দোঁহা

অমিত চক্রবর্তীর গুচ্ছ কবিতা


নিশিদিন, নিশিদিন

 তুমি কি আমার ট্রিগার না আমি তোমার, কী অপূর্ব...

সেই সেলোফেন টেপের বিচার, জুড়ে দিয়েছে খাতা, অভিমানী ফাটল তার, ছেঁড়া কোনাকুণি দাগে আতঙ্ক, উৎসর্গ পাতায় লেখা সুহাসিনীকে…
 

পাতা ওল্টালেই কিন্তু দেখতে পাবে তাদের গাঙচিল ক্ষুধা, খুঁটে খেয়েছে ভালোবাসার শতাংশ।

এই বই ঘাড়ে করে আমি হাঁটতে বেরোই ফের, আমার একাকিত্বের মহাপ্রস্থান বোধহয়, সমস্ত অপকর্মের শেষে উজাড়, চোখধাঁধানো হ্যালুসিনেশন।
 

আমাকে বইয়ের ভাষা থেকে বাঁচাও এবার ললিতা বিশাখা, তুফানি পবন, চিকনকালা ভাষা আমার বিজ্ঞাপনের মোড়কে ঢাকা দ্বিধা কুন্ঠার তোড় থেকে বাঁচাও, সেই যে জেলিয়া ছেলেটা একবার আঁচল খসে যাওয়াতে হাঁ করে তাকিয়েছিল।

 

আমার ভাঙল যা

ভেবেছিলাম 

শিখে ফেলেছি তাৎপর্য, পরিহাস কৌতুক, অপমান শিখা, ভেবেছিলাম শিখে ফেলেছি রহস্যভেদ এমন কি বেদনাও। এমন ভাবে 

কি

ধাক্কা দেয় কেউ? ধাঁধা লাগানো সময়, আমি অবশ্য ভালো আছি একটু, খুঁজে পেয়েছি

কবেকার হারানো লাট্টু, দশকর্মা দোকানে কেনা ডুগডুগি উল্লাস, আসুন আমরা আজ একটু সময় নষ্ট করি দু’জনে।

তারপর বাকি গল্পটা লেখা হোক এইভাবে। “বলব না যাও, শোনো না বলে ডাকলেও সাড়া দেব না আর” – কেউ নিশ্চয়ই তাকে ভালোবাসবে, আমি ভাঙাহাসি দিয়েই ঘিরে রাখি এখন, আমি ঠিক কতটা খুশি সে মেপে ফেলতে জানে। আপনার সুপ্তরাত, আমি তাহলে ফের ভাঙনের পথেই যাই?



অসমাপ্ত কফিকথা

অসমাপ্ত কফিকথা, অসমাপ্ত কবিতা

গলা ধরে আসে, মর্স কোড ফেল করে যায়

অদৃশ্য সৌরঝড়ে, তার ঝলমলে ধাক্কায়

তার রঙচঙে বোরিয়ালিস কাব্য

অসম্পূর্ণ আবার, বিকল, তোমার পুরোনো সাধক।

ছোট বৃত্তে স্বাধীন ছিলাম সেদিন, স্বেচ্ছাধীন

হলফ করে ভালোবাসার শপথনামা,

এ কী করুণা, করুণাময়

দেয়ালগুলি, ফটকগুলি জানা ছিল না তখন।

অসম্পূর্ণ আবার। বিকল।

কাল সন্ধ্যায় বলে ফেলেছি সমাপ্তির পরের কথা

দু’জন অসহায় মানুষ মিলে ব্যক্তিত্ব এখন

দু’জনেই তাই চুপচাপ, পাশাপাশি দুটো চারাগাছ যেমন

দু’ধরনের ক্যাকটাস, লতানে ভাবটা একটু কম।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন