চক্র
আমরা বারবার দেহ পাল্টাই,
তিতবেগুন আমাদের
আটকায় শরীর দাহ করার থেকে,
আমাদের হাঁড়ি কড়া
আঙিনায় এক কোণে পড়ে থাকে,
শুশুনিয়া থেকে স্বতন্ত্র হাওয়া এসে
চিবুক ছুঁয়ে দেয়,আমাদের আরো
ছত্রভঙ্গ করে সন্ধ্যাছায়ার স্পষ্ট ফিসফিস,
গড়ের মাঠ থেকে বাঁশির শব্দ আসে,
সাইকেলটা সাক্ষী থাকে ডাঁই করা
মানুষের ভগ্নাংশের,
রাখালের চোখে বিদ্রোহ,রং-মশাল, আলো
আঁধারির দুর্গ ব্যভিচারী প্রেমের পূর্ণগ্রাস
নিয়ে পাথরের চাঁই হয়ে যায় ।।
ঐকান্তিকতা
উদার বড় বড় গাছের ফাঁকে
লতাগুল্মের জঙ্গলের চাদর
সাদা জোব্বা পরিহিত
শুভ্র মানুষটা দু'হাত তুলে
মধ্যাহ্নের ঈশ্বরের কাছে
সৌরজগতের রহস্য উন্মোচন
করবার দাবি নিয়ে
শুধু নক্ষত্রগ্রহণ দেখে যায়
তার চালাঘরে দিনের বেলায়ও
প্রদীপ জ্বলে ঐকান্তিকতার ।।
