দোঁহা

কৃষ্ণার্জুন হালদাররের কবিতা

 


খর্ব বর্গ

বাঁকা পথপথে লোকচারদিক বন্ধ

তাজা চোখচোখে শোকচোরাগলি অন্ধ

সোজা দেহদেহে ঘামপরিচিত গন্ধ

বোবা মুখমুখে রামবেকারের ছন্দ

 

ন্যাড়া গাছগাছে কাকসমাজের অন্ত্র

খালি হাতহাতে খাকশাসকের যন্ত্র

পাপী পেটপেটে বালিকৃষকের মন্ত্র

ফুটো বুকবুকে আলীসুখী প্রজাতন্ত্র

 

সোজা মত, মতে বাধা, সাতিশয় বক্র।

লোভী হাত, হাতে ফাঁদ, ভোজবাজি তক্র।

পাপী মন, মনে খাদ, ছলছল নক্র।

ভাঙা ঘর, ঘরে যীশু, জীবনের চক্র

 

সাদা চাঁদচাঁদে ঘ্রাণঅতিশয় বন্য

বাসী জীবজীবে প্রাণশলাকায় মান্য

মরা জিভজিভে রাগমৃতদেহ গণ্য

ছেঁড়া দেশদেশে ভাগকাঙালের অন্ন

 

হৃত মান, মানে টান, শালীনতা খর্ব।

বিষ পান, পানে মান, সুখে থাকো বর্গ।



পরিশেষে

 

বিবশ বিকিকিনি, অভাগার হাড়গোড়।

কে হবে পারানি? কারে পরিহার?

মূর্ছিত অভিমান, পরিযায়ী সুখভোর,

বিক্রীত যৌবন, কার মণিহার?

 

নিয়ত হানাহানি, বঞ্চনা ও বঞ্চিত।

কেন এ আঘাত? কেন হে আহত?

উন্নতি-অবনতি, পাপে পাপে সঞ্চিত,

পরম জৌলুষ, কেন হে ব্যাহত?

 

সেই তো মায়ামৃগঅক্ষরেখায় বিস্তার

কোথায় ঈশানকোথায় নৈঋত?

আদুরে বিহঙ্গমনগ্ন শাখায় কান্তার,

শহুরে আলাপকোথায় সম্বিত?

 

চ্যুত উপনিবেশউপসংহারে সদন

কিসের বিলাপকিসের প্রণয়?

মরীচিকা সান্ত্বনাআলেয়া অবলোকন,

কেন ছায়ানীড়কোথায় প্রলয়?

 

ব্যবচ্ছেদে রিক্ততাওখানেই জন্মসুখ,

আঁতুড় ছাউনিপ্রদোষের নম্র,

নিজেকে বিছিয়ে দেই দিনান্ত অভিমুখ,

পরিশেষে এক নিরাকার ব্রহ্ম









একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন