দোঁহা

বিমান মৈত্রের কবিতা

 



ত্রয়োদশীর দুপুরে  

একপাখি দুয়েপেলে তিনচার প্যাঁচখ্যালে পেটভরে আকাশেই দমকার লালমাখা নিশানায় জোনাকির ফাঁসিদের আড্ডায় লাউডগা হাইতোলা বিস্ময় স্কুল-এর কোণেও কানাচে কোণে উগড়ায় অনন্ত বিস্ময় বিস্ময় হরিষে বিষাদ‌ময় পাতনপ্রণালী নষ্টসুধার নীচে পালকের সুখভাঙা আহাদিন হেথাহোথাভাঙা কবুতরযথা ভাঙা কবুতরছড়া আঁশনুড়ি নুড়িরগোমুখ গানে বয়ে আনে মিঠেরোদ হিমাঙ্কবাতাসরোদ একোন পাখিরবোধ অন্যতর তরল গড়িয়ে দেয় আদিম কামনা ভূমিতে ভূমির বন্ধুর উচ্ছ্বাস আর কিছু অপভ্রংশ দাহক দাহক ধায় তারা ধায় বহুদূর বহুদূর যেতে হয় উড়ে নির্বাসন ঝলসানো কর্দমাক্ত অঙ্গদূত পোনাছোটে অগণন আলোককণা হে যথা জেলি শুভ্রঅগণন এলোকেশী ক্রোমোজোম ক্রোমোজোম এলোকেশী ছুট ছুটযথা উড়ানের উড়ানতো গুঢ়পথ আমিদের সাধিকা হে সহচরী খেলা হবে খেলা করি জামরুল চাম‌ড়ার আচারে আচারনিশীথে সেই অজস্র বিকারাচারী বুকপথে হেঁটে যায় কিয়াশায় কিয়াশায়‌ এশুধু র-যোনিচিত ভাঙনসংগীত উৎগীথ উপাসনা কণা তুচ্ছ আপনাকে আপনি দোহনমাত্র অন্তরীক্ষে ফাটল উল্লাস


উঠোনবিলাস

পাকা খেলুড়ের মতোই তোমার পারদর্শী জীবাণু
ধীরে...ধীরে...ব্রাউনীয় আশ্লেষে আমার ছাপোষা পানসি আন্দোলিত হয় কতগুলো গাণিতিক সংখ্যার গড়ের মতো -তোমার শিকারের দিকে তার বিস্তারিত থাবা, আকাঙ্ক্ষার রক্তাক্ত অস্থিরতা, যদিও বাইরে উলটে খাবার মত কোন ভাজা মাছ নেই অথচ আমাকে লগি ঠেলে যেতে হয় অথবা আত্মসমর্পণ করতে হয় মীনরাশির ইচ্ছের কাছে কখন আসবে জোয়ার কখনই বা দিতে হবে পাড়ি সেই অপরিশ্রুত মহাকাল অপ অথবা সেই মাছি মারা দিন সেই ঋতুচক্রের ঘুরে ফিরে একই উঠোনে পিছলানো উঠোনে সাবানের গান শোনা, অসাবধানে; নইলে খোলা খিড়কির উষ্ণ প্রস্রবণের অবগাহন যাপন অধরাই থাকে। সদ্যোস্নাত উঠোনভৈরবী।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন