দোঁহা

পথ ভোলা চোর

 


 মালবিকা মিত্র

তীব্র স্বরে মাইক্রোফোন বাজছে। সেইসাথে ঢাকের শব্দ। ঘরে টেঁকা বড়ো দায়। রঞ্জন ঘোষাল জানালা দিয়ে ছেলে ছোকরা দের বললো মাইক্রোফোনের মুখটা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দিতে। কম বেশি সকলেই  পাড়ায় ওনাকে মান্যিগন্যি করে। কারো মণি দাদু, কারও কাছে জেঠুমণি।

হুহ্! পাড়া! সাকুল্যে ত্রিশ/বত্রিশটা বর্ধিষ্ণু পরিবার। ডান হাতে রেলওয়ে স্টেশন, আর বাঁ হাতে সুউচ্চ পাঁচিল ঘেরা বিশাল এলাকা জুড়ে বিএড কলেজ। এরই ছত্রছায়ায় গড়ে উঠেছে এই বর্ধিষ্ণু পাড়া বিবেক পল্লী। রাস্তাটি যেন বোতলের মুখ,  একটু এগিয়ে বাঁদিকে ঘুরে দুভাগে ভাগ হয়ে আবার একসাথে মিলে গেছে।

একজন সেভেন এইটের ছাত্র, নাম বুকাই এসে রঞ্জন বাবুকে জিজ্ঞেস করলো "মণিদাদু, তুমি কিছু বলছিলে?"
-হ্যাঁ, আজ্ঞে বলছিলাম কি, হয় লাউডস্পিকারের ভলিউম কমাও, নাহলে বক্সের মুখটা স্টেশনের দিকে ঘুরিয়ে দাও। তাহলে আমার কানটা রক্ষা পায়।
পরম অনুগতের মতো "আচ্ছা, ঠিক আছে" বলে বুকাইয়ের প্রস্থান। কিন্তু প্রস্থানের আগেই বুকাইয়ের সামনে মণি দিদা, মানে রঞ্জন বাবুর স্ত্রী। সম্পর্কের ভেদে কারও ডাকে মণি মা, মণি ঠাম্মা।
-এই বুকাই, তোরা কবে এলি রে? মা বাবা তিয়াই সবাই এসেছে?
-হ্যাঁ, রাত তিনটেয় এয়ার পোর্টে পৌঁছেছি। তারপর বাই কার এখানে, বাড়িতে ঢুকে গেছি উইদিন ফাইভ। মণি দিদা, এখনো গুট্টু দাদা আসে নি?
-আজ আসবে ওরা। ক্লাশ টেন হলো, আগের মতো ১৫/২০ দিন আর হবে না। দাঁড়া, তোকে রসবড়া দেবো।
ভেতরে প্রবেশ করেই পুনরায় মিষ্টির বাটি নিয়ে ফিরে আসেন মণি দিদা। বুকাই খেতে থাকে আর দেখতে থাকে কেমন যত্নে মণিদাদু গুট্টু দাদার গীয়ার বক্স লাগানো বিদেশী সাইকেলটা ঝেড়ে মুছে তেল দিয়ে ঝকঝকে করে রাখছে।
-কি দেখছো দাদু ভাই। জানোই তো এসেই গুট্টু দাদার চাই এটা। আগেই ফোন করে বলে দিয়েছে, "সাইকেলটা ঠিক করে রেখো।"
খাওয়া সেরে বুকাই সোজা দৌড়।

