দোঁহা

আ মা র র ক্ত ক র বী

 


 অরিত্র দ্বিবেদী

আমার সঙ্গে রক্তকরবীর প্রথম পরিচয় হয় ২০১০ সালে। আমার ক্লাস এইট, আমাদের স্কুলের বাংলার শিক্ষক শ্রী প্রবীর দাসঘোষ একটি চমৎকার নাটক লিখে, স্কুলের কয়েকজন ছাত্রকে নিয়ে মঞ্চস্থ করেছিলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫০ তম জন্মদিবস উপলক্ষ্যে। সেই নাটকটিতে ঠাকুরের রচিত চরিত্ররা একে একে এসে দেখা করছেন তাঁর সঙ্গে, আর নিজেদের ভার দিয়ে যাচ্ছেন ওঁকে, নইলে ওঁকে ভরসা যোগাচ্ছেন নিজেদের উপস্থিতিটুকু জানিয়ে। আমার এক বন্ধু তাতে একটি চরিত্র করেছিল, চরিত্রটির নাম 'বিশুপাগল'। রিহার্সালের সময়ে স্যার বুঝিয়েছিলেন খুব অল্প কথায়, "এমন করে ভাবো, যার কোথাও কোনো বাঁধন নেই।" চমৎকৃত হয়েছিলাম শুনে। 

দ্বিতীয় বার পরিচয়টা আর শুধু চরিত্রতে আটকে থাকেনি, এগিয়েছিল বেশ খানিকটা। বাড়িতে পুরোনো একটা রেডিওতে শুনেছিলাম তৃপ্তি মিত্রের 'রক্তকরবী'। সদ্য কৈশোর শেষ হয়েছে, বুঁদ হয়ে আছি শরৎচন্দ্রে, হঠাৎই রক্তকরবীর সঙ্গে সাক্ষাৎ! নন্দিনীর প্রেমে পড়েননি এমন নব্যযুবক কি আদৌ আছেন বাংলায়? জানা নেই! মনে হল, এ তো প্রেমের নাটক! 
"জানি নে আমার কেমন মনে হয়, আমার রঞ্জনের ভালোবাসার রঙ রাঙা..."
ওঁর গলাটা শেষে এসে সামান্য কেঁপে যায়...অসীম দুঃখ ভরে ওঠে! মনে হয়, আমি আর যেই হই রঞ্জন নই, প্রথম প্রেমের চেতনা সপাটে ঝাপটা দেয়, ধাক্কা দিয়ে যায় নিজের অপারগতায়...

এরপর যখনই সাক্ষাৎ হয়েছে, প্রথম পর্বটুকুই মনপ্রাণ দিয়ে শুনেছি, শেষ অবধি এসে আর ধৈর্য্য ধরে রাখতে পারিনি। যে সমস্ত, যা সমস্ত প্রেম, সবেতে রাজা হিসেবে প্রকট হয়ে উঠেছি ক্রমশ নিজের ভেতরে! তাঁদের আঙ্গিক যাই হোক, গঠনে তাঁরা যাই হোন, কোনও এক আজন্ম প্রতীক্ষায় নন্দিনীই হয়ে উঠেছেন, তবে এ সত্যিটুকুও অগোচরে ছিল না যে, নন্দিনী বলে বাস্তবে(তথাকথিত) কেউ নেই শুধু বিশ্বাস হয়নি বা আমার চেতনার অস্তিত্বে তাঁর প্রকাশ ঘটেনি। ভুল সময়ে, ভুল মানুষে জোর করে বুঝতে চেয়েই তাই রাজা সাজা! যেন অদ্ভুত এক বাধা, আবরণ শূন্য অথচ অপ্রাপ্ত!
'নেপথ্যে' কেউ বলে উঠেছেন, "তেমনি বাধা তোমার মধ্যে-কোমল বলেই কঠিন।"
আর চেতনায় বা অবচেতনে কোথাও সুরের মত বেজে গেছে এটুকুই, "সহজ কাজটাই আমার কাছে শক্ত।" রবি ঠাকুরের অদৃশ্য শক্তিশালী কূট রাজা তবে আমি! এ বোধ বারবার এসে ধাক্কা দিয়েছে। কিন্তু শেষটুকু খেয়াল করে উঠতে পারিনি তখনও, এতদূর অবস্থা শুধু বার দুয়েক শুনেই। তবে কোথাও গিয়ে একটা শান্তি ছিল, তখন অপর আর এক চরিত্র এসে সহজে বলত, "কাছের পাওনাকে নিয়ে বাসনার যে দুঃখ তাই পশুর, দূরের পাওনাকে নিয়ে আকাঙ্খার যে দুঃখ তাই মানুষের।" একথাগুলো মুখস্থ হয়ে ওঠেনি, তবু ভাবখানা অস্পষ্ট ছিল না, প্রোথিত হয়ে গিয়েছিল মূল অবধি। নিজের কোনো অংশের কোনো দাবি কোনোদিন কোনোখানে করিনি, নায্য দাবিও না; না করার কারণ প্রথমে এই ভয়, যে বিশুর শুদ্ধতা আমায় ছেড়ে যাবে তাহলে, বিশুকে আর ভালো লাগবে না, শুধু রাজাটা পড়ে থাকবে বুকে! ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে শুরু করলাম নিজের কাছে যে, খানিক বিশু আমার মধ্যেও আছে, রাজা মোটেই একা নন সেখানে, কখনও বিশু বেশি থাকেন, ত্যাগের জন্য প্রাণ কাঁদে, কখনও রাজা, সর্বশক্তি দিয়ে বুঝে নিতে চান, তিনিই সমস্ত, তিনি দাবি করেন, তিনি দখল চান। মজার কথা হচ্ছে, দুজনের কেউই বাইরে তা প্রকাশ করতে পারেন না, নিজেদের মধ্যে তাই লড়াই বাধান। বেশ খানিক পরে, যখন মুরাকামি পড়তে শুরু করেছি, পড়েই চলেছি লাগাতার, একটা সম্ভাবনা মাথায় ঘুরেছে, যে ওঁর বেশিরভাগ নায়িকারা কেউই বাস্তব(তথাকথিত) দুনিয়ার নন, তাঁদের বাইরের যোগাযোগ নামমাত্র, লেখকের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা, আত্মীয়তা, তাই মনে হয়েছে যে মুরাকামির নায়িকারাও কি ওঁর মনেরই reflection? এ অধিবিশ্বে যাঁদের অস্তিত্ব খোঁজা বৃথা? এও কি নন্দিনীর মতনই? কিন্তু নন্দিনীর চলাচল তো সর্বত্র, তাহলে মিল পাচ্ছি কেন? বুঝতে পারিনি। তবে কি সাবধান হতে হয়? রক্তকরবী উত্তর এনে দিয়েছে, নিজের চোখে সে উত্তর মেলেনি, মিলেছে কবি শ্রী জয় গোস্বামীর কলমে:
"সামলে চলার প্রশ্নই নেই
প্রেমের কাছে শাসন তুচ্ছ
এনে দিচ্ছি প্রহরীদের
মারের মুখের ওপর দিয়ে 
তোমাকে এই ফুলের গুচ্ছ!"

এরপর যাঁকে অন্তরে খুঁজে পাই, বলাই বাহুল্য তিনি 'কিশোর'। একে একে ঢুকে আসেন সকলেই, বা তাঁরা ছিলেনই, আমার দৃষ্টিশক্তির বাইরে ছিলেন এতদিন, অধ্যাপক আসেন, বুঝতে শেখান, না বুঝতেও। ধীরে ধীরে উপলব্ধি হয়, আমার সময়ে কোনো যুবকই 'রঞ্জন' নন, সকলেই বিশু, কিশোর, অধ্যাপক, রাজা এঁদের মিলিয়ে মিশিয়ে তৈরী! কী একটা বিরাট ফাঁক! ভরাট হবে না এ। নন্দিনীও নেই নিশ্চিত হই। 

বিজ্ঞানের ছাত্র হয়ে উঠি রীতিমতন, প্রথমে ডিপ্লোমা পরে বি.টেক শেষ করে কর্পোরেট দুনিয়ার স্বাদ পাই। সে স্বাদের মেয়াদ সবমিলিয়ে মাস চারেক, আর বন্ধু-বান্ধবীদের অভিজ্ঞতা শুনতে শুনতে ঝুলি ভরে ওঠে, রক্তকরবীর সর্দাররা প্রকট হয়ে ওঠেন, আমার ও আমাদের উপস্থিতির আশেপাশে, খুব তরলভাবে হলেও মনে হয় রক্তকরবী 'প্রতিবাদী' নাটক, প্রেমের প্রথম স্পর্শ মনকে ছেড়ে যায়! আগুন পড়ে থাকে শুধু। স্বার্থান্বেষী পৃথিবীর সঙ্গে তারপর থেকে সখ্য গড়ে উঠেছে, উঠতে-বসতে-চলতে-ফিরতে রোজই দেখা হয়। নিজেকেও ওইরকমই মনে হয়, যেন '৯৭ এর ণ'! জনৈক প্রাবন্ধিকের প্রবন্ধ পড়ি রক্তকরবীর অভিনয় নিয়ে, 'বহুরূপী' 'র প্রসঙ্গ এসে পড়ে। জানতে পারি অনেক কিছু। ততদিনে কানে বার পাঁচেক এসে পড়েছিল AIR এর রক্তকরবী। আরও একটা ঘটনা ঘটে ততদিনে, যেসব বন্ধুরা এতদিন কর্মী ছিলেন, তাঁরা একে একে সর্দার হয়ে ওঠেন, তাঁরা অনেক 'গোঁসাই'কে চেনেন, জানেন তাঁদের কাজ! সর্দার আর গোঁসাইও আমার ভেতরে প্রবেশ করেন!
'বিপ্লবী রক্তকরবী' কিছু বন্ধুকে খুঁজে এনে দেয় মার্কসীয় বিপ্লবের গৌরব! হয়ত তাঁরা ঠিক, শ্রেণী সংগ্রাম আছে বৈকি, সাম্যবাদও, তবু কোথাও যেন আলাদা, সেই আলাদাটার খোঁজ মেলে শেষে এসে, এই চেতনায় এসে:
"আমারই হাতের মধ্যে তোমার হাত এসে আমাকে মারুক, মারুক সম্পূর্ণ মারুক- তাতেই আমার মুক্তি!"
অত্যাচারী আর অত্যাচারিত দু'জনেই একত্রে শুদ্ধ হয়ে ওঠেন, পবিত্র এক ছোট্ট প্রদীপ যেন ছুঁয়ে যায় উভয়পক্ষকেই, এ চেতনা তো আমাদের ভূখণ্ডের আদি মহাকাব্যে, লোকগাথায়! এ চেতনাতেই বলীয়ান অভিমন্যু মৃত্যুর আগে দুর্যোধনের দিকে তাকিয়ে পূর্ণ হৃদয়ে প্রণাম জানান তাঁকে, এ চেতনার কারণেই যুদ্ধের আগের পুজোয় রামের পুরোহিত হন স্বয়ং রাবণ! নিজেকে ভাঙতে ভাঙতে আত্মার পরিশুদ্ধি, আগুনের কবিরূপ!
"এখনো অনেক ভাঙা বাকি, তুমিও তো আমার সঙ্গে যাবে নন্দিনী, প্রলয়পথে আমার দীপশিখা?"

রাজার কথা বারবার এসে পড়ছে কারণ, রাজার ক্ষমতা থাকা সত্বেও তাঁর ভয়! হারিয়ে ফেলার, একা রয়ে যাওয়ার, অসফল হয়ে থাকার ভয়! এ ভয় একান্ত নিজের, একান্ত ব্যক্তিগত। উনিও চেয়েছিলেন অন্তরে প্রবেশ করতে, তবে তা আগুনে নয়, শুদ্ধিতে নয়, খুঁড়ে, বলপ্রয়োগ করে, দখল নিয়ে, ক্ষতি করে!
বহুবছর পরে, প্রথমবার হাতে তুলে নিই 'রক্তকরবী', পড়তে পড়তে থমকাতে হয়, ভুলে যেতে হয়, আবার পড়তে হয়, বুঝতে পারি এ সকল চরিত্র আমার ভেতরেই কোথাও রয়েছে, সবাই, এমনকি নন্দিনীও! একজন মানুষেরই হাজার রূপ ফুটে ওঠে চোখের ওপর! রাজাকে সুযোগ দিলে তিনি হয়ত রঞ্জন, বিশু হয়ত রঞ্জন, রঞ্জন বুঝি কিশোর, সর্দার হয়ত বিশু হয়ে উঠবেন; এদিকে ফাগুলাল আর অধ্যাপক আলাদা কোথায়! যতরকম ভাবে এতদিন ধরে ধরা দিয়েছে রক্তকরবী, হঠাৎই  যেন তাদের দ্বন্দ্ব ঘুচে সমস্ত রূপ, বৈশিষ্ট্য নিয়ে প্রকাশিত হয়, আর তার বুকের ঠিক মাঝখানটাতে দীর্ঘ দীপের মত প্রাণের চিহ্ন নিয়ে জ্বলতে থাকে নন্দিনী!

গত মাসে অর্থাৎ, মার্চ, ২০২৪ এ Event Horizon Telescope(ETH) এ ধরা পড়েছে আমাদের আকাশগঙ্গার কেন্দ্রে উপস্থিত কৃষ্ণগহ্বর Sagittarius এর নতুন এক ছবি, তাতে যে jet বা energetic cosmic beam দেখা গেছে, কৃষ্ণগহ্বর থেকে তার দূরত্ব হচ্ছে ৫০০০ আলোকবর্ষ। অর্থাৎ, মোটামুটিভাবে এটা বলা যায় আমরা যার আলোয় আলোকিত দশায় সেই কৃষ্ণগহ্বরটিকে এই বছরে দেখতে পেলাম সে ওখানে আলো দিয়েছিল বা দিতে চেয়েছিল ৫০০০ বছর আগে! আমার জন্মের ৭৪ বছর আগে রক্তকরবী লেখা হয়েছে, আমার মৃত্যুর ৭৪ বছর পরেও এ নাটকটি আলো দেবে। সেই আলোতে নিজেদের তুলে এনে শুধু দেখার চেষ্টাটুকু করা। 

এই প্রায় শেষে এসে, একটা ছোট্ট স্বীকারোক্তির দায় এড়িয়ে যেতে পারছি না কিছুতেই, কৈফিয়ত হিসেবেও বলা যেতে পারে, এই লেখাটা আলোচনা বা প্রবন্ধের স্বাভাবিক রূপ না মেনে চলেছে কেন? কেন এর আকার ব্যক্তিগত গদ্যের মতন? তার অনেকগুলো সঙ্গত কারণ আছে। 
প্রথমত, রক্তকরবী নিয়ে এত ভীষণ আলোচনা হয়েছে গত একশ' বছরে এবং এত দিকপাল মানুষেরা এই নাটকখানিকে ছুঁয়েছেন যে সেখানে আমার মন্তব্য করা অপ্রাসঙ্গিক আর স্পর্ধা ছাড়া কিছু নয়, এবং ঠাকুরকে নিয়ে প্রবন্ধ বা আলোচনা করার ক্ষমতা বা ইচ্ছে কোনোটাই আমার নেই। তাই এই কৈফিয়তটুকু। 
দ্বিতীয়ত, এই নাটকটিকে বুঝতে চেয়ে আর রাজা সাজতে চাইনা। যে বাঁধন ঘুচেছে, স্বেচ্ছায় তাকে হাতে তুলে নিতে আমি অসমর্থ। এটুকু তাই না বললেই নয়। 

যাই হোক, যেই কথাটা একটু আগেই উল্লেখ করেছি, যে, সমস্ত চরিত্র আসলে একটিই চরিত্র বলে মনে হয়েছে, তাদের মধ্যে পার্থক্য দেখতে পাচ্ছি না অন্তত এই সময় অবধি, সেই বিশ্বাসটা, যতগুলো দিন অতিক্রান্ত হচ্ছে ততটাই আরও পোক্ত হয়ে বসছে ভেতরে। সপক্ষে যুক্তি খুঁজে পাচ্ছি, কথা খুঁজে পাচ্ছি। গুরুদেবের নিজের কথাই সবচেয়ে বেশি শক্তি জোগাচ্ছে অনবরত,
"আমার মধ্যে যে দুটি প্রাণী আছে, আমি এবং আমার অন্তঃপুরবাসী আত্মা, এই দুটিতে মিলে সমস্ত ঘরটি দখল ক'রে বসে থাকি-এই দৃশ্যের মধ্যগত সমস্ত পশুপক্ষী প্রাণী আমাদের দু'জনের অন্তর্গত হয়ে যায়।" 

শেষে একটাই কথা বলি, ২০১০ আমার জীবনে ভীষণ ঘটনাবহুল একটি বছর, আমায় যিনি পরিচয় করিয়েছিলেন গল্পের সঙ্গে, আমার ঠাকুর্দা, তাঁর মৃত্যুর বছর, সেই সময়েই রক্তকরবীর সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয়! রক্তকরবীর প্রসঙ্গ এলে তাই ওটুকু মনে পড়েই, মনে পড়েই গ্রীষ্মের দুপুরে হঠাৎ একা হয়ে যাওয়া, মনে পড়েই এক চরিত্রের বহুবছর ধরে বেঁচে থেকে যাওয়া। এ নাটকটা রবীন্দ্রনাথের নিজের মতনই ভীষণরকম ব্যক্তিগত, আমার কাছে, যেমন আমার আর পাঁচটা বিশ্বাস। এ নাটকটা জীবিত, এর অস্তিত্ব ছুঁয়ে থাকে সেই সমস্ত মানুষকে যাঁদের সঙ্কট মুহূর্ত উপস্থিত, তাঁদের এ নাটকখানি ছুঁয়ে থাকতে চায়, বুঝি সান্নিধ্য আর উপকারটুকু দেবে বলে আর তাঁদের দুঃখী, জীর্ণ অবস্থাগুলো জড়িয়ে ধরবে বলে! অন্ধকারে হাত বাড়িয়ে বসে থাকে রক্তকরবী, অহং, খেদ, লোভ, ঈর্ষা বেড়ে উঠে এলেই, সে নিজেকে জ্বালিয়ে আত্মপ্রকাশ ঘটাবে বলে। সে ডাকে:

"তোমায় গান শোনাব তাই তো আমায় জাগিয়ে রাখ
ওগো ঘুম ভাঙানিয়া!
বুকে চমক দিয়ে তাই তো ডাক
ওগো দুখজাগানিয়া!
এল আঁধার ঘিরে,
পাখি এল নীড়ে,
তরী এল তীরে,
শুধু আমার হিয়া বিরাম পায় নাকো
ওগো দুখজাগানিয়া!"

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন