অমর্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়
এমন এক সময়ে দেশভাগ নিয়ে লিখতে বসেছি, যে সময়ে দাঁড়িয়ে অতীতের চেয়েও বেশি করে মনে পড়ছে বর্তমান। আমরা আবারও এক প্রান্তিক মুহূর্তে দাঁড়িয়ে। এই রক্তস্নাত কসাইখানা আমার দেশ না। এ দেশ আবারও ভাঙছে। শতধা হয়ে ভাঙছে। আমাদেরই মতো মানুষেরা সেই বিভাজনের আগুনে জ্বালানির যোগান দিচ্ছে। আমরা বাকিরা নির্বাক হয়ে দাঁড়িয়ে দেখছি। আমাদের নীরবতাও পরোক্ষে সেই আগুন ছড়াতে সহায়তা করছে। আমরা হেরে গিয়েছি।
এই সময়ে দাঁড়িয়ে হয়তো তাত্ত্বিক আলোচনা করা চলে। তথ্য, যুক্তি, ইতিহাস অথবা সুদূর অতীতেরই আরও কোনও গভীর সত্যকে মাটি খুঁড়ে তুলে এনে, তার তুল্যমূল্য বিচার করা চলে। অথবা নির্বাক বসে থাকা চলে ছোট ছোট বিস্ময়কে নিয়েই। দেশের বিস্তৃতি বিরাট। দেশের সংজ্ঞা নিরূপণ করতে গেলে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, ভৌগোলিক, ইত্যাদি অনেকগুলি বিষয় বা দৃষ্টিভঙ্গিকে নিয়েই মত বিনিময় করা উচিত। কিন্তু আজকের এই জল্লাদের উল্লাসমঞ্চে দাঁড়িয়ে ৪৭এর সেই রক্তাক্ত বিবরণী-ইতিহাসকে নতুন করে আর স্মরণ করতে ইচ্ছে করছে না। কারণ মানুষ সেই রক্তাক্ত ইতিহাসকে মনের অবচেতনে অনেক সময়েই এক বিকৃত নস্টালজিয়ার মেজাজে স্মরণ করতে চায়। মানুষের ভিতরকার চরিত্রেই যুগ যুগ ধরে অস্তিত্ব বজায় রেখেছে হিংসার প্রতি তার এক অদম্য আকর্ষণ। যে মানুষেরা দেশভাগের ফলে স্বজন হারিয়েছিলেন, সম্মান ও সম্পত্তি খুইয়েছিলেন, তাঁদের পক্ষে সেই কালান্তক ইতিহাসকে ভোলা সহজ নয়। কিন্তু সেই হিংসার নস্টালজিয়াকে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করে, তার অস্তিত্বটুকুকে জিইয়ে রাখার যে প্রচেষ্টা বর্তমান কিছু গোষ্ঠীর তরফে হয়ে চলেছে, নাগরিক হিসেবে, মানুষ হিসেবে তার বিরুদ্ধাচরণ করা উচিত।
খুব সম্প্রতি আমার এক অত্যন্ত কাছের বন্ধুর জীবনে এক ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে গিয়েছে। কবি, শিল্পী, আলোকচিত্রী ও সর্বোপরি এক মরমিয়া মানুষ হিসেবে আমি তাকে আমার বা অন্য অনেকের চেয়ে আলোকবর্ষ এগিয়ে রাখতে চাই। তারই সঙ্গে একদিন আলোচনা হচ্ছিল। মৃত্যুকে সে অনেকখানি কাছ থেকে প্রত্যক্ষ করেছে। আমি তাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এক অদ্ভুৎ অনুভূতির তাড়নাতেই – “আচ্ছা বলতে পারিস, সিরিয়স লেখা বা সিরিয়স কোনও শিল্পের প্রকাশ করতে গিয়ে, আমরা অধিকাংশ সময়েই কেন মৃত্যু বা অন্তিম কোনও কিছুকেই টেনে আনতে চেষ্টা করি? সিরিয়স গল্পে কি মৃত্যুর উল্লেখ থাকতেই হবে? এ কি একান্ত বাধ্যতামূলক?” জবাবে সে বলেছিল, “অন্তিম সিরিয়সনেস তো ওটাই, তাই নয় কি?” মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু কোথাও গিয়ে যখন, সত্যিই বারংবার, এই দুঃখ, কষ্ট, মৃত্যু, অবশেষ, ইত্যাদিকে প্রত্যক্ষ করি, কিছুক্ষণের নীরবতা কাটিয়ে মন তবুও বলে উঠতে চায়, এটুকুই শেষ নয়। নয় চিরন্তন। একই কথা দেশভাগের আলোচনাতেও বলতে চাইব। আমরা বিষাদকে প্রাধান্য দিতে গিয়ে সেই বিষাদেই ডুবে থাকতে চেয়েছি। যে বিষাদ ক্রমশ বিদ্বেষ হয়ে উঠতে চেয়েছে। আমরা দেশভাগ বলতেই দাঙ্গার কথা ভেবেছি, হিংসার কথা ভেবেছি, মানুষে মানুষে হানাহানির কথা ভেবেছি। মানুষ যে সেই দুর্লঙ্ঘ্য সময়েও পরিচয় ভুলে মানুষেরই পাশে দাঁড়িয়েছিল, আমরা সে কথা ভুলে গিয়েছি। আমরা সেই বক্তব্যকে অনুল্লিখিত রেখেছি। আমরা জীবনানন্দের মন্ত্রকে বিস্মৃত হয়েছি। যাঁর কবিতায় তিনি উচ্চারণ করেছিলেন, “এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য; তবু শেষ সত্য নয়। কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে; তবুও তোমার কাছে আমার হৃদয়…”
লোকে বলবে আমি ইউটোপিয়াতে আক্রান্ত। তবুও তো একথা সত্য, স্বাধীনতার অব্যবহিত পরে পরেই, পূর্ব পাকিস্তানের এক সাহিত্য-সম্মেলনে এপার বাংলার এক সাহিত্যিককে, ওপার বাংলার এক সমাজকর্মী কাঁধে হাত দিয়ে দূরে দেখিয়ে, ইঙ্গিত করে বলেছিলেন “ওই যে ওখানে দেখছ, ওই যে বাঁশবন আর পোড়ো চণ্ডীমণ্ডপের অবশেষ, সবকিছু যখন আগের মতো ছিল, ঠিক ওইখানটাতেই ছিল এক বৈষ্ণব বাবাজির আখড়া। রোজ সন্ধ্যে হতে না হতেই ওই মণ্ডপে আলো জ্বালিয়ে গান আর কীর্তনের ধুম লেগে যেত। আজ সব নিস্তব্ধ। সেই গানের সুর আর হুল্লোড়ের আওয়াজ, এখনও কানে ভাসে আমার।” সেই সমাজকর্মী আরও বলেছিলেন, “তোমাদের দেশের প্রাইম মিনিস্টার যেবারে এলেন এখানে, আমি তাকে আশ্বস্ত করেছি। বলেছি দেখবেন, আমরা আবারও এক হয়ে যাব। ওই কাঁটাতারের দেওয়াল আমাদেরকে আলাদা রাখতে পারবে না। আবারও ওই মণ্ডপে কীর্তন হবে। গান হবে, আমরা …” এই স্বপ্নটাকে আমরা বাস্তব করতে পারিনি। না পেরেছেন রাজনীতিকেরা, না আমরা সেই বাস্তবায়নের নিমিত্তে সামান্যতম পরিশ্রম করেছি। আমরা বিষাদ থেকে তিক্ততার অভিমুখে এগিয়েছি। এখন আমরা করগুণে হিসেব দাখিল করতে পারি কোনদিককার কোন বাংলায় সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরুদের কোন গণ্ডগোলের কারণে কতজন মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। আমরা কখনও ভেবে দেখিনা, মুষ্টিমেয় কিছু সুযোগসন্ধানী উপরতলাকার ক্লীব মানুষদেরই কারণে দাঙ্গার সূত্রপাত হয়। আমরা আরও ভেবে দেখিনা, দাঙ্গার পরবর্তীতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক গোষ্ঠীরই প্রান্তিকস্য প্রান্তিক মানুষেরাই সবটুকুকে হারিয়ে অনাথ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা তখনও কোন পক্ষের কতটুকু দোষ ঘটেছে, তারই চুলচেরা বিশ্লেষণ সাজাই। আমাদের মানবিকতা অবলুপ্ত আজ।
প্রত্যেক রাজনীতিক দেশভাগকে মেনে নিয়েছিলেন। আমরা গান্ধীর মৌনতাকে নিয়ে কটাক্ষ করি, কিন্তু আজকের প্রজন্মের কাছে ‘লৌহমানব’ হিসেবে যে প্যাটেল সর্দারকে তুলে ধরা হয়, মাউন্টব্যাটেনের দেশভাগের প্রস্তাবে সকলেরও আগে সেই ‘লৌহমানব’ বল্লভভাই স্বয়ং সম্মতি দিয়েছিলেন। নেহরু থেকে জিন্না, প্রত্যেকে দেশভাগের ঘটনাকে মেনে নিয়েছিলেন। বিধানচন্দ্র রায় থেকে শুরু করে তদানীন্তন বাংলা কংগ্রেসের নেতৃস্থানীয় যাঁরা ছিলেন, একজনও দেশভাগের বিরুদ্ধে টুঁ শব্দটি করারও দৃঢ়তা দেখাননি। বল্লভভাই আপাদমস্তক ধৈর্যহীনতার পরিচয় দিয়ে নাকি বলে বসেছিলেন, “দেশভাগ আপাতত তো হোক, পাকিস্তানের প্রশাসন কিছুদিনেই বুঝবে দেশ চালনা করা কি জিনিস। তখন আবার সুড়সুড় করে ঐক্যের পথেই ফিরে আসবে।” মানুষ বড় সস্তা, বাংলায় একথা শক্তি চট্টোপাধ্যায় বলেছেন। ইংরেজিতে বলেছেন খুশবন্ত সিং। তাতে মানুষের জীবনের দাম এদেশে কানাকড়িও বাড়েনি। শ্যামাপ্রসাদকে নিয়ে ইদানীং প্রবল পরাক্রমে প্রচার করা হয়, কলকাতাকে পূর্ব পাকিস্তানে চলে যাওয়া থেকে আটকাতে, তাঁর বা হিন্দু মহাসভার নাকি প্রভূত অবদান রয়েছে। একটি অক্ষরও ইতিহাসের পাতা থেকে কেউ এই বক্তব্যের সমর্থনে তুলে আনতে পারেন না। সত্য এই যে, সেই সময়ে বাংলার প্রাদেশিক আইনসভায় কেবল দেশভাগ কেন, যে কোনও বিধিপ্রণয়নের ক্ষেত্রেই নিজস্ব প্রভাব খাটাতে গেলে যে সংখ্যক প্রতিনিধি থাকা প্রয়োজন, শ্যামাপ্রসাদ বা হিন্দু মহাসভার হাতে সেই সংখ্যা ছিল না। বরং দক্ষিণপন্থার ধ্বজাবাহক, গান্ধীহত্যায় অভিযুক্ত যারা, তাদের সহমর্মী মহাসভা ও শ্যামাপ্রসাদ দেশভাগকেই মেনে নিয়েছিলেন।
পক্ষান্তরে আমরা ইতিহাসের পাতায় বিস্মৃত হয়েছি, একমাত্র রাজনীতিক হিসেবে সেই সময়ে দাঁড়িয়ে যিনি সর্বোতভাবে, শেষ মুহূর্ত অবধি দেশভাগের বিরোধিতা করেছিলেন – তাঁর নাম আজাদ, পরবর্তীতে ভারতের প্রথম শিক্ষামন্ত্রী ও ভূতপূর্ব কংগ্রেস সভাপতি, সুপণ্ডিত মৌলানা আবুল কালাম আজাদ। এদেশের সংখ্যালঘু জনতার প্রতিনিধি হয়েও (আমি আজাদ সাহেবের আত্মার কাছে মার্জনা চাইছি, তাঁকে এই অভিধায় সম্বোধনের জন্য, আজাদের উদারতা যে কোনও ধর্মের প্রতি তাঁর বিশ্বাসের চেয়ে অনেক বেশিগুণে বিস্তৃত), সেই মৌলানা আজাদ শেষ দিন অবধি দেশভাগের বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি এও প্রস্তাব দিয়েছিলেন, প্রয়োজনে স্বাধীনতার ঘোষণা কিছুকাল পিছিয়ে দেওয়া হোক। সাম্প্রদায়িক গণ্ডগোল কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসুক। ভারত যেন অখণ্ডরূপেই তার স্বাধীনতা লাভ করে। কিন্তু ক্ষমতা দখলের ব্যস্ততা, ও আখের গুছিয়ে উপমহাদেশ ছেড়ে পালানোর ব্যস্ততায় – ব্রিটিশ অথবা উপমহাদেশের রাজনীতিকেরা সামান্যতম সময় নষ্টেরও বিরোধী ছিলেন। গান্ধীর নীরবতাকে আমি রাজনীতি হিসেবে দেখি না। গান্ধীর নীরবতাকে আমি দুর্বলতা হিসেবে দেখি না। আমি দেখি একজন সৎ মানুষের অসহায়তা হিসেবে। স্বাধীনতার দিন গান্ধী রাজধানীতে অবধি ছিলেন না। সংবাদমাধ্যমে কোনও অভিনন্দনসূচক বিবৃতি প্রকাশেও তিনি তাঁর অক্ষমতার কথা জানান। গান্ধীর নীরবতা শ্মশানের শান্তির সঙ্গে তুলনীয়। একই নীরবতায় নাটকীয় প্রেক্ষাপট থেকে সরে গিয়েছিলেন লাল কোর্তার গফফর খান। সীমান্ত গান্ধীর বুকেও এক খা খা শূন্যতা নেমে এসেছিল।
