প্রদর্শনী
জানোই তো আমার ছায়াপরবশ পরিধি
কুমারী মুঠোর ভেতর ক্ষিপ্ত মুক্তা হয়ে এ-পথে ফিরি
এরিনায় ভুল গর্জন শুনে বিশদ সাফ করি আমার দো-নলা
গ্যালারিতে পরপর করতালিতে
খাবি খায় ফ্রেম-সুন্দরীর হারাকিরি
এই শহর সন্ধ্যার বাসি স্তন ঘাঁটে
মৃৎ-কৌশল শেখে হাতে-হাত পরম ছন্দে
সার দিয়ে দ্যাখো দাঁড়িয়ে কবিতার শাল-শাল্মলী
বুঁদ হয় না কোনও কিছুতেই শুধু তামাম গোষ্ঠী গান
লাইনে খাঁড়ায় টেংরি চেটে নানান কাব্যিক এন্তেজাম
তুমি জানোই তো আমাদের প্রত্নস্বর বাহুবলী
সৎকারে ভীষণ বিবমিষা, আর দ্যাখো দূরে চূড়ামণি
ক্রীড়াচ্ছলে দুঃখবোধে মার্বেল ভাস্কর্য
আলোকিত প্রেক্ষাঘর ছদ্ম ভাবে ফেনায়িত গেঁজে ওঠে
চোখে ঠুলি পরে সাত লক্ষ আভা গার্দ
সিঁদুর সাঁকোর পারে, ঠেকে, মেঘের ছাঁচে নখদন্ত উঁচায়
কানীন ভিড়ে
ভাঙা চিলের উচ্ছ্বল স্তব ফেটে পড়ে হাহা রবে
মন খুবলে খায় অশান্ত মাধ্যম(হাসে পারঙ্গম)
হলুদাভ ব্যতিরেকে দেখে
হাঁসফাঁস চিলের জ্বলন্ত ঠামে নিকানো জেগে আছে
এই ভরবেলা যৌবনের উদগম,আশরীর
দু’বাহু বিস্তারে অসীম ডানার টান
তেমন ভূ-ভাগ কিছু নেই
তেমন পিঙ্ক জ্যা-মুক্ত স্তন
ছড় টানে সমতল, যদি বা সুর ওঠে কানীন ভিড়ে
মেঘে মেঘ-যোনি, রুচি গ’লে ধ্রুব হয় ছাঁচ
তালিকায় সমুজ্জ্বল নিবেদন,
কেউ দেখে না অস্থির মায়া-বাঁধন অথবা সমুদ্র বেলায়
ঘায়েল পড়ে থাকে ডানার গর্জন সমান বায়বীয়।