প্রত্নঈশ্বর
ওঁত পেতে আছি খননের ঘ্রাণে
প্রামাণ্য লিপি থেকে উদ্ধার কার্যের মাটি
এখনও সরানো বাকি আছে
লুপ্ত শব্দের মতো ঘুম জড়িয়ে যাচ্ছে আঙুলে
নারায়ণী মুদ্রায় ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে আলো
যেভাবে খুচরো দিতে দিতে বয়স্ক হয়ে আসে হাত
প্রাচীন মন্দির ঘিরে গড়ে ওঠা জনশ্রুতি পেরিয়ে
মাটির আঙুলে খননের দাগ দেখতে পাচ্ছি
আঙুলের মাটিতে যেমন জেগে ওঠে প্রত্নঈশ্বর
আজও কারা যেন তন্ন তন্ন করে খুঁজছে তোমায়,
প্রামাণ্য লিপি ভেঙে খুঁজে পাওয়া মন্ত্রের মতো
আজও তুমি অধরাই থেকে গেলে...
মহাকালবিদ্যা
অন্ধ ক্যামেরার জন্মদিনে
আমরা বসে আছি নিমতলা ঘাটে
সকলেই ছন্নছাড়া,দলছুট যতিচিহ্নের মতো
আমাদের ডিঙিয়ে চলে যাচ্ছে দুয়েকটা সারমেয়;
জলের ছলাৎ ছল ঢেউ বুনে দিচ্ছে উপমা
আমরা তবু বসে আছি কবিতাহীন
ভস্ম ও বিভূতির দামাল গন্ধ ঘিরে নেচে উঠছে চিতার আগুন; লেলিহান জিভে তার করোটির ছায়া
সিগারেট ফুরিয়ে যাচ্ছে শীতের রোদের মতোন
অন্ধ ক্যামেরার জন্মদিনে
আমরা ছবি তুলতে ভুলে গেছি
আমরা ভুলে গেছি কি করে লিখতে হয় মহৎ কবিতা
শূন্যে উড়ছে ছাই আর ধোঁয়ার গোপন প্রণয়
তার নীচে বসে আছি আমরা নিমতলা ঘাটে
সশব্দে ফেটে যাচ্ছে করোটি, পৌষের সন্ধ্যায়
অন্ধ ক্যামেরার জন্মদিনে
আমরা বসে আছি নির্জন নিমতলা ঘাটে
গোপনে মহাকালবিদ্যা রপ্ত করবো বলে...