হরপ্পানগরী
সামনেই বড়রাস্তা, রাস্তা পেরোলে মাঠ
আর একটু হাটলেই ডানদিকে হরপ্পানগরী,
চুষে খেয়ে ফেলে যাওয়া পরিত্যক্ত ইঁটভাটা।
ইঁটভাটা বেয়ে নেমে আসা অসংখ্য চাকার দাগ
যাকে লুপ্ত পয়ঃপ্রনালীর মৃত প্রোফাইল বলে
মনে হয়...
উঁচু নিচু ঢিপির উপর ভাঙা তৈজসের টুকরো
অগ্নিকুন্ডের দৃশ্য উসকে দেয় স্মৃতি, এখানে একদিন
মানুষের বসবাস ছিলো। নোম্যাডিক সে সংসার,
এখন সেখানে, জন্ডিসের মতো হলুদ কগাছা ঘাস...
জিভ দিয়ে মাটি চেটে খেয়েছে আগুন।
বড়রাস্তা, শূন্যতা, অগ্নি নির্বাপন চিহ্ন
যারা ছিলো চলে গেছে, রেখে গেছে শুধু
মাটি পোড়ানোর পাপ, অভিশাপ
আর একটা হরপ্পানগরী
বৃদ্ধাবাসের সন্ধ্যা
এখানে সন্ধ্যা বেশ তাড়াতাড়ি নামে,
প্রত্যেকটা ঘরের মধ্যে আলো জ্বলে ওঠে।
বাইরে বেড়াতে যায় যারা তারা ফিরে আসে,
ফিরে আসে নিজেদের ঘরে
কেউ কেউ ডর্মিটরিতে
একটু পরে, হলঘরে প্রার্থনা সভায় যারা যায়
তারা একটু বেশি উৎসাহী...
হতাশায় ডুবে যাচ্ছে যারা তাদের প্রার্থনা নেই,
তারা অন্ধকারের দিকে চেয়ে থাকে একা
একদম একা একা
বৃদ্ধাবাসের রাত দীর্ঘস্থায়ী, বুকে চেপে বসে থাকে
পাথরের
