দোঁহা

কৌশিক সেনের কবিতা

  


কলিঙ্গযুদ্ধের পর

ওখানে রেখে আসা মৌর্যের বাস। ধরো, থাক মুঠো মুঠো ত্রিপিটকবীজ বিঁধে থাক বুকে আর পেটে
ওখানে মেলে ধরা আলোছায়া সান্ধ্য পোশাক শাকম্ভরির গান, সোনামুগ রোদ জেনে, নিয়ে গেছে চেটে।

সে কোন বাজের দিন, থাবায় থাবায় জমে ক্রোধ নখরের কারুকাজে দেহের গভীরে জমে আজরখ সাজ
চঞ্চুতে ঝুলে থাকা পাঠানের রাজবেশ, অধিকারবোধ বেতজ প্রেমের দাস, কাশবনে অশ্রুত আওয়াজ।

আমার দেহের ধ্যান, আকরিকে গেঁথে রাখা স্বাগতভাষণ যখনই সন্ধ্যা নামে পুরনারী জ্বেলে যায় শুভ দীপশিখা
আমার বাহ্যজ্ঞান, পলির জোছনা মাঝে আবেগি আসন 

তাইতো যুদ্ধ সাজ, বেদনার চারিপাশে খুঁড়ে রাখা দীঘল পরিখা।

অমরাবতীর পর আরওতো সীমানা আছে, তমসাবৃত

বেদনার গুটি জমে নিলয়ের পিঞ্জরে, মহাকবিকৃত।

 
সঙ্ঘামিত্রা

তোমার বৌদ্ধবাক ছিঁড়ে যাবে একদিন, মেঘে মেঘে সিংহল রোদ
ঘুমের কুয়াশা থেকে বাতাস পেয়েছ যদি, বাজিয়েছ মধুর সরোদ।
আগুনের তাপে যদি শুভ্র শুচিতা জাগে, জাগে যদি দহনের দিন
এ’ঘোর ঋতুর ভার ভেঙে যাক দুর্দিনে, সুবাসিত রাঙা ন্যাপকিন।

পশুর অধিক শ্রম যুদ্ধে থামেনি তবু, তবু হৃদে দগদগে ক্ষত
তবুও ধম্মতাপ, রাজকীয় সন্তাপ, জানে শুধু আদি তথাগত।
পোশাকি প্রেমের দামে ঝর্ণাকলমে লেখা, শিখে রাখা বিনয়ের ভান
আমরা শিখেছি তবু, সেদিকেই জল বহে, যেই দিকে অমোঘ ঢালান।

স্নানের প্রবাহে দেখা রাজ্যের উত্থান, মেঘ বুঝি আজও পলাতক
মৌর্যরাজার দেশে কভু অবধুতবেশে আসে যদি বুদ্ধ জাতক!
রক্তের আখ্যানে খাগের কলমে লেখা, নগরনটীরা জানে সব
সবইতো দেবতাভাণ, বাথটবে শাহীস্নান, জানে শুধু মোহনবাসব।

জাভাদ্বীপে অভিপ্রেত, প্রেতিনী ডেকেছে নাকি, টাচস্ক্রিনে জমেছে পরাগ
তুমিও দেখেছো বলো, রাজগদি টলোমলো, ত্রিপিটকে রক্তের দাগ।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন