ম্যাগনিফায়িং গ্লাস
সে এখন মধ্যাহ্ন সূর্যের মত অবিচল। চরাচর ভরে গেছে আলোকবিভায়। কী তীব্র পারিপার্শ্বিক দহন। দুই পাশে সমান দূরত্বে নুন ও জল। এই খর দিনে আমি নির্বিকল্প হাঁটছি। খাঁ-খাঁ সড়কের ধূসর স্বাগতভাষণ ডিঙিয়ে চলে এসেছি নয়ানজুলিটির কাছে।
সবিস্ময়ে দেখি : চিমনির ধোঁয়া থেকে কাকের চিৎকারের মত কর্কশ উড়ে আসছে মানুষের ছাইভস্ম, আকাশের তলপেটে স্ট্রেচ মার্ক, পোড়া রুটির মত কালচে দাগ, হোর্ডিংয়ে ঝুলন্ত যুবকের গলায় রেশমি টাইয়ের ডবল নট...এমন অসময়ে কেন যে ডেকে উঠে চলে গেল পাখি!
ঝড় থামার পরে যা কিছু
সহজভাবে এসো-এই কথাটার মধ্যে
যে বার্তা লুকোনো ছিল
তা না বুঝেই ধূলিঝড়ের সাথে
খলখল করে হেসে
পিছন দিকে উড়ে গেল খড়ের কুটির...
প্রতিরোধহীন এই আশ্চর্য উড়ান থেকে
সামান্য দূরে দাঁড়িয়ে দেখি
শহরময় যত বিজ্ঞাপন ছিল
বিজ্ঞাপনে যত মুখ ছিল
বাতাসের প্রাবল্যে সেইসব মুখ ছিঁড়ে
মুখের তালু ছিঁড়ে বাইরের দিকে
জিভ ও টাকরা ঝুলে পড়েছে...
কিছুতেই বোধগম্য হচ্ছে না
এমন যাচ্ছেতাই অবস্থায় তুমি
হাসলে কীভাবে?
