ঋতুপর্ণা
এখনও সময় আছে, তবুও
এ গুহাদাগ; জানি জননীও একদিন।
একদিন ফেটে যাওয়া ত্বকে
ফুটবেই, বলিরেখা, আবিরা সকাল।
তোমাকে জেনেছি বহুদিন। পাতার
প্রকাশঋতু গুনে সাময়িক সুখ
কলসিতে জল যদি থাকে, তৃষ্ণায়
ক্ষতি নাই। ক্ষতি নাই অবগাহনে...
লালনের গান গায় পাখি
ও মেঘ, দাঁড়াও কিছুক্ষণ
আলোর আড়ালে যদি আলোড়ন
দেখি, সেও তো ঋতুরই সামিল!
ওতো মেঘ নয়, ধূপছাও যেন!
সূর্যের উত্তাপি গান,
থাক তবে! একলা তুমিও
স্রাব আর শ্রাবণের দ্বীপে...
গৌরী
ব্যাজস্তুতি ছেড়ে উঠে এসো কন্যারা,
ওখানে কোনো ঘুঙুরনৃত্য নেই।
শতাব্দীর শেষ শটিবনে প্রহরারত যে পুরুষ
তাকে বোলো, লাল প্রশ্নচিহ্ন রেখে যাক
গোধূলির উত্তাপে,
বোলো জানালায় নতুন পর্দা লাগাতে।
শোনো, আকাশের সীমানায় ভয় বাসা বাঁধে
এখনও। ধ্বস নামে উত্তরের উল্লম্ব উপত্যকায়,
মন্থনে উঠে আসা মেঘ কবেই ভেসে গেছে
প্রত্নতত্বের সীমানায়।
উঠে এসো কন্যারা,
চামরীগাইয়ের দেশ থেকে একখণ্ড আকাশ এনে
আবৃত করো লজ্জাস্থানগুলি।
বেলা গড়ালে...
ও অসময়, মা হলি তুই, উল্টে গেল ঘট
ভরদুপুরে আঁতুড় সাজাই, জ্বলন্ত সঙ্কট
মা জননী, চুপড়ি ভরি আলতামাসির ঘরে
ঊর্বরা মন একলা বসুক অলীক স্বয়ম্বরে।
ও আবাগী, বিঘ্ন ঘটায় কনকচাঁপা ফুল
নালক শরীর, নাভির নীচে চাঁদপানা বিলকুল
সামলে রাখিস ধনেশপাখির স্বাক্ষিগোপাল দূত
পুণ্যিপুকুর উদযাপনে চতুর্দশীর ভূত।
ও সোহাগী, ভাবের ঘরে প্রত্নতাপের ধুম
প্যাটমোছা ধন, মন আচমন, রতির কি মরশুম!
ও মালিকা, কাল কেটে যায় পলান্নে আর ঘামে
ঘুম যদি না ভাঙছে আমার, ডাকিস মধুযামে।
ও সখি লো, ছলকে পড়ুক এই অবেলার তাপ
তোর ভিতরে কল্কা আঁকি, স্পষ্ট নদীছাপ।।