প্রতিমূর্তি
চাঁদটা যখন হারিয়ে গেলো, কালো মেঘের ফাঁকে,
আঁধার তখন ঘনিয়ে এলো, পথের চোরা বাঁকে।
লক্ষ্মীপুরের কমলিনী চলেছে, বাড়ির পথে,
বাড়িতে জানে ফিরতে তার, অল্প দেরী হবে।
রাস্তার মাঝে নিয়ন আলো, আবছা চারিদিক,
হঠাৎ করে উগ্র হাওয়া, ছুটলো দিক - বেদিক।
হিংস্র কামটের দাঁত, আগ্রাসী হয়ে ওঠে,
লক্ষ্মী মেয়ে বিভ্রান্ত, ঊর্ধ্বশ্বাসে ছোটে।
হঠাৎ করে কমলিনী, শাবল তুললো হাতে
ক্ষেপেছে হরির প্রিয়র প্রিয়া, তখন কে আর বাঁচে?
তখন কামট প্রাণের ভয়ে, জীবন ভিক্ষা চায়
নারীর অসম্মানে সে, ক্ষমা নাই পায়।
নারী নিজে ধারণ করে, নানা রূপের ধারা,
দুর্যোধনের পুনরাবৃত্তি দেখবে তখন তারা।
যেই কালি, সেই দুর্গা, সেই লক্ষ্মী - সরস্বতী
পাপনাশে কালিকা সে, দয়ায় ভগবতী।