তমোঘ্ন মুখোপাধ্যায়
কার্টুন নিয়ে লিখতে হবে ভেবেই শুরুতে যে অনুভূতি প্রবল ভাবে মনের মধ্যে লাফালাফি শুরু করল তা হল: মজা। কার্টুন ব্যাপারটাই আশ্চর্য মজার, তা সে ছোটদের জন্য নির্মিত নিছক গালগল্পের কার্টুন হোক বা বড়দের জন্য একটু খোঁচা দেওয়া, একটু তির্যক ভঙ্গিমায় কোনো ঘটনা, ব্যক্তি বা পরিস্থিতি নিয়ে আঁকা কার্টুনই হোক না কেন! আমার ছোটবেলায় কার্টুনের সঙ্গে পরিচয় মূলত নারায়ণ দেবনাথের মাধ্যমে। যেসব বইয়ে ছবি থাকত, সেসব বইয়ের প্রতি ছোটবেলায় কী যে প্রচণ্ড আকর্ষণ অনুভব করতাম তা আর এই সময়ে দাঁড়িয়ে খুব একটা মনে করতে পারি না। কিন্তু যে বইয়ে ছবি নেই, সেই বই নিয়ে যে এতটুকুও আগ্রহ জন্মাত না তা হলফ করে বলতে পারি। ফলত নারায়ণ দেবনাথের হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টে, বাঁটুল দ্য গ্রেট নিয়ে যে প্রবল ভাললাগা তৈরি হয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। এক্ষেত্রে অবশ্য কার্টুনকে একরকম আমব্রেলা টার্ম হিসাবে ব্যবহার করছি, যার ভেতর কমিক্স অবলীলায় ঢুকে যায়! সে প্রসঙ্গ আলাদা, আপাতত মূল বক্তব্য এই, যে, নন্টে-ফন্টের যে বই বাবা বইমেলা থেকে কিনে এনে দিয়েছিল, তা আগলে রেখেছিলাম বহুদিন। এখনকার ক'জন শিশু'র হাতে নারায়ণ দেবনাথ পৌঁছান জানি না, কিন্তু আমার ছোটবেলার সিংহভাগ জুড়ে ওঁর হাতের জাদু ছড়িয়ে রয়েছে। নন্টে-ফন্টের গোল গোল অদ্ভুত কৌতূহলী ও দুষ্টুমি ভরা চোখ, কেল্টুদার পাটকাঠি মার্কা ঠ্যাং (তাও একবার ক্রিকেট খেলার চক্করে খুব সম্ভবত ফন্টের ব্যাটের সপাট আঘাতে তুবড়ে গিয়েছিল!), সুপারিনটেনডেন্ট স্যারের অ্যায়সা বড় ভুঁড়ি, আর অধিকাংশ গল্পের শেষে ওই দশাসই চেহারা নিয়ে কেল্টুর পেছনে প্রাণপণ দৌড়—পাতার পর পাতায় এইসব মজাদার কাহিনি আর কিছু করুক ছাই না-করুক, কল্পনার তুবড়িতে অবলীলায় আগুন ধরিয়ে দিত। বাঁটুল আবার মহাবীর। তার গায়ে ঠোক্কর খেয়ে বুলেট ছিটকে যায়, এক হাতে আস্ত একটা জিপগাড়ি সে অবলীলায় তুলে ফেলতে পারে, পারে আরও এমন অনেক কিছু যা তাকে প্রায় অতিমানব বানিয়ে দেয়। কিন্তু এতসবের পরেও বাঁটুল ছোটদের কাছে প্রিয়, কারণ তার এই বিশাল ক্ষমতা দিয়ে সে কেবল ভাল-ভাল কাজ করে, এমনকি ঘোর শত্রুকেও সে খুব ভয়ঙ্কর কিছু শাস্তি দেয় না, বাচ্চু-বিচ্ছু নানা ফন্দি এঁটে বাঁটুলকে জব্দ করার আপ্রাণ চেষ্টা করে, কিন্তু সব চেষ্টাই বৃথা করে দিয়ে বাঁটুল বারবার জেতে, কেননা তার জয় যে তার খুদে পাঠকদেরও জয়। একটু বড় হয়ে হাতে এসেছে টিনটিন, অ্যাসট্রিক্স, ম্যানড্রেক, অরণ্যদেব। ক্যাপ্টেন হ্যাডকের সারাদিন মদ্যপান ও তার ফলে উল্টোপাল্টা ঝামেলায় জড়িয়ে পড়া, প্রফেসর ক্যালকুলাসের বারবার নানা কারণে নাকানিচোবানি খাওয়া, টিনটিন আর তার পোষা কুকুর কুট্টুসের তুমুল সাহসিকতা আমার মনেও একরাশ সাহস ভরে দিত বইকি! পরে যখন আবার অনার্স পড়াকালীন টিনটিন নিয়ে সিরিয়াস চর্চার সুযোগ এল, তখন দেখলাম টিনটিনের বেশ কিছু গল্পে নাকি racism-এর বেশ কিছু নিদর্শন আছে। এসব যদিও বড়দের ব্যাপার, ছোটদের এসব নিয়ে মাথা ঘামিয়ে কমিক্স পড়ার আনন্দ মাটি হোক, এ আমি কখনওই চাই না।

