স্কুলে মাস্টারি পেয়ে গেছে। উদ্দালক জানে যে হাই স্কুলে চাকরির মামলা মিটতে দেরী, সায়নকে বিজনকাকা ঠিক হাই স্কুলে ঢুকিয়ে দেবে।
ফলে এক্ষণে কুসুমডাঙা নামক গ্রামটি ছেয়ে থাকে যেন কলকাতার ধোঁয়াটে আকাশে। আর এ একাকী অন্ধকারে স্মৃতিরা কুড়ে কুড়ে খায় উদ্দালককে। শেকড়কে ছিন্ন করব বললেই ছেঁড়া যায় না বোধহয়। অবচেতনে তার স্মৃতি থেকেই যায়। নইলে তার ঠাকুরদার মৃত্যুর পর তার মা ঠাকুরদার চৌকিটা দান করতে চাইলে, গৃহশোভার খাতিরে, তার বাবা তার দেখা প্রথমবার মায়ের বিরুদ্ধে কঠোর দাঁড়িয়েছিল কেন? সে-ই বা প্রবল আপত্তি জানিয়েছিল কেন? এবং শিকড়কে না ছিঁড়তে না চেয়েই তার ঠাকুরদা তাদের গ্রাম কুসুমডাঙার নামমাত্র জমিটুকুও তার নামে লিখে দিয়েছিল।
--দাদাভাই, পিতৃপুরুষের ভিটে। পারলে টিকিয়ে রেখো।
এ স্মৃতি দীর্ঘশ্বাস আনে। সেহেতু আঁধার ঘন হয় যেন। হ্যাঁ, তার ঠাকুরদা, সুজিত কুমার মুখোপাধ্যায় স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে সমস্ত টাকাকড়ি তার সঙ্গে জয়েন্টে রেখেছিল ব্যাঙ্কে। ভবানীপুরের বাড়িটাও তার নামে লিখে দিয়েছিল। এ ফ্ল্যাটটা শুধু তার মা-কে দিয়ে গিয়েছিল। যদিও উদ্দালক ভবানীপুরের বাড়িটা রাখতে পারে নি, প্রমোটারের অত্যাচারে। প্রয়োজনও ছিল না তা সময়ের দাবিতে। সেখানে এখন মাল্টিস্টোরিড বিল্ডিং। অবশ্য একটা থ্রী বিএইচকে ফ্ল্যাট তার নিজের অধিকারে রেখে দিয়েছে সে, ঠাকুরদার মাটির স্মৃতিকে সম্মান জানাতে। উদ্দালক সান্ত্বনা দেয় যেন নিজেকেই। আর তখনই তার ফোনে টিং-টিং আওয়াজ তুলে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ ঢোকে তাকে চেতনায় ফিরিয়ে। আম্রপালি।
--কী গো আমার প্রেমিকবর! ডিনার হয়েছে?
উদ্দালক বউ—কথাটা লিখতে গিয়েও পারে না। শুধু লাল পানপাতা চিহ্ন দাগে তার মেসেজে।
--এই এবার খাবো। তুমি খেয়েছ?
উত্তরে চুমুচিহ্ন উড়ে আসে। উদ্দালক স্মাইলি আঁকে—কথাকে আর বাড়াতে না চেয়েই। সে মুহূর্তে মালতীমাসিও বেজে ওঠে।
--কী গো, সেই তখন থেকে অন্ধকারে বসে আছ? খাবার দিয়েছি। খাবে চল।
--ওরা চলে গেছে?
--অনেকক্ষণ।
উদ্দালক জানে ওর মাসি-মেসো মায়ের কাছ থেকে ঠিকই টাকা গেঁড়িয়েছে। হয়তো আগেও। এবং পরেও। চাপা দীর্ঘশ্বাস লুকোয় সে।