দোঁহা

সৌমিত্র উপাধ্যায়ের কবিতা


 ফাঁকতাল

আমাকে ফিরিয়ে দেয়
জানি অন্ধ আকূতিতে হবে না লাঘব
এই জান্তব ক্ষোভ, তবু পিছন থেকে ডাকি
অচেনা সুরঙ্গে যাবো না একাকী

দুপাশে কাজল ঢাল মৃতপ্রিয় আগুনের ঝাঁকি
দূরেতে কম্বল ঢেকে ঢুলছে সারস
তার পাশে অস্তমিত পক্ষীবিশারদ
তারাই করবে নাকি যুদ্ধবিরতি

আমাদের ঢাল নেই ফিকে তরোয়াল
তাই চুপ করে থাকি
শত্রু চিনেছি তাই ডোবার ভয় নেই
ফাঁকতালে একছুটে পাতাল ছুঁয়ে আসি

ডাকবাক্সে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তখন জন্মায়
বাবুই চড়াই বনবাসী…


তুষারযুগ

দূরে কোথাও লেগেছে গ্রহণ
আমাদের গ্রহ ছিল বাতাস কাঁপানো
আগুন ছিলনা, ছিলনা ফতোয়া
ক্ষয়িষ্ণু জীবন তাই ফোলানো ফাঁপানো

দুরন্ত কীট আপাত কঠিন প্রক্রিয়া
তাহাদের কথায় মেনেছিল ব্যাকরণ ব্যাকটেরিয়া
বাঁচার অধিকার ছিল
ফিরে পাওয়া এক প্রলোভন

দূরে দূরে তারাদের পাড়া
তাদের বুকেতে বাঁধা বারুদের স্তুপ
পাঠিয়েছে ভিনগ্রহের সশস্ত্র মানুষ
হৃদয়ে দিয়েছে ভরে স্বপ্ন দেখার মাসুল

বলেছে এসোনা এখন পাথর হয়ে যাও
কানাঘুসো শোনা, ফিরছে তুষারযুগ...

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন