অশনি
কোন কোন প্রত্যঙ্গের গতি
ভঙ্গ হলে মেয়ের মনে
মাদল বাজে
অন্ধ হতে চলা আকাশের
গাঢ় ঘাড়ের ঈষদুষ্ণ পাশে যেখানে
তিলক পরাবে ঠিক
করেছে রসকলি সন্ধ্যা
সেখানে সেতারের মিড়টানা
রেখা ডুবে আছে সবুজঘনকাজল
চোখের বিচলিত দৃষ্টিতে;
সে ভাষায় অনুযোগ নেই
অবাঞ্ছিত স্পর্শের
সে ভাষায় ছন্দের নেই টুপটাপ
শিউলি ঝরা আলো
সেখানে একাকী শালবল্লরীর গানে
দূরদেশে আঁধার ঘনালো।
মেয়ের মনের সুরে সুরে
লোহিতকণিকার ক্ষয়প্রাপ্ত লজ্জাগৌরী যোনি
দ্বিধাহীন কেঁপে ওঠে
আলগোছে রাঙিয়ে যায়
রুদ্ধরতি অনন্ত অশনি।
সংকেত
ভেবেছ তুমি, ভেবেছে সবাই
থমকে গেছি!
আমিও কিন্তু বুকবটুয়ায়
মুখ দেখিয়ে চমকে গেছি!
তোমার দেওয়া দুরন্ত চাঁদ
ফুরন্ত এই উপত্যকায়
নিত্যবিলাস
হস্তমুদ্রা চোখ ঠেরে যায়
কাল মধুমাস!
তোমার দেওয়া চিকণপনা
অঢেল হাওয়া
পক্ষীরাজকে শেখায় উতল
অস্ত্রবিহীন শূন্য বাওয়া
তারপরে নাওযাত্রাহালের নাব্য
হিসেব
করের রেখায় পিছলে পড়ে কাব্যক্লিশে!
এখন বহে তারা-জাগুলির প্রসন্ন ঝড়
তোমার কাছে, সবার কাছে দোর বন্ধ
বন্ধ এ ঘর।
এবার আমি নিজের মাঝে
দিব্য একা
ঘুমনিকোনো শান্তিটুকুর
পাচ্ছি দেখা
দেখছো না কেউ ছায়াবৃতা গোলাপি ঠোঁট, পদ্মমুকুর
মনের মধ্যে ছলছলাচ্ছে
শেষ বিকেলের রক্তপুকুর...