আমরা ভেঙে গিয়েছি, এই কথার চেয়েও আমাদের আরও বেশি করে বলা উচিত, আমরা এক ছিলাম। আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে যারা শ্যামাপ্রসাদের দক্ষিণপন্থা অথবা ‘লৌহমানব’এর অটল দেশপ্রেমের বিষয়ে বুক বাজিয়ে প্রচার করে থাকে – তাদের উদ্দেশ্যে বলব, এই মানুষেরাও – এরা প্রত্যেকেই দেশভাগে সম্মতি দিয়েছিলেন। ক্ষমতা দখলের উদ্দেশ্য বুকে নিয়েই সম্মতি দিয়েছিলেন। আমরা গান্ধী, আজাদ, গফফর খানেদের মতো সত্যকারের দেশপ্রেমিক নেতৃবৃন্দকে, তাঁদের নীরবতার কারণে, সৎপথে তাঁদের অসহায়তা প্রকাশের কারণে, তাঁদের পাশে দাঁড়াইনি। আমরা তারও পরবর্তীতে কেবল হিংসার স্মৃতিচারণাতেই ব্যস্ত হয়ে থেকেছি। আমরা বিভাজিত গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যে হাত বাড়িয়ে দিতে অস্বীকার করেছি। আমরা কে কতটা খারাপ, কেই বা কতখানি বেশি হিংসাত্মক, সেই আলোচনাতেই নিজেদেরকে ব্যস্ত রেখেছি। আমরা কেউই, সত্যজিতের সংলাপের ধরণে বলে উঠতে পারিনি, “আমরা ভালোর দলে! আমরা দেশ ও দশের শান্তির পক্ষে।” আমরা হিংসার নস্টালজিয়াতেই কেবল অকাতরে গা ভাসিয়ে এসেছি।
রাজনীতিকদের অজুহাত দেবেন? বলবেন, দেশ ও সরকারের নিজস্ব নীতি প্রণয়নের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কোনও বক্তব্য থাকে না। পালটা জিজ্ঞেস করব, এই প্রতিনিধিদেরকে তো আমরাই নির্বাচন করে পাঠাই। আমরা কয়জনে ঐক্যের প্রয়োজনে সত্যকারের কোনও সাংগঠনিক কাজের সঙ্গে নিজেদেরকে জড়িয়েছি? আমরা কয়জনায় ঐক্যের কথা বলেছি? বরং ওই বিশেষ গোষ্ঠীর মানুষেরাই সকল সন্ত্রাসের কারণ, এমন অতি সরলীকরণের কথাবার্তাতেই আমরা উষ্ণতা পেয়ে এসেছি। প্রসঙ্গত বলে রাখব, এই উষ্ণতা সংক্রামক ও সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক গোষ্ঠীর সদস্যেদের ক্ষেত্রেই এই পারস্পরিক হিংসার মনোবৃত্তিটুকুই শেষ অবধি জ্যান্ত থেকে গিয়েছে। এখানেই মানবতার পরাজয়। দেশভাগের ষড়যন্ত্রীদেরও সাফল্য এইখানেই।
মানুষ বড় সস্তা, মানুষের মন হিংসার প্রতিই আকৃষ্ট হয়। তাই গডসের স্মৃতিমন্দিরেই আজ আমরা পুষ্প-অর্ঘ্য প্রদত্ত হতে দেখি। আকাশেরও উপরে মাথা তুলতে দেখি ‘লৌহমানব’এর সুউচ্চ প্রতিমূর্তিকেই। গায়ের জোর, ক্ষমতার আস্ফালন, ও কূটনীতির দখলদারিকেই আমরা সাফল্য বলে স্বীকৃতি দিয়ে এসেছি। পক্ষান্তরে যে মানুষ, অপেক্ষার কথা বলেছিলেন, একত্রে থাকতে চেয়ে সামান্য আরেকটু ধৈর্যের কথা বলেছিলেন, একতার কথা বলেছিলেন – ইতিহাসের পাতায় তিনি হলুদ হয়ে, বিলীন হয়ে গিয়েছেন। আমরা প্রেমের প্রতি যতই আকৃষ্ট হই না কেন, জুড়ে থাকার কথা যতই মুখে বলি না কেন, শেষ অবধি বিভাজন ও হিংসাতেই সুরক্ষিত আমাদের অধিকাংশের অবচেতন।
সূত্রঃ
[১] ‘যুক্তবঙ্গের স্মৃতি ও মুক্তবঙ্গের স্মৃতি’, অন্নদাশঙ্কর রায়
[২] ‘ইণ্ডিয়া উইনস ফ্রিডম’, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ
[৩] ‘দ্য ট্রান্সফার অব পাওয়ার ইন ইণ্ডিয়া’, ভি পি মেনন
[৪] ‘মি, দ্য জোকারম্যান – এনথুসিয়াজমস, র্যা ন্টস এ্যাণ্ড অবসেশনস’, খুশবন্ত সিং