পুরনো নিয়মে
পুরনো নিয়মে কেন বারবার ফিরে আসি ভ্রমে!
ও তবে ভ্রমণ নয়, মন নয়—ভাবনার রেশ
কোথায় হারিয়ে যায়? হারাহারি—কোনও এক সমে
শেষে যে সামিল হয়—অধিকন্তু মায়ের আদেশ
ভরসা যোগায়৷ খেলা? আমি সে-লেখার কাছে নত৷
অভ্যাসের দাস বটে—এ-ব্যতীত আর কীবা পারি!
দিবা ও নিশির মধ্যে দেখি এক অসম্ভব ব্রত
আলো ও আঁধারে তার শুয়ে আছে শত-শত ঝারি৷
সিঞ্চিত হৃদয়, স্বপ্নে:কেঁপে ওঠে শিরা-উপশিরা...
ফেরাতে পারি না ওই তথাগত, অনাগত ধ্বনি,
পুরনো নিয়মে-শমে, ধুলিমুঠি—সহজিয়া, কিরা
এই তো ভেবেছি৷ আর দুইচোখে সন্ধ্যা-শিরোমণি
গোধূলি জাগিয়ে একা—বসে আছি নিঝুম দাওয়ায়৷
পুরনো দিনের কথা ভেসে আসে নতুন হাওয়ায়...
কালি-কালী
কালিতে লিখেছি কালী৷ খালি মন৷ অসংবাদী জবা৷
স্বভাবে ফতুর আমি, চতুরতা, শব্দে-শব্দে হৃদি
বিধিতে নিপুণ করি৷ জয়তারা, কারণের প্রভা
সাধিতে সাধিতে দিন, নেশাতুর, অমানিশা নিধি৷
খণ্ড-চাঁদে দণ্ড-পল৷ শিবমতি৷ রাতুল-চরণ৷
আমাকে কে পায়? তারা৷ কাটামুণ্ড, খড়্গ-স্বরূপিনী
রক্ত-জিহ্বা, মহাকাল, চারি হস্ত, ঘোর শৃগালিনী...
সাধন বেদীতে দেবী৷ আজ্ঞাচক্র৷ তন্ত্র আস্বাদন৷
কালিকা বালিকা মাত্র৷ পঞ্চবটী৷ গঙ্গা প্রবাহিতা৷
কুলুধ্বনি, কুণ্ডলিনী—উদারা-মুদারা দুই আঁখি...
ক্ষুধা-তৃষ্ণা নিবারিত৷ রক্তজবা হৃদিমধ্যে রাখি৷
ভৈরবী, সাধনবস্তু—তৃতীয়নয়নে জাগরিতা৷
কালি-কালী মহাকালী৷ তাতল-সৈকতে লিখি নাম৷
আমি কি অধিক জানি! নদীবক্ষে, তীর্থ মনস্কাম...