দোঁহা

পৌলমী ভট্টাচার্য্যের কবিতা

 


অমাবস্যার বিরল লেন্স  

শৈশব আড়ালে লুকোনো নিখুঁত স্বাধীনতা।  
সন্তান খাবে মা-মা করা ক্রিম রোল,
বাবার ঠোঁটে দেখবে দুস্থ সমাজের
আয়তন বিন্যাস।
এক ঠোঙা সন্ত্রাস সাথে
প্যাকেজিং ব্যাভিচার...বড্ড টেস্টি।
কবে এতো অ্যাডাল্ট হোল সন্তান অক্ষর!
হাড়ে হাড় লাগলে ভয় লাগে মায়ের,
বাবার ছেড়া চটির সেফটিপিন মুখ থুবড়ে
ভূ-প্রকৃতি শিখতে গ্যাছে কালাপানির কাছে; আসেনি। জল্লাদের চাকরি পেয়েছে খোকা...
দারুণ খুশি, আন্দোলনের মাতব্বর।
মায়ের কোলের সন্তান গীতা পড়ুক
গর্ভধারিণী চান না! অন্তত মাটি খুঁড়ে দেখুক সেফটিপিনের লংজিবিটি কতটা!
মায়ের ঘর আলোহীন তবু দাঁড়ালে মাতৃ আশকারায় নড়েচড়ে বসে দীপদানটি।

প্রহর ভাঙতে ভাঙতে মহাকালের কাছে এলে একহাত লম্বা জিভ বেরোয় মায়ের।
বাবা এখনও রিক্ত সংসারে পিঠ পেতে আছেন...উল্লম্ব শাসনে ধারক-চোখ  প্রাণায়াম ভুলেছে গণতান্ত্রিক অরাজকতায়।
ব্যবহৃত সনাতনী অস্ত্রে আদিধর্ম জাগে অথচ খোকার চোখে অমাবস্যার বিরল লেন্স...


ছাদনা তলায় ঝকঝকে খড়্গ


কিশোরী দ্রোহ লিখেছ ঋতুস্থানিক সিঁথি তে।
ছাদনা তলায় ঝকঝকে খড়্গ-এর মনোনিবেশ দেখি বৃদ্ধ মার্কণ্ডীয় পৃষ্ঠায়।
আপন হয়েছে করুণানিধি,
দিগম্বরী প্রসাধন...

বিরল হাসিতে বর্গী ডাকে আর
স্ফুটনাঙ্ক পেরিয়ে গমজমি অবলা...
তোমার তৃতীয় ভুরুতে কৃপাণ নাচে
 থৈ থৈ ভঙ্গে।
যুগ পেরোনো রক্তবীজের প্রতিনিধিত্ব করে
আপামোর ভক্ত; মুচকি হাসে ধর্মবক...

এ কেমন সাজা দাও মা যেখানে শরীর চেনে বিস্ফোরণ ধ্বনি অথচ ন্যায্য আগুন হতদর্পা!

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন