রামপ্রসাদী
সংসারে রেখেছো আমায়, সন্ন্যাসী করনি
নালাক্ষ্যাপা আমি, বেড়া বাঁধতে গিয়ে দেখি, গিঁট দিতে কম পড়ল দড়ি
ছদ্মবেশে এলে কাছে, ধরাও দিলেনা…এ কোন ছলনা তোমার!
ততক্ষণে মগজে এসেছে পদ, বিন্যস্ত হতে চাইছে, গুনগুনিয়ে উঠছে অন্দরবাহিত স্রোত
তোমারই শেখানো বুলি উৎসারিত হয়ে আসে, আমি কেউ নই।
জানি, অলক্ষ্যে দেখে নিচ্ছ, শুধরে দিচ্ছ উৎসর্গ পৃষ্ঠার আখর…
এ নশ্বর অস্তিত্বের পর মাতৃনামে মাতোয়ারা হতে যেন জগত ভোলেনা, মাগো, দেখো তুমি, আমি কেউ নই…
রামকৃষ্ণায়
আমি যে আমারই এই দার্ঢ্যের দায় ছেড়ে গিয়েছে কবেই
মন, তোর চৈতন্য হলনা ইহমাপে, কেঁপে যায় বিভূতির আলো
স্থবির মুহূর্তটুকু অতিক্রম করে যায় শরীরসর্বস্ব রিপু…প্রলম্বিত অনুভূতি রেখা
গিরীশ, নরেন আরও কত জনা আমার ভাবের ভাষা আবিশ্ব ছড়ালো
তোতে আমাতে যে অচিন সুতোয় বাঁধা, মা রে, কাউকে বোঝাতে পারিনি
ওরা যা দেখছে, দেখে যা বুঝছে, তাকেই ধরুক
রবিবাবু গেয়েছিল–“আমার মাথা নত করে দাও হে তোমার চরণ ধুলার তলে”…মা, আমায় ছুঁয়েছিলি তুই সেদিন!