স্বস্তির গল্প
১)
আবার দৃশ্যপটে
হারানো এক বিজ্ঞপ্তি:
ব্যর্থ এক অভ্যুত্থানের গল্প।
২)
যা কিছু যারপরনাই স্বস্তির-
প্রতিক্ষণ তাতেই জাগে
রাজ্যের বিতৃষ্ণা!
বিমূর্ত এক কবিতা যখন
দৃশ্য হয়ে সামনে এসে দাঁড়ায়,
বিলুপ্ত পংক্তির গায়ে তখন
সংলাপের প্রাণহীন প্রলেপ,
ফিরে আসার পুরস্কার শুধু;
অমূল্য সব স্বর্গীয় মুখ ঢাকানোর বিজ্ঞাপন।
৩)
একঘেঁয়ে এইসব স্রোত
জীবনের গায়ে আছড়ে পড়ে-
হয়ে যায় একেকটা নিদারুন অভ্যেস।
শত সহস্র তীরে প্রতিদিন
বিদ্ধ হওয়াই অমোঘ নিয়তি-
এ ভাবনার ঊষর জমিতে জন্মে
শাস্ত্রীয় যত আগাছা!
৪)
দর্শনের স্থলে
পরাবাস্তব যত অভিজ্ঞতা,
স্বস্তির মত নিরীহ দেখতে কিছু
বিস্মৃতির ইতিহাস খুঁজে বের করতে হয়!
কাব্যির প্রতি
১)
রোজ ভাসি;
আকন্ঠ গিলে,
ডুবে মরছি।
২)
ক্ষয়ে যাওয়া মাংসপিণ্ড-
চিতা কাঠে শুয়ে;
মৃত সেজে প্রতিবেশী।
৩)
এই বুঝি শেষ;
জানিনা কখন থেকে তুমি,
কালবেলা, অনিকেত সময়,
অনিমেষ।
৪)
ক্রন্দনরতা জননী ইতিহাসে,
বিপ্লব সকলেরই প্রিয়;
দূরে-
প্রবাসে।
ভোটের গান
১)
অসঙ্গতের মৃত্যুর মতো নিশ্চুপে, স্বার্থ চরিতার্থ করতে দাঁড়ালেন;
চমকে উঠলাম:
গনতন্ত্রের বুকে, শিরদাঁড়া ভেঙ্গেছে।
এও সম্ভব?
নিঃসঙ্কোচে চোখের তারা জ্বালিয়ে,
অন্ধকারে মুখ খানি দেখি।
২)
কাকে কাছাকাছি চাওয়া;
সবার সুখের জন্য- অসাধারণ সাধনা:
বিস্মিত, কোমল অভর্থ্যনা ও
বাউন্ডুলের প্রশ্রয়।
৩)
ওষ্ঠকোণে উপচে পড়ছে গ্রীষ্মের পাগলী রোদ-
স্মৃতির ডালায় পূর্ণাঙ্গ যৌবনের হৃদ;
নেই কূল, নেই পরিমিতি-
আছো তুমি, মুক্তি ও বিপ্লব,
আর আছে-
সর্বকালের বিশ্বজোড়া পাঠশালা-
অনুশোচনা আর শুধু স্মৃতি-বিবৃতি।
বাঁচার জন্য
১)
দেখা-সাক্ষাৎ হলো না, নন্দীগ্রাম, ভাঙ্গর, সিঙ্গুর।
কয়েকটি সকাল ও খাসখবর;
প্রিয় প্রার্থীর নির্বাচনায় নালিশ গুচ্ছ।
২)
এমন অভিমানে;
বরাবরই আদর্শ ও শ্রম-
যা আজ নয় মঞ্জুর।
বিজ্ঞাপনের মূল্য আছে,
আর বিজ্ঞাপনে নেতার ঘরে টাকা,
সোনার ডিম।
৩)
টলিপাড়ার ভিড়ে,
জনসাধারণ বড়ো একা আজ-
বিলি কাটতে থাকে,
বিকেল:ব্যালকনিময়।
রুশ সাহিত্যের মতোন-
সে আসতেই পারে।
৪)
সে'জন-
নতুন, নচ্ছার;
ভীষণ অস্বস্তিকর নিয়ম ভাঙার নিয়মাবলী-
যার সাথে দেখাশোনা একান্তই ব্যক্তিগত ও ছায়াময়।