এ তো গেল কমিক্সের দুনিয়া। আর প্রতিদিন স্কুল থেকে ফিরে এক ঘণ্টা টিভিতে কার্টুনের দুনিয়ায় হুস্ করে হারিয়ে যাওয়ার দেদার আনন্দ? সে নিয়ে কথা না বললে যে ভারি অন্যায় হবে! আমরা যারা নব্বই দশকের প্রায় শেষদিকে জন্মেছি, নিত্যনতুন কার্টুন এপিসোড দেখার ক্ষেত্রে তাদের ভাগ্য রীতিমতো হিংসে করার মতো! স্কুল ছুটি হত সাড়ে তিনটেয়। একরকম দৌড়ে দৌড়ে বাড়ি ফিরতাম যাহোক করে হাত-পা ধুয়েই টিভি অন্ করে কার্টুন দেখব বলে! এক-এক চ্যানেলে দুশো মজা! কার্টুন নেটওয়ার্কে টম অ্যান্ড জেরির চিরকালীন দৌড়াদৌড়ি, কোনোকালেই মুখ দেখা যায় না এমন গৃহকর্তীর কাছে টম বেড়ালের বারংবার বকাঝকা মায় পিটুনি খাওয়া, জেরি নামের মহাচটপটে প্রবল ধূর্ত ইঁদুরকে পাকড়াও করার চেষ্টায় ঘরের আসবাবপত্র চুরমার করে ফেলতে ফেলতে টমের দৌড়াদৌড়ি, আহা! লিখতে লিখতেই মুখে আনন্দের হাসি চলে আসছে! 'টম অ্যান্ড জেরি' কিন্তু শুধুই ধরাধরি খেলা নয়, খাদ্যশৃঙ্খলে যে দুই প্রাণীর একজন অপরজনের খাদক, তাদের এই ওপর-ওপর শত্রুতার আড়ালে যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব, এই কার্টুনের মূল উপজীব্য। বড় হয়ে বুঝেছি এসব, ছোটবেলায় তো ইচ্ছে করত টিভির মধ্যে হাত ঢুকিয়ে টমকে আচ্ছা কষে পিটুনি দিই! খামোকা জেরিকে জ্বালিয়ে মারে, বেল্লিক বেড়াল কোথাকার! এ তো গেল টম অ্যান্ড জেরি। এছাড়াও 'ডেক্সটার্স ল্যাবরেটরি', 'দ্য পাওয়ারপাফ গার্লস', 'স্কুবি ডু', 'কারেজ দ্য কাওয়ার্ডলি ডগ', 'ড্র্যাগনবল', 'পোকেমন', 'ড্র্যাগন টেলস', 'বেন টেন', আরও কত কী! 'বেন টেন'-এ বেনের অমনিট্রেক্স নামের ঘড়িটার প্রতি কী যে লোভ লাগত! ঘড়ির মধ্যে ইচ্ছা মতো এলিয়েন খুঁজে জোরে ঘড়িতে চাপ দিলেই বেন হয়ে যেত সেই এলিয়েন! তারপর শত্রুদের সাথে সে কী ধুমধাড়াক্কা লড়াই! পরে অবশ্য বেন টেন-এর একাধিক ভার্সন বেরিয়েছিল, কিন্তু প্রথম ভার্সনটা যত ভাল লেগেছিল, পরেরগুলো আর তত ভাল লাগেনি। 'অগি অ্যান্ড দ্য ককরোচেস্' নিয়ে না বললেই নয়! মূল ইংরেজি ভার্সন দেখিনি যদিও। তবে হিন্দিতে ডাব করা ভার্সনটিও কম যায় না! তিন হাড়বজ্জাত আরশোলা, আর এক বেড়ালের কাহিনি। মজার ব্যাপার এই যে, অগি'র গলা ক্-ক্-ক্-কিরণ phase-এর শাহরুখ খানের মতো, তিন আরশোলার একজনের গলায় মুন্নাভাইয়ের সার্কিট (আরশাদ ওয়ার্সি) হুবহু বসানো, ধারাভাষ্যে ব্যবহৃত কণ্ঠ ঠিক যেন 'ওয়েলকাম' সিনেমার উদয় শেট্টির (নানা পাটেকর)।

'পোগো' চ্যানেলে' ছোটা ভীম' তো প্রায় সবারই প্রিয় ছিল! টুনটুন মাসির বানানো লাড্ডু খেলেই ভীম হয়ে যায় বিশাল ক্ষমতাবান, তার বন্ধু রাজু, চুটকি, জগ্গু (নীল রঙের মিষ্টি বাঁদর) আর রাজকন্যা ইন্দুমতীর জন্য সে এমনকি নিজের জীবন দিতেও রাজি। ভীমকে মনে মনে প্রচণ্ড হিংসা করে কালিয়া, সে তার বিশাল চেহারা নিয়ে রোজ ডন-বৈঠক দেয়, গোগ্রাসে খাবার খায়, তার দুই শাগরেদ ঢোলু-ভোলু অস্থির হয়ে থাকে কালিয়ার ভয়ে! এই বুঝি ওই বিপুল শরীর নিয়ে ধপাস করে পড়ে ঢোলু-ভোলুকে চ্যাপ্টা করে দেবে! কিন্তু কালিয়া একদমই পেরে ওঠে না ভীমের সাথে। লাড্ডু খেয়ে ভীম অসাধ্য সাধন করতে পারে।
'পোগো' চ্যানেলে দেখা আরও বেশ কিছু কার্টুনের হদিশ দিই। এই যেমন 'বব্ দ্য বিল্ডার', 'অসওয়াল্ড'(এক নীল অক্টোপাসের কাহিনি। এমন মধুর কার্টুন খুব কম নির্মিত হয়েছে), 'বাগ্স্ বানি', 'পিংগু', 'টিনএজ মিউট্যান্ট নিন্জা টার্টেল্স্', 'মিস্টার বীন: দ্য অ্যানিমেটেড সিরিজ়' প্রভৃতি।
মিস্টার বীন নিয়ে আর কীই বা বলা যায়। এমন উদ্ভট মানুষ পৃথিবীতে বিরল। অনিচ্ছাকৃত ভুলের ভুলভুলাইয়ায় ঘুরতে ঘুরতে নানারকম উল্টোপাল্টা কাজকর্মের মাধ্যমে হাসাতে হাসাতে দর্শকের নাড়ি পাক লাগিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা ওই একজনেরই আছে। মূল ভার্সনটির খ্যাতি বিশ্বজোড়া, তবে অ্যানিমেটেড সিরিজটিও খুবই ভাল লাগত।
আর একটি চ্যানেলের কার্টুনের ব্যাপারে বলে আপাতত টিভি কার্টুনের ইতি টানব। তা হল 'হাঙ্গামা'। ওই চ্যানেলের কী কী কার্টুন গোগ্রাসে গিলতাম, সব তেমন মনেও পড়ে না। তবু যেগুলো মনে আছে, সেগুলোর কথাই বলি। 'ডোরেমন', 'হাগিমারু', 'শিনচ্যান', 'কিতেরেৎসু', 'নিনজা হাতোরি', 'কোচিকামে'।
অবশ্য এর বাইরেও ছিল আরও কিছু কার্টুন, সেগুলো আবার খোদ বাংলায়! 'চাঁদের বুড়ি ও ম্যাজিকম্যান', 'ঠাকুমার ঝুলি', 'বিক্রম-বেতাল', 'পাণ্ডব গোয়েন্দা', 'টেনিদা'...বাংলা চ্যানেলে দেখা কার্টুনদের মধ্যে সবচেয়ে পছন্দের ছিল 'গোপাল ভাঁড়'। নাদুসনুদুস ভুঁড়ি দুলিয়ে রাজসভায় প্রবেশ, রাজাকে নানান জটিলতা থেকে উদ্ধার, মন্ত্রীমশাইয়ের শয়তানির পর্দাফাঁস, শাহেনশাহ্, এমনকি ভূত-প্রেতকে পর্যন্ত বুদ্ধির জোরে কাবু করার যেসব গল্প গোপাল ভাঁড়কে বঙ্গসংস্কৃতির এক আইকন করে তুলেছে, তাকে কার্টুনে দেখার আনন্দই ছিল আলাদা।
কিন্তু এ তো গেল ছোটবেলা! বড়বেলার কার্টুন কিন্তু এই আশ্চর্য রঙচঙে জাদু-দুনিয়া থেকে বেশ খানিকটা আলাদা। তবে বড়দের কার্টুনেও কিন্তু মজার উপাদান ভরপুর! সেই মজা উপভোগ করার মতো মন থাকাও জরুরি। বড়দের কার্টুন, আরও নির্দিষ্ট করে বললে, রাজনৈতিক কার্টুন কিন্তু হালের আমদানি নয়! এর ইতিহাস যথেষ্ট পুরানো, কিন্তু আপাতত ইতিহাস থাক! বরং রাজনৈতিক কার্টুনের মজাটা কোথায় সেই নিয়ে খানিক কথা হোক। রাজনৈতিক কার্টুন সেই আশ্চর্য হাতিয়ার যা তার সমস্ত তীর্যক ভঙ্গিমায় প্রকাশ সত্ত্বেও ঠিইইক টার্গেটে গিয়ে হিট্ করে। গুটিকয়েক মানুষের ক্ষুদ্রস্বার্থ চরিতার্থতার নেশা কীভাবে সমগ্র দেশের অধিকাংশ মানুষের সর্বনাশের কারণ হয়ে দাঁড়ায়, কার্টুন যে তীব্রতার সাথে তা তুলে ধরার ক্ষমতা রাখে, তা সত্যিই অনস্বীকার্য। আর. কে. লক্ষ্মণ-এর 'দ্য কমন ম্যান' তো মিথ হয়ে গেছে! হয়ে গেছে সেই সমস্ত সাধারণ অসহায় মানুষের প্রতিভূ যাদের জীবন ক্রমশ রাজনৈতিক গ্যাঁড়াকলে পড়ে দুর্বিসহ হয়ে যায় চিরকাল। তেমনই কাল্ট হয়ে গেছে অমল চক্রবর্তীর 'অমল আলোয়'। বাংলায় সিরিয়াস কার্টুনচর্চার ক্ষেত্রে অগ্রগণ্য নাম গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুর। এমনকি রবীন্দ্রনাথও রেহাই পাননি তাঁর তুলির আঁচড় থেকে। রেবতীভূষণ, কাফী খাঁ, কুট্টি, অমল চক্রবর্তী, চণ্ডী লাহিড়ী, উদয় দেব, দেবাশীষ দেব, অনুপ রায়—বাংলা কার্টুনচর্চার ইতিহাসে এঁদের নাম না এলে অপূর্ণতা রয়ে যাবে। সমগ্র ভারতবর্ষের পরিপ্রেক্ষিতে রাজনৈতিক কার্টুনচর্চার ক্ষেত্রে এই মুহূর্তে যে ব্যক্তির প্রসঙ্গ উত্থাপিত হওয়া জরুরি তিনি সন্দীপ অধ্বর্যু। 'টাইম্স অফ্ ইন্ডিয়া'-য় সন্দীপের আঁকা কার্টুন ভারতবর্ষের আর্থ-সামাজিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতি প্রতিনিয়ত যে তেরছা দৃষ্টি নিক্ষেপ করে, যে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গে ভরপুর থাকে তাঁর কার্টুন, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। প্রায় একই কথা খাটে উদয় দেবের প্রসঙ্গেও। He is one of a kind! দিনের শেষে রাজনৈতিক কার্টুন সেই আশ্চর্য "writing back" যা ক্ষমতাকে প্রশ্ন করে, বিদ্রূপ করে, চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে কোথায় কোথায় ভুল ঘটে যাচ্ছে বারবার। ক্ষমতার নেশায় শেষ অবধি কত নেতা-মন্ত্রী শেষমেশ কার্টুনেই পরিণত হয়েছে তা বলাই বাহুল্য।
 |
অমল চক্রবর্তীর কার্টুন |
 |
R. K. Laxman ও তাঁর 'The Common Man' |
যদিও ভারতে রাজনৈতিক কার্টুন চর্চা আরও গভীর বিশ্লেষণ এবং পর্যালোচনা দাবি করে, এ লেখায় আপাতত এটুকুই। হয়তো পরে কখনও বিশদে লিখব। আপাতত বড়-ছোট নির্বিশেষে কার্টুনের মজা শনাক্ত ও আত্মীকরণ করা জরুরি। শুধুই আনন্দ, শুধুই ব্যঙ্গ নয়, কার্টুন শেষমেশ সেই আয়না যার দিকে গভীরে তাকালে আমাদের নিজেদের খামতিগুলোও স্পষ্ট দেখতে পাওয়া যায়! কিন্তু অন্যের কার্টুন দেখতে দেখতে আমরা ভুলে যাচ্ছি না তো, আদপে যাদের ক্যারিকেচার হিসাবে পেলে ব্যঙ্গের হাসিতে লঘু হচ্ছি আমরা, তা দশচক্রে আমাদের ছবিও কিন্তু হয়ে যেতে পারে!
 |
উদয় দেবের কার্টুন |
 |
সন্দীপ অধ্বর্যু'র কার্টুন। |
'হে ব্যঙ্গভাণ্ডারে তব বিবিধ রতন'—এ তো জানা কথা, কিন্তু কার্টুনের সজাগ তির যে কখন কার দিকে ঘুরে যাবে, তা কিন্তু কেউ জানে না!
সাধু সাবধান!