ঘরের ভেতরে রঞ্জন বাবু ও তাঁর স্ত্রীর ব্যস্ততা, মাঝে মাঝে রান্না ঘরে নির্দেশ, মেয়ে জামাই নাতির পছন্দের মেনু, তাদের ব্যবহার্য্য সামগ্রী বের করে রাখা। রান্নার লোক, কাজের লোক থাকলেও সবটা দেখভাল করাও বেশ কষ্টসাধ্য। জামাই আছে মুম্বাই আইআই টি তে, পোয়াই-এ। মেয়ে নাতিও সেখানে। গুট্টুর পড়াশোনার চাপ যেমন যেমন বেড়েছে, ওদের আসা যাওয়া ততই কমেছে। তবে রোজ রাতে আধঘণ্টা চল্লিশ মিনিটের ভিডিও সাক্ষাৎ আছে বাঁধা।
হঠাৎই বুকাই, টাবুন, তোতাম, দল বেঁধে এসে হাঁপাতে হাঁপাতে বললো, "মণি দাআআদু, মণি দাআআদু..."।
-"দাঁড়াও, শান্ত হও, ভালো করে দম নাও" রঞ্জন বাবু বললেন। "এবার বলো কি হয়েছে?"
-একটা, একটা চোর...মানে একটা চোরের মতো দেখতে লোক...
-"চুপ। থামো।" রঞ্জন বাবু ধমক দিলেন। "চোরের মতো দেখতে মানে কি। দেখতে চোরের মতো হয় না। যে কোনো রকম দেখতে হয় চোর। কি হয়েছে বলো।"
-ওই তো, একটা লোক তোমাদের বারান্দা থেকে গুট্টু দাদার বিদেশী সাইকেলটা নিয়ে চলে গেলো।
-সেকি! কি হবে গো? গুট্টু তো এসেই...
-দাঁড়াও, আগেই হাউমাউ কোরো না। স্ত্রীকে ধমকে থামালেন রঞ্জন বাবু। এবার প্রশ্ন, তা চোরটা কোনদিকে গেলো শুনি?
-ওই তো, ওইদিকে, বলে কিশোরের দল অনির্দ্দিষ্টে হাত নাড়লো।
-মণি দাদু আবার বকা দিলেন, আকাশপথে? ঠিক করে বলো পাড়ার ভেতর দিকে নাকি বাইরের দিকে?
পাড়ার ভেতর দিকে শুনে আশ্বস্ত রঞ্জন বাবু বাচ্চাদের বললেন, চিন্তা কোরো না। বিএড কলেজের উঁচু পাঁচিল, ইরিগেশন ক্যানেল, আর রেল লাইনে ঘেরা আমাদের পাড়া। চোর বাবাজী এই পথেই ফিরবে। তোমরা সতর্ক দৃষ্টি রাখো, এ পথেই ফিরবে সে। যাও প্যান্ডেলে আনন্দ করো আর নজর রাখো। শিশু কিশোরের দল বেড়িয়ে গেলো।

একটু আগেই ফোন এসেছে, এয়ার পোর্ট থেকে মেয়ে জামাই নাতি রওনা দিয়েছে। ঘন্টা দেড়েকের মধ্যে চন্দননগর পৌঁছে যাবে। এদিকে গুট্টুর সাইকেল বিভ্রাট। কাজকর্মের মধ্যেই স্বামী স্ত্রী দুজনেই জানলা দিয়ে নজর রাখছে বাইরে। এর মধ্যেই পাড়ার চাকুরিজীবি কয়েক জন যুবক এসে বললো, জেঠুমণি এই পথেই চোর ফিরে আসবে এতটা সিওর থেকো না। সাইকেল চোরেরা দারুণ উইটি আর ক্লেভার হয়।
একজন বললো, "কেন চায়ের দোকানে ভরা আড্ডা থেকে সুজিতদার সাইকেল কিভাবে চুরি হলো মনে নেই?"
-নেই আবার? চায়ের আড্ডায় সবার সব কথায় কথা বলছে লোকটা। আমি ভাবছি সুজিতদার চেনা। সুজিতদা ভাবছে মল্লিকবাবুর চেনা। কে বলবে লোকটা সকলের অচেনা বহিরাগত।
-আবার সবার জন্য "আরও এক রাউন্ড চা হয়ে যাক" বলে অর্ডার দিলো। তারপর...
-হ্যাঁ, তারপর  কি একটা তর্ক বাঁধিয়ে বললো, এসব বাজারি পত্রিকায় পাবেন না। দাঁড়ান আজকের বর্তমান পত্রিকাটা কিনে আনি।
-হাঃ হাঃ হাঃ। লোকটা হেঁটে যাচ্ছিলো। সুজিতদা বললো আমার সাইকেলটা নিয়ে যাও। তাড়াতাড়ি হবে। সেই যে গেলো গন গনা গন, নেভার রিটার্ন।
-আর জামাইয়ের দোকানে অর্ডার দেওয়া চায়ের দামগুলো, বিজয় মালিয়ার ব্যাঙ্ক লোন। তামাদি।

