খর্ব বর্গ
বাঁকা পথ, পথে লোক, চারদিক বন্ধ।
তাজা চোখ, চোখে শোক, চোরাগলি অন্ধ।
সোজা দেহ, দেহে ঘাম, পরিচিত গন্ধ।
বোবা মুখ, মুখে রাম, বেকারের ছন্দ।
ন্যাড়া গাছ, গাছে কাক, সমাজের অন্ত্র।
খালি হাত, হাতে খাক, শাসকের যন্ত্র।
পাপী পেট, পেটে বালি, কৃষকের মন্ত্র।
ফুটো বুক, বুকে আলী, সুখী প্রজাতন্ত্র।
সোজা মত, মতে বাধা, সাতিশয় বক্র।
লোভী হাত, হাতে ফাঁদ, ভোজবাজি তক্র।
পাপী মন, মনে খাদ, ছলছল নক্র।
ভাঙা ঘর, ঘরে যীশু, জীবনের চক্র
সাদা চাঁদ, চাঁদে ঘ্রাণ, অতিশয় বন্য।
বাসী জীব, জীবে প্রাণ, শলাকায় মান্য।
মরা জিভ, জিভে রাগ, মৃতদেহ গণ্য।
ছেঁড়া দেশ, দেশে ভাগ, কাঙালের অন্ন।
হৃত মান, মানে টান, শালীনতা খর্ব।
বিষ পান, পানে মান, সুখে থাকো বর্গ।
পরিশেষে
বিবশ বিকিকিনি, অভাগার হাড়গোড়।
কে হবে পারানি? কারে পরিহার?
মূর্ছিত অভিমান, পরিযায়ী সুখভোর,
বিক্রীত যৌবন, কার মণিহার?
নিয়ত হানাহানি, বঞ্চনা ও বঞ্চিত।
কেন এ আঘাত? কেন হে আহত?
উন্নতি-অবনতি, পাপে পাপে সঞ্চিত,
পরম জৌলুষ, কেন হে ব্যাহত?
সেই তো মায়ামৃগ, অক্ষরেখায় বিস্তার।
কোথায় ঈশান? কোথায় নৈঋত?
আদুরে বিহঙ্গম, নগ্ন শাখায় কান্তার,
শহুরে আলাপ, কোথায় সম্বিত?
চ্যুত উপনিবেশ, উপসংহারে সদন।
কিসের বিলাপ? কিসের প্রণয়?
মরীচিকা সান্ত্বনা, আলেয়া অবলোকন,
কেন ছায়ানীড়? কোথায় প্রলয়?
ব্যবচ্ছেদে রিক্ততা, ওখানেই জন্মসুখ,
আঁতুড় ছাউনি, প্রদোষের নম্র,
নিজেকে বিছিয়ে দেই দিনান্ত অভিমুখ,
পরিশেষে এক নিরাকার ব্রহ্ম।