অভিযোগ
ভীম রূপ জিভের কাল থেকে খুব জ্বর
আঠালো তুমি জড়িয়ে রয়েছো
বিন্দু থেকে বিন্দুর চেয়েও ছোট্ট আর্যপুত্র
শৌহর ভাবি মনে মনে, যাই গোপনে নাভিমূলে
জানালা গনগনে রোদে পরিপূর্ণ
উত্তাপটা শুধুই সমুদ্রের উত্তলা যৌবনা জানে! পরমুখাপেক্ষী প্রস্তুতি, অপ্রবাসী প্রতিশ্রুতি
তবুও ফুলে ফেঁপে ওঠে প্রেম, ঘুরে যায় পাহাড়ি রাস্তা!
দু ধারে অনুভূতি, মাঝে হাজার হাজার উপন্যাস!
প্রথমে আমার হাত নিস্তেজ হবে,
পা শুয়ে পড়বে, কিন্তু শরীর বাঁকানো নদীতে ক্রমশই খসে খসে পড়বে সম্পর্কের চুম্বন...
অতঃপর
একটা পাতা, যে পাতায় রোজ কিছু না কিছু দ্রব্য জমা পড়ে,
একটু সময়, একটু সূর্য, একটু রাতের গভীরতা।
সকলেরই সুখ ও দুঃখ দুইই আছে
দৃষ্টি থেকে দেখলে নিজেদের মতন মনে হয়।
কবির কাছে জীবন্ত পাথরের বুকে একফালি চাঁদ
নদীর কাছে কামরূপী জ্যোৎস্না।
ভেজা ঠোঁটে মাটির প্রলেপ
বৃষ্টির জলে বুঝলাম কী ছিলো তাতে।
ধোঁয়ার সাথে ধূপের খুব প্রেম হলো
শহরের ওলিতে-গলিতে শুধুই বড় বড় বসন্তকাল।
হাতে ধরে অঙ্কুর বৃদ্ধি পেলো, মাটি উর্বর হলো
এখন সে তো বৃক্ষ, অস্ত একটা পৃথিবী গড়ার মতন ক্ষমতা রাখে!
তবুও এক ফোঁটা জলই যথেষ্ট ছিলো
এক বিন্দু আতরই পর্যাপ্ত ছিলো বাকিটা পূর্ণ করার জন্যে।
শ্রদ্ধা থেকে নমস্কার আসে, ভালোবাসায় বুকে রাখে
এবার বলো দেখি, আমি কে তোমার?
এমন খাঁটি তুমি, যাকে ভাবতেও ভয় হয়।
এখন তো সবই তেতো, আসলে সুগার হয়েছে,
হয়তো সেদিন মিষ্টি পছন্দ ছিলো।
খুঁটে খুঁটে অনেকটা অভিমান জমিয়েছি
ভুলেই গেছি আমি কে, কী আমার পরিচয়!
যদিও এখনোও পাইনি খুঁজে,
তবুও জানিনা সত্যিই কাটানো সময় গুলোর ওজন।
কাল রাতে সবকিছুই একটা একটা করে শারীরিক ও মানিসক ভাবেই মাপতে শুরু করলাম...
পেলাম শুধুই মরীচিকা!
ভাগ্গিস রবীন্দ্রনাথের সোশ্যাল মিডিয়া ছিলো না!
চর্যা থেকেই চর্চা, ইতি চর্যাচর্যবিনিশ্চয়...