ছায়া ছায়া নদীর চর
ছায়া ছায়া নদীর চর তোমার অতীত মুখচ্ছবি
কুয়াশা দূর ঘাসের সান্নিধ্য জড়ানো মায়ার মতো
নক্ষত্র সজল আলোর গল্পে দোলে রাগিণী ওড়া কবিতা
মালতীর ঘ্রাণ খুলে স্রোতের বানান শিখি আজ
গদ্যের চরায় ব্যস্ত গৃহস্থের উত্থান পতন দাগ
জাগরণ তোলে নির্ঘুম নীলের ঘোর, উত্তরের দোটানায় বুঝি বিষণ্ণ সন্ধ্যা।
জ্যোৎস্না নামক প্রহেলিকার আনাগোনা আঁকতে পারা উদ্যানের পত্রপুষ্পে জমা থাকে মনের কথা।
তুমি অন্ধের মতো ব্যর্থ মেঘে দ্রবীভূত পদার্থ গোলা জল, জানালা পূর্ণ বিচিত্র বর্ণ।
তাৎক্ষণিক অনুসরণীয় শিকারী।
আলো পড়ে তৃষ্ণা তুলে দেও মননের অভিজ্ঞানে।
উৎসব জেগে ফিরতে ফিরতে যেমন ফেরো আলো নিয়ে।
দীর্ঘ বিস্মিত চোখ ডিঙি নৌকো, যে কেউ বেয়ে পৌঁছে যেতে পারে ছায়া কাটা রেখার মতো তরল হৃদয়ে।
প্রশ্নবোধক চিহ্নের ছোট্ট বিন্দুটিতে
পথটা কেবলই হাওয়া ওড়ানো অভিমান।
কিছু কিছু মুখচ্ছবি রাতের নক্ষত্র ছায়ায় গল্প পাখির স্রোত।
এখানে জোছনা দেখি না তবে প্রতিচ্ছবি বংশধর।
ঘুমের বৃত্ত গুলিয়ে নিলেই তৈরি হয় রক্তের অহম। ব্যথার ঢেউ ফেনার লহমায় কানকথার কামড়।
উড়ে যাওয়া শরতের মেঘের সাথে তুলনা করে প্লাবিত বিরহ।
ঠিকানা বিহীন ভরদুপুরে সংগমের বসনখোলা শরীর। ঘেঁষাঘেঁষির সীমানায় মনটা জল-ফুল-ফল।
হেঁটে যায় সাম্প্রদায়িক ব্যবহার করা যায় এমন বিপ্লবী অর্থে।
কিছু ডালপালা জড়িয়ে রাখা নদীর চরায়।
শিরীষের ছায়াছায়া গমকে স্বপ্নগ্রহের উদ্যান।
ভেসে আসে রাগিণীর মতো সন্ধ্যাঘোর।
অতীত থেকে উঠে আসা জল।
জমজ ভাই-বোনদের উদ্ভট প্রতারণা
অন্ধকারে অলস কোন ফুলের সুগন্ধি।
স্রোতের সান্নিধ্যে গল্পঘাসের গজল প্রবেশ করে মহাশূন্যে। মনুষ্য নদীই দেবে নক্ষত্রের বিমল শস্য।
তথাপি পৃথিবীর মলাটে পোয়াতি ধানের অচেনা মাঠ। হাওয়ার দিকে যেতেযেতে ফিরে পায় বৃষ্টিমাখা কেমিস্ট্রি। কালের উৎস চলন্ত মাটি তখন জোয়ার জনমের অভ্যুত্থান।
ছায়াপথে অনুক্ষণ অগ্নি উত্তাপ।
লোভাতুর শিরা উপশিরা ব্যস্তবাড়ি তর্জমা করে লাভাস্রোতে।
রক্তপ্রকৃতি যদি উড়ো মেঘের মতন হাই তোলে দ্রাঘিমা রেখায়, বোকা বালুচর এলোমেলো চুমু খায় মৃত্যুর সাথে।
তখন মৃত ও জীবিত বস্তুভেদ সৃষ্টির রূপভেদে রুগ্নপ্রায়। ছুঁড়ে দেয় বিস্ময়কর তীক্ষ্ণ তীর্যক গতি।
আর আমরা আটকে রইলাম প্রশ্নবোধক চিহ্নের ছোট্ট বিন্দুটিতে!