স্পৃহা
ঘাসের ঠোঁটে রোদ ভেঙে খুঁজে নেয় কৈশিকী জল,
মাটি মুগ্ধতায় পড়ে আছে খরা-ম্লান হাতছানি।
সভ্য বিনিয়োগ ছুঁড়ে জীবন হতে চায় সফল,
শকুনের ঠোঁটে ফুলেরা আজ শরীর রাখে জানি।
প্রাপ্তির এই বলয়ে ক্রমে ঢুকে আসে ঘোলা স্থল,
বিকেল নিভিয়ে ডানা আজ সকাতর, বৈষয়িক।
চাহুনি থেকে আড়ালে খসে নামে ভ্রাম্যমান ছল-
প্রাপকেরা নিবিড় হয়, সব এক গোত্রীয় ঠিক।
তাদের চতুর জিভ ভিজে থাকে নীল মধুকামে,
প্রয়োজনে ধূলো চেটে নিতে জানে জলের ডগায়।
দিনের শেষে প্রিয় চিঠি লিখে নেয় নিজের নামে,
এভাবে সেরা হতে হয় বুঝি খোসামুদি পন্থায়?
মৃত জল আজ উড়ান থিতু, নেমে আসে শিকড়ে।
দুঃখ দহনে একা হীরে আঁধারে তার দেহ গড়ে।
পরাকাষ্ঠা
এখানে সাবলীল বিনয় পড়ে আছে অনাদরে।
পাতা গঠনের আড়ালে একা আলো কাঁপে সম্ভ্রমে।
শিথিল শৈত্যের দিন রূঢ় লাগে হৃদয়ের জ্বরে,
সীমানার ডগায় দূরত্বের বনিবনা কি কমে?
আজ চকচকে খোলসের গায়ে আরোহী পুলক,
ভাঙা শার্সির নীচে পড়ে আছে পাখির খড়কুটো।
বিরোধী বাতাসের ভাঁজে রাখা স্তাবকের ওৎ ছক,
সে বিগলিত ছলে বেমানান লাগে না রংরুটও?
আজ শ্যাওলার হ্রদে চোখ ডুবে অতল বিশ্বাসী।
স্তাবকতা গ্রাসে স্থির ভ্রান্ত ভ্রমরের বিবেচনা।
জৈবিক শোক সহ্য করে মেধাহীন খুলির চাষী,
আজ প্রান্তরে আগাছার ভিড়ে হয়ে আছে উন্মনা।
পরিশ্রমে জৌলুস নেই আজ পাখিটির সংসারে,
দেয়-দানা প্রাপ্তির মোহে ডানা কাঁপে তার বাহারে।