আর ওদিকে ষোলো থেকে বাইশ চব্বিশ বছর বয়সীদের মধ্যে দারুণ উত্তেজনা সাইকেল চোর নিয়ে। দুধে ঘিয়ে আদরে আহ্লাদে মানুষ। বীরত্ব প্রদর্শনের সুযোগ এদের জীবনে বিরল। কলেজ হস্টেলে জুনিয়র দের ওপর কিছু শারীরিক ও মানসিক নিপীড়ন ছাড়া আর বীরত্ব প্রদর্শনের সুযোগ কোথায়। সাইকেল চোর অপ্রত্যাশিত ভাবে সেই সুযোগ এনে দিয়েছে। "সেই সাপ জ্যান্ত, গোটা দুই আনতো"। অতএব উত্তেজনায় টগবগ করছে তরুণ ব্রিগেড। "কুরমুর কুরমুর ধুম ধারাক্কা, হুপ হাপ হুপ হাপ"। তাদের আড্ডাতেও আলোচ্য বিষয় সাইকেল চোর। মুখার্জী বাবুর ছেলে নিলয় বললো, স্কুলে ওদের ক্লাশের ফান্টুস বয় সপ্তর্ষি একটা চোখ ধাঁধানো "হিরো স্প্রিন্ট ফ্ল্যাশ" সাইকেল চেপে আসতে শুরু করলো। কদিন পর ক্লাশের মাথা মোটা গাম্বাট বয় মনতোষ "সেম টু সেম" মডেল-কালার নিয়ে স্কুলে এলো। বললো ওটা ওর বার্থডে গিফট। সপ্তাহ দুই পর নিলয়ের সাইকেল চুরি গেলো। বহু খোঁজ খবর তল্লাশি চালিয়ে লাভ হলো না। মনতোষ নিলয়ের চোখের সামনে সাইকেল নিয়ে ঘোরে। পরে জেনেছিলাম মনতোষ সেদিন স্কুলে সাইকেল আনেই নি। এরপরে ওকে গাম্বাট বলা যায়? সাইকেল চোর দারুণ বুদ্ধিমান।

কথা বলতে বলতেই খুদে বাহিনীর চিৎকার, "ওইতো আসছে, ওই তো আসছে"। একটু পরেই সেই সাইকেল চালিয়ে ফিরে আসলো সাইকেল চোর। আর সাথে সাথে হাতে নাতে ধরা পড়লো পাড়ার বীর সেনাদের হাতে। চেঁচামেচি শুনে রঞ্জনবাবু বেড়িয়ে এলেন। সাইকেল সমেত তাকে বাড়িতে আনলেন। চোর বেচারাকে তিনি সাদরে বৈঠকখানায় বসালেন। কিন্তু তার আগেই পাঠ ভবন, সাউথ পয়েন্ট পড়ুয়া বীর পুরুষরা পেয়ে গেছে হাতে গরম "সেই সাপ জ্যান্ত"। ফলে সপ্তমীর সকালে হাতের সুখ করে নিয়েছে।

রঞ্জন বাবুর মেয়ে জামাই নাতি তখনও আসে নি। চোর বেচারাকে চোখে মুখে জল দিয়ে এধার ওধার ওষুধপত্র লাগিয়ে লুচি তরকারি টিফিন দিয়ে একটু স্বাভাবিক অবস্থায় আনলেন। এবার ইয়াং ব্রিগেড কে সরিয়ে তাদের বাবা কাকাদের ভীড়। মধ্যমণি জেঠুমণি আর মণি মা। এরপর প্রশ্নোত্তর পর্ব। এদিক ওদিক থেকে ধেয়ে আসছে প্রশ্ন।
-বাড়িতে কে কে আছে?
-বাবা নেই, মা বোন আর আমি।
-বোন কতো বড়ো?
-তা বছর কুড়ি মনে হয়। আমারই তো চব্বিশ হলো।
-তুমি পড়াশোনা করেছো?
-কোনোমতে মাধ্যমিক পাশ করেছি। আর পড়িনি।
-কোনো কাজকর্ম, মানে আয় উপায়?
-মার্কেটে এ দোকান ও দোকান ফাইফরমাশ খেটে কিছু বখশিশ মিলতো। তাতে কি আর চলে? মা দু বাড়ি কাজ করতো। শ্বাসকষ্ট, তাই আর কাজ করতে পারে না।
-আর বোন?
-স্কুল শেষ করার আগেই নিজে বিয়ে করলো। কন্যাশ্রীর টাকাটা বন্ধ হলো। বছর না ঘুরতেই ফিরে এলো আমাদের কাছে। জামাই মারধর করে।
-সাইকেল চুরি করে সংসার চলে? নাকি নেশার পয়সা?
-আমি কোনো নেশা করিনা। ঘরে টাকা দিই।
-একটা সাইকেল চুরি করে বেঁচে কত হয়?
-দেড়শো, আড়াইশো, তিনশো। সাইকেলের কোয়ালিটি কন্ডিশন বুঝে।
-কোথায় নিয়ে গিয়ে বিক্রি করো? মানে মার্কেট?
-না না। আমাদের একটা চেন আছে। আমি একজনের হাতে পৌঁছে দিলেই কাজ শেষ। সে আবার আরেক জনকে। কয়েক হাত ঘুরে, সব পার্টস খুলে, রঙ পাল্টে মার্কেটে। একবার মার্কেটে চলে গেলে আপনি আপনার সাইকেল আর চিনবেন না।
-মাসে এমন কটা হয়? সংসার চলে?
-কই আর চলে? মায়ের বিধবা ভাতা আর রেশনটা আছে তাই কোনো মতে। সাইকেলের আর ডিমান্ড কই? সরকার সব স্কুলে সবুজ সাথী সাইকেল দিয়েছে। এখন ঘরে ঘরে কতো সাইকেল। শুধু আমার ঘরেই সাইকেল নেই। আমাদের সময়ে তো দিতো না। লোকে মোটরবাইক, স্কুটার কিনছে। সাইকেল বিক্রি করে দিচ্ছে। আমদানি অনেক। তাই চুরির সাইকেলের ডিমান্ড নেই। আগে মাসে আট দশটা হতো। এখন একটা দুটোও হয় না।
-তোমাদের চেনটা কেমন শুনি। ভয় নেই আমি পুলিশ ডাকবো না। আমাকে বলতে পারো।
-শ্রীরামপুর থেকে মালটা ওঠালে শেওড়াফুলি স্টেশনে, এদিকে হলে চন্দননগর স্টেশনে কোনো প্যাসেঞ্জার ট্রেনে তুলে দেবো। আজিমগঞ্জ, গয়া, দানাপুর, মোকামা, রাজগীর এইসব ট্রেন। ওরা আবার ঠিকঠাক স্টেশনে নামাবে, লোক থাকবে। খালি হাত বদল হবে।
-আচ্ছা, যদি কোন্নগরে সাইকেল চুরি হয়?
-ঘাট পেড়িয়ে ওপার। উত্তরপাড়া হলে বালি বা দক্ষিণেশ্বর। যে কোনোভাবে লোকাল পুলিশের নাগালের বাইরে। চুঁচুড়া ঘাট, শেওড়াফুলি ঘাট পলতা ঘাট এরকম অনেক রুট আছে। যখন যেটা সুবিধা।
-শোনো বাবা, সব কাজে একটা প্ল্যান থাকে। হোম ওয়ার্ক থাকে। এই পাড়ায় আগে তো তুমি আসনি। তাই তো?
-আজকেই প্রথম এলাম। তাই জানতাম না ওদিকে আর রাস্তা নেই। আপনি কি ইস্কুলের স্যার? ওই যে হোম ওয়ার্ক বললেন। ইস্কুলে বলতো, শুনতাম না। এখন আপনি আবার বললেন কিনা, তাই বললাম।
-পাড়াটা চেনো না, তাহলে এখানে কেন এলে?
-অনেক দিন সাইকেল চুরি করি না। জানেন স্যার,
মা কালকে কেঁদে বললো, জামাইটা অপদার্থ। মেয়েটা বাপের বাড়িতে আছে। পূজোয় একটা নতুন কাপড় জোটে না মেয়েটার। কি কপাল করে বাপের বাড়ি পেয়েছে। তাই কিছু না ভেবে বেড়িয়ে পরলাম সকালেই। আগে তো প্ল্যান ছিল না। দেখলাম আপনার এই সাইকেলটা ভালো দাম পাওয়া যাবে। কিছু না ভেবেই নিয়ে ভাগলাম। ওদিকে গিয়ে দেখলাম রাস্তা নেই। আপনার যা ইচ্ছে করুন এবার।

 আমাদের চেনা ছকের বাইরের সাইকেল চোর। প্রশ্ন ও জ্ঞান পর্ব শেষ করে একশোটি টাকা, একটা নতুন শাড়ি, খান কতক পুরানো শাড়ি দিয়ে রঞ্জনবাবু চোর বেচারাকে বিদায় করার দায়িত্ব দিলেন মাঝ বয়সীদের। মাঝবয়সীরা আবার বললো মহা সপ্তমীর পূণ্যের সবটুকু জেঠুমণি কেন পাবে। এসো আমরাও একটু শেয়ার করি। মুখ্যমন্ত্রী, আমাদের দিদি তো বলেই দিয়েছেন  উৎসব সবার। বারোয়ারি কর্তারা জানালো সরকারি অনুদান পেয়েছে পূজা কমিটি। তার সামান্য দেওয়া যেতেই পারে। বারোয়ারি রান্নার আয়োজন থেকে কিছু চাল, সবজি, ডিম ফল দিয়ে দিলো। কৃতজ্ঞ চোর কেঁদে ফেললো। যাবার সময় রঞ্জন বাবু চোরের উদ্দেশ্যে বললেন 'বোনকে লক্ষ্মীর ভান্ডার টা মনে করে করিও।' মায়ের নামে স্বাস্থ্য সাথী কার্ডের পরামর্শটাও দিলেন। শুনে চোর বললো, ওসব হবে না আমাদের, লেখা পড়া জানিনা। অফিসে এই টেবিল ওই টেবিলে ঘোরাই হবে, কোনো কাজ হবেনা। "বাজে কথা বোলো না" ধমকের সুরে রঞ্জনবাবু বললেন। "এখন তোমার পাড়ায় 'দুয়ারে সরকার' বসছে। ওখানে গেলে একমাসের মধ্যে সব হয়ে যাবে।"

চোর বললো, সাইকেল টা বারান্দায় তুলে দিয়ে যাবো স্যার? বাইরে থাকলে যদি চুরি হয়ে যায়। সাইকেলটা লক করে দিন স্যার।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন