পরিণতি
এবং আশ্চর্যব্যথা লিখতে গিয়ে
ইতিহাস ছুঁয়ে দেখি
একঘেয়েমি পতনশব্দ
তাই সমাধি খুঁড়িনি আর
ঝাঁক ঝাঁক পাখি খেয়ে গেছে শস্যদানা
ব্ল্যাকবোর্ডের মতো রাত্রি নেমে আসে...
কবি
লেখা খেলা, খেলাই লেখা
এ তো পুরানো প্রবাদ
লিখব বললেই লেখা হয়...
আশার লোভ অথবা লোভের কুয়াশা মরে গেলে
একজন মানুষ কবি হয়ে ওঠে...
অলৌকিক
বিরহী সময়ে সুরে সুরে পুড়ে যাচ্ছে মন
জখমের দৃশ্যে মনখারাপের জল গড়িয়ে পড়ছে
এই দুর্বলতা ছিঁড়ে, বাঁকবদল
বিচ্ছিন্ন দ্বীপের থেকে ফিরে আসি স্বাভাবিক ছন্দে
সমস্ত সমরজিৎ তীব্র হয়ে ওঠে
অলৌকিক আলোর পাশে আমাদের বাড়ি...
স্বভাবদোষ
যত দূরে সরে গেছি
তোমার চোখ তত আনমনা
যেন শিশিরে ভিজে যাওয়া বইয়ের পাতা...
পাড় ভাঙা গল্পের কাছে
ঢেউ এসে ফিরে যায় রোজ...
শরীর মেখেছে শহর
তবু এই দুর্বলতা ছিঁড়ে
স্বভাবে লিখে যাচ্ছি, তোমাকে...
দোঁহা
যদি অন্ধকার থেকে ঝরে পড়ে সম্ভাব্য বকুলকথা, তীব্র তৃষ্ণা; তবে আলোর সংসারে কীসের প্রত্যাশা? চোখে চোখে পরিণয় হোক। হাতে হাতে পাণিগ্রহণ। সম্পূর্ণ চন্দন গন্ধে বিবাহচরিত।
অকস্মাৎ প্রাণের বায়ুর গর্ভছিঁড়ে নেমে আসে সাধকের নরম চিৎকার। মিহি কান্নায় শিরদাঁড়া সোজা হয়ে আসে। জানলায় জানলায় হলুদ রোদের আভা। আলোকসংশ্লেষ।
সর্বাঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া হ্রেষাধ্বনি পা গুলোকে স্থির থাকতে দেয় না। অভিযান থেকে কুড়িয়ে এনে মুক্তো, ভাসিয়েছো অভিমান। ভেসে যেতে যেতে সাতমহলা সমুদ্রবাড়ি। বিনয়ী ঈশ্বরের মতো অদ্ভুত নৌকায় দুলতে দুলতে জীবৎকালেই অসামান্য মৃত্যুকথা লিখলেন কবি। কবীরের দোঁহা।