দোঁহা

বিনয় লাহার কবিতা

 


পাপ পুণ্য হাহাকার  

পুরো উত্তর থেকে দক্ষিণে ধান জমেছে মাঠে
খাদানের নোনা শ্রমিক কয়লা কেটে ফিরে যাচ্ছে।
শীত নামার আগে পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড দেখে নিচ্ছে ঈশ্বর।
ঋতুভেদেও এখনো আমরা অসমান।

ইওরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা মিশতে চাইছে ভ্রমণে।
আমরা খামোখা ভুল ভাবে ইতিহাস লিখেছি।

জানি আমরা সকলেই মারা যাব একদিন
তবুও শেষ মৃত্যুর আগে রূপোলি হিমালয় আর সোনালি সমুদ্র দেখে চিতার আগুনে ভস্মীভূত হবে মেঘ।

সেই মেঘে বৃষ্টি জমলে সৃষ্টির আদিমতম সত্ত্বায় বিরল হব পাপ পুণ্য হাহাকারে।

পুরো উত্তর থেকে দক্ষিণে ধান জমেছে মাঠে
খাদানের নোনা শ্রমিকরা কয়লা কেটে ফিরে যাচ্ছে বাড়ি
শীত নামার আগে পুরো বিশ্বব্রহ্মাণ্ড দেখে নিচ্ছেন  ঈশ্বর।
ঋতুভেদেও এখনো আমরা অসমান।

অথচ ইওরোপ, এশিয়া, আফ্রিকা, আমেরিকা মিশতে চাইছে ভ্রমণে।
আমরা খামোখা ভুল ভাবে ইতিহাস লিখছি।

জানি আমরা সকলেই মারা যাব একদিন
তবুও শেষ মৃত্যুর আগে রূপোলি হিমালয় আর সোনালি সমুদ্র দেখে চিতার আগুনে ভস্মীভূত হবে মেঘ।

সেই মেঘে বৃষ্টি জমলে সৃষ্টির আদিমতম সত্ত্বায় বিরল হব পাপ পুণ্য হাহাকারে।


জীবন

মনে পুরোপুরি গৌতম, শরীরে অশোক।
জীবনে বারবার ফেরে মোক্ষ থেকে ভোগ।

কিংবা ভোগ থেকে নির্বাণ আসে আটকে যায় চাকা।
ধর্ম ও রাজনীতি মিলেমিশে বাঁকা।

আপেক্ষিক সংকল্প যার ফেটে যায় বাঁশি
একবার ঘুরে এসো বৃন্দাবন অথবা কাশী।

তুমি যে নদীর কাছে চুপচাপ বসো
আধ্যাত্ম কিছুটা হলে বাকিটা অংঙ্ক কষো।

জীবন অনেক বড় যদি তুমি বেঁচে যাও চার পাঁচ দশক।
তোমাকেও ভাগাড়ে নেবে শকুনি, নরক।

কার যে কি হয় কেউ কিছু জানে না বোধ হয়।
পর্বত গলে গেলে আম্বানি অনিল হয়।
মানে রাজাও ভিখারী হয়
ভিক্ষুক হয় রাজা
তুমি বরং বাড়ি ফেরো
কিনে দুই খাজা।

কার মাথায় কি যে চলে কেউ কিছু জানে না
তোমার বাঘনখ, আমার হ্যাসট্যাগ তেমনভাবে মানে না।

এর থেকে ঢের ভালো মেপে খেয়ে বাঁচা।
তুলাই ও মাংসের লোভে জ্বলে গেছে খাঁচা।
হাড় মাংস চেটে খাচ্ছে নাগরিক মন।
আজ আছি কাল নেই বিস্ময় জীবন।

নিজেকে চিনতে শেখো বালক জীবন!l

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন