সম্পর্কের বাজারদর
ভেঙেপড়া বলতে কিছু হয়না,
সময় জানে তা।
হয় হেরে যাবে সময়ের কাছে-নয়তো হারিয়ে দেবে সময় কে,
এটাই বাস্তবতা।
আগুন ও শুকিয়ে যায় একসময়;
দম ফুরিয়ে লালচে আভা দেখা দেয়;
আগুনের বয়েস বারে, অসুস্হ হয়,
কেঁচোর মত শিথিল গতি পায়।
কেরোসিন ও পারে না আগের জৌলুস ফিরিয়ে আনতে।
সময়ের অনেক দাম।
বুঝলে-
সময় কেঁচোর মত নয়; বাঘের মত দৌড়োয়।
রোদএর তাপ গা পুড়িয়ে দেয়,
তামাটে হয়ে যায় বাহির ও ভিতর,
মন পোড়ে দেহ পোড়ে,
রুটির মত ছিড়ে ফেলে কেউ।
জীবন ছারপোকা খায়,
দেখার লোকজনেরা দেখে যায়-
যেহেতু তারা অসহায়।
তবুও আকাশে উড়তেই থাকছো তুমি তোমার ডানায়-
দিন সন্ধ্যা রাত ভোর,
আমি যে তোমার ডালে বসে আছি,
তোমার ফেরার অপেক্ষায়।
সময়ের বাজারে আগুন লেগেছে,
তাই অনেক দামী এই সময়,
সম্পর্ক যতটুক হয়েছে অবক্ষয়;
বাকিটা জীবাশ্ম হতে দিও না।
সম্পর্ক অববাহিকা
আমি একটা মরুভূমি,
যাতে আছে শুধু ক্যাকটাস, আছে মরিচীকা আর জমা আছে রাশি রাশি ছাই,
যে ছাই দিয়ে আগুন জ্বলে না।
শুধু কাকেরা সেই ছাই উড়ায়।
একদিন এই ছাই চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছিলে তোমার জন্য আমার মধ্যে থাকা হাজারো অনুভূতি,
নদীর ধারের ওই বড় বড় পাথর দিয়ে থেতলে দিয়েছিলে মিষ্টিমধুর প্রেম,
যতই ফেলেছি চোখের নদী,
ততই তুমি তোমার নৌকা নিয়ে পালিয়ে যেতে থেকেছো,
আমায় মন্থকূপ বানিয়ে তুমি অববাহিকা হয়ে গেছো।
কখনো হিমেল বাতাস বয়,
কখনো জল শুকিয়ে খরা হয়,
কখনো বা মৌসিনরাম,
দুটো ঝড় শেষে আলাদা রয়।
আমাদের ও সব আলাদা হয়ে, সব মিসম্যাচ হয়ে যায়,
যেটা ছত্রিশে ছত্রিশটা (৩৬ এ ৩৬) গুন মিলেছিল একসময়।
চলতি ফিরতি শ্বশ্মান হয়ে ঘুরেছি দুজন দুজনের চোখের সামনে,
হ্যালোজেন চালাতে চেয়ে হ্যারিকেন ও জ্বলেনি, সম্পর্কের দোকানে।
মনে রেখো লোন করেও পাওয়া যায় না হারানো সময়।