ক্লেদ
সর্বনাশের দাঁত না থাকলেও কিন্ত মাড়িতেই সব কিছু ভেঙে ফেলে।
আমরা অনুমান করি, ওর তোবরানো গাল, ফোকলা মুখ।
কিন্তু ওর ভক্ষণক্ষমতা এত বেশি যে
কখনো -কখনো ও পাহাড় ও গিলে ফেলে, বা মহাসাগরের সমস্ত জল গন্ডুসে পান করে নিতে পারে।
প্রকৃতি কি ওর আবাল্য বন্ধু? নাকি বরাত?
পঙ্গু মানুষের মরাকান্না হাত -পা ছড়িয়ে আবহাওয়াও বদলায় না, পাখি, পিঁপড়ে পায়। তার সতর্ক হয়।
মানুষ পারে না.. কান্নাই সম্বল
কিন্ত মানুষের ওই কান্না ও দীর্ঘস্থায়ী হয় না।
মৃত্যুতে
আলেক্সন্ড্রিযার লাইব্রেরি আবার পুড়ে গেল।
বহুদিন পর,
এর মধ্যেও পুড়েছে বারংবার।
অনেকবার মাটির তলাতেও মিশে গেছে,
টাওয়ার অফ সাইলেন্স..
সেবার তো ক্যালিফ ভেঙেছিল
এবার যে ভাঙলো তাকে দেখা গেল না
দাদু নেই..
হটাৎ করে আলেক্সন্দ্রিযার লাইব্রেরী টাও নেই।
আবার নেই..
বইগুলো যত্নে তোলা আছে, তবে আলেক্সন্ড্রিযার লাইব্রেরী পুড়ে যাচ্ছে..
নিয়তি
হেমন্তের পড়ে থাকা বিকেলঘরে
মেঝেতে খড়ির টান অপ্রকৃতস্থ
হিজিবিজি কাটে তাহের মোল্লা
মুহূর্তে মুছে দিলে পাল্টে যায়
বাদশা গোলামের নিয়তি,
পৃথিবী জুড়ে শ্রেণী বিপ্লবের ধারালো হাওয়া
আঁচড় কাটে মখমলি ক্রিমসন দেওয়ালে।
ডুবে গেল পশ্চিমী সূর্যের বৈভব
জন অরণ্যে সান্দ্র অন্ধকারে
টর্চের আলোয় সুখের কণা খুঁজে চলার নেশা
আয়ু রেখা ধরে তাড়িয়ে বেড়ায়