দোঁহা

সোনালী ঘোষের কবিতা

 



আপনা মাংসে হরিণা বৈরী

নেমে এসেছেন তিনি, কুরুবক নির্মিত পথে, এই কি মায়া নয়, তিন সত‍্য করে, সংঘে জ্বালিয়েছিলেন মঙ্গল আরতির আগুন, সে বড় স্নেহের...কত আনন্দ অপচয় হয়ে গেছে।আকাশের দিকে চাইলে আর্যসত‍্য মিথ‍্যে মনে হয়, বিষাদের গ্ৰন্থী দক্ষিণমূর্তি...মাতৃগর্ভ, আমায় মুক্ত করো না, দেখো শব্দের তাকিয়া এখন বুকে, দিব‍্যসলিলে প্রসন্নতার ঢেউ...প্রত্মপ্রাচীন স্মিত হাসি নিয়ে জলধি ভেঙে, সহনশীল পুরুষ শুশ্রূষার মত একটি দন্ড হাতে, ওকে ফিরে যেতে বলো, মৃত‍্যুর অধিকারে দস্তখত দেওয়ার এই কি সময়...


 

অতলে দ‍্যুলোক

...জেগে আছি অথবা ঘুমিয়ে...ন‍্যুব্জ বসন্তের বাকলে বেধরক জ্বর। সর্প জন্ম, মাথার উপর ক্রমাগত পাক খায়, তবু মেদবহুল বাঁশির কাছে আর কোন দাম নেই সুরের, ভেতরের সব রাগ কালিদহের জলে...কত প্রিয়জন ইত‍্যকার বাপ বাপান্ত কষিয়ে দেয়। চোরাটানে ভেসে যাই, ধর্ম বিবর্জিত বিপথগামীতায়, সমস্ত রাত জুড়ে বাদুরের হাহাহিহি; পাঁপড়িতে লেগে আছে বেশ‍্যাপাড়ার মাটি।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন