দোঁহা

গৌতম কুমার গুপ্তের কবিতা



সেলফি

প্রতিদিনই সংজ্ঞা ঠিক করি
সরলকোণ দেখে নিই তারপর ঝলকানি চমক
চলে যাই স্মৃতিগ্রন্থনে
দেখে নিই চটক মৃদু হাসিটি ফুটেছে কিনা
চুলের আঁধার নেমেছে কিনা টাল খেয়ে কপালে

মৃদু ঘামতেলে ঈষৎ লেগেছে কিনা আর্যসুন্দর
নাকি অনার্য ঝুলে আছে গ্রীবায়
চৌকো চিবুকে ফুটেছে কিনা একটি ঝলক
নৃত্য গীতের মুদ্রা উৎসবের হিমআতর আছে নাকি
আছে নাকি পোশাকের প্রোজ্জ্বল অহংকার?

'আমি'গুলি একে একে খুলি
বর্তমান অতীত সাদৃশ্য ও তফাত কোথাও কিছু
ফিরে দেখা সন ও তারিখের মহাকাল
ত্বকসমগ্রে আমার পুড়ে যাওয়া লবনের দাগ
স্বোপার্জিত খাদ্যপ্রাণে কিছু কিছু আগুনের শ্লেষ

আগামীকালও ঠিক হবে নিজস্বী ব্যাকরণ
ফোকাসের নৈঋত অগ্নি ও বায়ু জলবায়ু ছবি



আগামী

একটি আগামী দেখবো বলে
দরজার দিকে হাত বাড়ালাম। সূর্য ডালপালা ছড়াতে শুরু করেছে অলিন্দ দিয়ে। চোখের ওপরে রোদ্দুরের অভিমান।

অতীতের জানালা বন্ধ করি না। কয়েকটি নুড়ি পাথর কুড়িয়ে মহাযাত্রা। এখানে লেখা আছে প্রশস্তি ও সম্ভাব্য দৈনন্দিন। দু একটি ঘৃণ্য ছায়া নড়িয়ে দিয়েছে অভিমুখ।

এই পরাধীন বৃত্তেও জ্যা বরাবর সরলতা ছুঁয়ে আছে। মন্দ উপাখ্যানের অনিশ্চিত কৌতুহল পেরিয়ে পরিধির ব্যাপক জড়াতে চাইছে আগামী বৃত্তীয় পরিমন্ডলে। আকাশের সব গলি আজ বিদ্যুতের পরিভাষায় নীল তারা হয়ে উঠছে।

উন্মুখে বিলীন এই স্বাগত আগামী। ধীরে ধীরে দরজা খুলে যাচ্ছে। আমার পায়ের উঠোনে সমাগত হেমন্তের মৃদু উৎসব

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন