আদি উপাখ্যান
নাভিগন্ধী দুপুরগুলো যখন খুব নিবিড়তা চায়
তখন দূর শহরে তোমার অনতিক্রম্য দূরত্ব অনেকটা
তরঙ্গের মতো,
-শেখায় দূরত্ব বলে কিছু হয় না।
দূরত্ব আদতে নিশ্চিত কল্পনা। ভ্রমণের কক্ষপথ।
তাই, দূরত্ব অতিক্রমনের চিন্তা ত্যাগ করে তোমার জন্য
কুলুঙ্গিতে জমিয়ে রাখা চুম্বনগুলো দেবদারু বৃক্ষের মতো
বুকে রাখি।
দুই স্তন উছলে ওঠে ফোরাত আর দজলার ঢেউয়ে...
চেয়ে চেয়ে দেখি,
মেসোপটেমিয়ায় একশিঙা হরিণের মতো খাবি খাচ্ছ তুমি;
ভিন্ন শহর বলে সদর দরজা এঁটেই বা আটকাতে পারলে কই চুম্বনের মতো দ্রোহগুলো!
দ্বন্দ্ব
ভালোখানি তুলে নিয়ে বাসা ফিরে গ্যাছো। কাঁদি...
চাল তেল হলুদের আঁচলে পুং-মৌমাছির বিনবিনে ওড়াউড়ি
রাগমোচনের মতো ঝরে পড়ার দুঃখ-
দূরে দাঁড়ানো আত্মজনকে
দেখে ভাবি
মাথা কবেই ছাড়িয়ে গ্যালো
বলব ওকে!
ওকে কি অভিমুন্য'র মতো চক্রব্যূহে ঢুকিয়ে দিচ্ছি!
সব শুনে ঘৃণা থেকে বেরতে পারবে
কোনোদিন?
এখন ঘন বন জুড়ে সরীসৃপ বুকে হাঁটে-
হাত কেটে গলগল করে রক্ত ঝরছে
ওকে কি দেখাব বুকের ভিতরে
বুনো ক্ষত! কালচে হয়ে আসা লোহিত...
ভয় হয়, ক্ষতের গভীরে
যদি সে দেগে দেয়
যৌনতা বিষয়ক কিছু মন্তব্য