মেনোপজকালীন
আজ এই হরিদ্রাভ স্থল, ধার্য দেহে স্রোত-খরা।
বিনুনি উপুড় সব গৃহী পাখিগুলি ধড়ফড়ে।
আদিম অরণ্যের মঠে শিথিলতা ধ্যানে মহড়া...
জলছবি খসে যায়। সে চিৎ কামে মরীচিকা নড়ে।
সেই কায়িক ক্ষতি, ক্রমে স্থায়ী বিরতির প্রস্তুতি।
উজ্জ্বল প্রবাহের ধারা ক্রমে নিভে গিয়ে ব্রহ্মাস্মি।
ঈষদচ্ছ গহ্বরে কমে আঁশটে আগুনের দ্যুতি,
তবু এই দেহলতা প্রণম্য, সমাধি ভালোবাসি।
সুস্নাত এই প্রহরের বদল, মাথা ব্যথা, ঘাম...
স্খলিত ফুলের মতো পেশি, কালশিটে যোনিপথ।
দেহমনে ফেনায়িত দ্বন্দ্বের সমাহার, সংগ্রাম।
ক্ষয়িষ্ণু হাড়ে হত চাকা, সম্মুখে বিষাদের রথ।
আজ দেহী পরিবর্তনে বাবুই বোঝাপড়া রাখা।
জরায়ু মৌচাক ভেঙে উড়ে যাক মেনোপজ পাখা।
আপশোষ
নির্মিত বক দৈর্ঘ্যের দ্বারে জলছবি দেয় টোকা,
বিদ্যমান প্রেত-শ্রাবণে হৃদয় যেন সামরিক।
জারিত জলের স্থানে মন আজ কিলবিল পোকা,
ভাষ্য আগুনের স্তবে আমি সেই প্রবাল বৈদিক।
দাতব্য রঙ লেগে আছে পুরনো রামধনু মাঠে,
যুবক পাতা থেকে গড়াতো ঋষি-রোদ উপাসনা।
বাতাসের টহল দেখি ভিজে যায় পড়শী কাঠে,
ধনী জোঁকের মতো রতি-আগ্রহ দিকে দিকে বোনা।
আজ এই স্বীকার্য শূন্যের তটে অনুজ্জ্বল কাম,
ডিম্বাশয় কাব্যে নেই শিরশিরে কুসুমিত ঘোর।
চকিত আকাঙ্ক্ষার ছাই নিয়ে ডোবে মৌরলা গ্রাম,
দেখি স্রোতের ভাঁজে আত্মঘাতী রুক্ষ পাথুরে ফোঁড়।
আজ এই দোলাচল নির্মিতি, শরীরে খরা-দোষ।
আয়ুর বাগিচায় কে রাখে স্মৃতি-ভ্রম? আপশোষ?