দোঁহা

শুভঙ্কর দাশগুপ্তের কবিতা

 


আজ্ঞে 

১.
আমি নাকি জন্মেছিলাম দিনের আলোয় 
আমার নাকি হাতের মুঠো বন্ধ ছিল 
আমার নাকি পোশাক পরার ছিলনা তাড়া 
দরজা খোলা থাকলে নাকি এক লাফেতে পেড়িয়ে উঠান 
যেতাম ছুটে রাস্তা পানে 

চিনতে এখন সময় লাগে 
চোখ বুজলে ঘূর্ণি লাগে মাথার ভিতর 
অনেকগুলো মুখ খুঁজে পাই 
নিজে আদল, নিজের তো নয় 
ঘড়ির কাঁটা উল্টো ঘুরে 
বুঝতে চাই কখন আমায় শিখিয়েছিলে মেনে নেওয়া 
নাকি আমার লোভের পালক 
সুখের খোঁজে ঢাকল তার স্পষ্টকথা 
নাকি আমার বুকের  খাঁচা 
বেদম ভয়ে 
চতুষ্পদের লেজ নাড়ালো 

২.
কখন আমায় সবার মতো সাজতে হলো 
কখন আমি সত্যি কথার তেতো গিলে 
মিষ্টি হেসে নীরব হলাম নিজের মাঝে 

হাঁড়ের ধরণ পাল্টে গিয়ে  কার্টিলেজ 
বেঞ্চির কাঠ সরিয়ে দিয়ে নরম সোফা 
খোলা ছাদের ঘুড়ি ফেলে ব্যালকনিতে 
সাফল্যরা শেওলা হয়ে শিড়দাঁড়াতে 
পরিমিত এই সাহস যেন চিনির মতোই 

ভয় লেগেছে ভিড়ের মাঝে মিছিল ভেবে 
মোমের মুখোশ পড়ছে গলে দারুণ তাপে 
হাতদুটিকে জোর করে তাই রাখি ধরে 
পায়ের ধুলো নিতে গিয়ে যদি একবার 
হঠাৎ সে চেপে ধরে সাধের টুঁটি 
আকাশ বুকে দেয় ছুড়ে দেয় বন্ধমুঠি 
রইল পড়ে এই জন্মের স্তাবকতা

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন