দোঁহা

দেবব্রত রায়ের কবিতা

  


জ্বর ও প্যারাসিটামল

ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার সঙ্গে প্যারাসিটামলের কোনো সম্পর্ক নেই
১০০জ্বরে ডাক্তারবাবুরা প্রেসক্রাইব করলেও, নোট-বন্দী, আধারকার্ড-গচ্চা এমনকী, প্রেসিডেন্সির কুম্ভীরাশ্রুর জন্য আদৌ প্যারাসিটামল নামের কোনো হেলিকপ্টার শট কিংবা,কভারড্রাইভ বরাদ্দ থাকে না
যার এনভেলাপে অব্যর্থ সিক্সার কিংবা, বাউন্ডারির মতো ঘাম দিয়ে জ্বর ছাড়ার একটা জবাব থাকে

অবশ্য, জবাবদেরও খড়িশ-জিভের জ্বর-তাপ  প্যারাসিটামলে লালন ফকির হয়ে ওঠে না

ইট খেলে পাটকেল ছুড়তে নেই, সমুদ্রের মতো এ-ব্যাপারে প্রেম বিলোতে নদের নিমাই ছাড়া আর কাউকেই দেখি না    

গলাজলে হাবুডুবু খাওয়া জাহাজের কাছে খটখটে ডাঙাই এসওএস-এর প্যারাসিটামল


কাদা তো ছিটকোবেই

এত ঘনঘন কাদা ছিটকোচ্ছে যে ক্ষার-খোল বাটিসাবান দিয়ে হাজারবার ধুলেও,কুলোচ্ছে না

এইমাত্র দত্তপুকুরে ধোপদুরস্ত হয়ে উঠলাম তো মিনিটখানেকের মধ্যেই, কাদাজল-আবর্জনা কাঁধ ডিঙিয়ে মাথায় চড়তে চাইছে

ফুল, কাঁটার পাশাপাশি কাদা তো থাকবেই। যদিও ফুল এবং কাদার মাঝখানে কাঁটাই জেড-ক্যাটাগরি। কারণ কাঁটার ছ্যাঁকা না লাগলে ব্যাঙের পেচ্ছাপেও ফুল-কুঁড়ি-এসবই ঘরের কৌটোই রাখা মোয়া হয়ে উঠত

আমরা তো ফুল কুঁড়ি কিংবা, আকাশ নই, আপদ-মানুষ। এবং যাদের একমাত্র পা-ই সম্বল, তারা ঘটি-বাটির টানে আকাশে উড়তে পারে না

সোনার চামচেরা অবশ্য ফেবুতেও ডাস্টবিন দেখতে চায় না
যারা পায়ে হাঁটে, চায়ের দু-ফোঁটা দুধই যাদের পুষ্টি এবং বরা-ই(শুয়োর) যাদের ভগবতী তাদের চপ্পলই ক্যারেক্টর-সার্টিফিকেট

চপ্পল-সম্বল-জীবনে কাদা তো ছিটকোবেই

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন