ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়
একান্ত সংগোপনে একটি চমৎকারের ভিতর
লিখেছিলে, যদিদং হৃদয়ং-
তদিদং মম বলার পর
রোদেরা ছদ্মনামে মেঘ হয়ে যায়।
ক্রমশ রাত প্রাপ্তবয়স্ক হয়ে উঠলে
তুমুল কলোরলে নির্লজ্জ নদী চাঁদের পাশে বসে
অদ্ভুত ঘুমের ভেতর মাঝি দাঁড় বায়।
জোনাকি নেভে জ্বলে। সাথে ছেঁড়া ছেঁড়া লোভ।
চরাচর জুড়ে চুম্বনের গন্ধে মনখারাপ মাখামাখি;
বাতাসে ভেসে আসা দু'এক কলি রবীন্দ্রনাথ
নিঃস্ব করে বলে যায়, "ফাগুন হাওয়ায় হাওয়ায়..."
তবুও কেন যে নিশাচরের ডানায় টলটল করে বাইশে শ্রাবণের শোক!
স্খলনের মতো
বেশ্যাপাড়ার যে মেয়েটাকে ছিনাল বলেছিলাম
তার ঠোঁটের সস্তা রঙের দিকে ফিরেও তাকাইনি...বরং তখন উপরিভাগের রঙ আমার ঘৃণার উদ্রেক করেছিল
এরপর তোমার ফোন গত তিনদিনে একবারও না আসার পর
আমিও অধৈর্য্য হয়ে প্রতিবেশী ভদ্রলোকের সুঠাম পেশীর দিকে দৃষ্টি দিলাম পূর্বদিকের জানালা খুলে
আঁকাবাঁকা এবং নির্জন রেলব্রিজের নীচে ভিখারী
যাকে আমরা নিয়মিত পয়সা দিয়ে থাকি, সে আমার কাছে
পয়সা নিতে প্রত্যাখ্যান করল
তবুও আমি সংযত হইনি
এখন আমায় দেখলে উদাসীনভাবে সে অন্যদের কাছে হাত পাতে।