মৎস্যভাষা
এ ভাষা সম্ভব মুক্তো জাদুছড়ি
কলমে ওঠে যদি ভর্ৎসনা,
আমরা সেবাদাস, মুঠোতে মাধুকরী
মরতে চাইবার মৎস্য না।
মৎস্য আছড়ায় শুকনো ডাঙ্গা দেখে
পুতনা, নাকি কোনো রাক্ষসী
স্তন্যে সুধা নাই, শিখেছি রং মেখে
মঞ্চ জুড়ে দেখা ক্রন্দসী!
পাতানো ছুরিকাঁচি, পাঁচিলে মেনীপুসি
শানানো আঁশবটি মানলো কই!
সুবিধা বুঝে তবু হাঘরে বাঘ পুষি
ফুটিয়ে রাখি ঘরে জ্যান্ত কই।
এ ভাষা বুকে পিঠে, নিকুতি চুশিপিঠে
পতিতা মাঠে মাঠে সান্ধ্যমাস
ঝালে ও ঝোলে ভাসা, আ’মরি মাছভাষা
কে যেন টান মারে এ পরবাস!
বন্ধনী
দুটি দেশ ছিল (আহা বেশ ছিল)
সমুচিত ভাষাগন্ধে,
তবু ঘাস ছিল (মলমাস ছিল)
গুরুচন্ডালি ধন্ধে।
দুটি হাত ছিল, খোলা ছাতও ছিল
(ফাঁদ পাতবার ফন্দি)
অক্ষরমালা (আহা বড় জ্বালা)
সিধে ফাতনার ফন্দি!
বর্ণের দাবী, হীরে নাকছাবি
(খাবি খায় যত সর্প)
সুখ বাতায়ন (স্মিত রসায়ন)
পাতনের মধুপর্ক।
যুক্তাক্ষর, বিরূপাক্ষর
কাকভোরে ভেজা বিল্লি,
খিল্লিতে বাঁধা (সুবচনী ধাঁধা)
মেধাবিগলিত দিল্লি।
(ভুতে ভয় তবু) বাকপটু প্রভু
কটুকথা কয় স্বপ্নে
ভাষা ভরা মন, সংরক্ষণ
এর দড় কোনো ঢপ নেই!