দোঁহা

অরিত্র দ্বিবেদীর কবিতা

 


তাড়িত মৌচাক

আকাশবাতি ক্রুদ্ধ লতা
নিষ্পিষ্ট স্বর
কামিজ ছেঁড়া দীর্ঘ ভুরু
সুপ্ত অবসর
'যৌনতা, নীল চকের খড়ি'
বক্ষদুটি গত
রক্ত পীত গর্ত ছায়া
অধস্তন ক্ষত।

এয়োতি মেয়ে চানের ঘর
যোগচিহ্নে নাম
পুকুরবাসী পদ্মপাখি
ন্যুব্জ লালা কাম
গুপ্তবীজ রক্তখেকো
গণতন্ত্রে খুঁত
দয়া স্থান গোপন খিদে
পূণ্যি অবধূত

হা-মহাত্মা হো-মহাত্মা
গর্ভপাতে কমা
বিঁধিয়ে রাখা দাঁতের কিরা
বউদি শাড়ি, ক্ষমা!
ব্রিজের নীচে ঠাণ্ডা ছায়া
রাত্রি সাইক্লোনে
শ্রান্তিহরা ভোটের যোনি
চোদ্দ পরিজনে।


বাবা 

বাবারা আওয়াজ করেনা শুধু চেয়ে থাকে
অশ্বত্থ পাতার ফাঁকে রোদ
মিনিবাসের জানলায় ঘেমো মুখ
লোকাল ট্রেনের ব্যাগ তুলে বাঙ্কে রাখা

যখন আমার নারীমন হয়
যখন আমাতে মেঘ করে আসে
ঘূণ ধরে যায় জাগ কাঠে
বাবা কিছু বলে না তো। চেয়ে থাকে

আষাঢ় পেরিয়ে বর্ষা নামে
খিদে পেরিয়ে পড়ানোর টাকা
খবর পেরিয়ে লাশ নামে
ভোটের খবর। বাবা, চেয়ে থাকে।

পৃথিবীর খানা তল্লাশি হয়েছে
কোনো অক্ষর পায়নি কেউ
দোকান থেকে খরচ খাতা কিনতে যাই
চাল কয়েকটা বেঁচেছে ঘরে।
মা বলে, "বলতে নেই, বল চাল বাড়ন্ত"
বাবা কিছুই বলেনা। চেয়ে থাকে।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন