আমজনতার দুঃখবিলাস
কার কী ক্ষতি, আমার পাশে থাকলে তুমি
উর্বরতার ঢেউ খেলে যায়; প্রেমের ভূমি
আবাদ করে উন্নয়নে শরীক হতে আপত্তি নেই;
দেশ জনতার আসল শোভন প্রেমের অভাব
প্রতিহিংসা ঘিরেই থাকে, দোষ বিরাগে দুঃখ দেয়ার স্বভাব
বলেই লেগে থাকে সংকট বারোমাস;
সমাধানের পথ খোঁজে না, আমজনতার মন বোঝে না
দেশ-চালিকার আসল পুরুষ- আসল হতে আর পারে না;
চোখ দেখে না চোখের ভেতর, জমছে কেবল পাপের কেঁতর
মুছতে কেউ আর আসে না, দেখছে সবাই, বলতে মানা;
তাই হয়তো আর আসে না, কেউ আসে না, দেখতে এসব কালোছায়া
বুকের ভেতর জমছে কেবল আমজনতার দুখের মায়া;
দূরীভূত করার দায়ে আসতে গিয়ে আর আসে না
আমজনতার সঙ্গী হতে আর পারে না;
দুঃখ সকল জমেই থাকছে, থাক
তোমার আমার প্রেমের ভূমি আবাদ হলে
আমরা দু'জন ঐকতানে শেকল ভাঙার আবাহনে গাইবো বলে
আমজনতা স্বস্তি পাচ্ছে, পাক
উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এভাবেই অব্যাহত থাক।
চুক্তিপত্র
কেউ মরে না, পৃথিবীতে চিরদিন যদি
কারো মাথার কাছে দাঁড়িয়ে থাকে আজরাইল
শিথানে ডালিমের রস, দু'চামুচ কুসুম গরম জলে
কারো বেজে ওঠে ভাঙা-ভাঙা বিয়োগের বিষাদ ব্যথা
কেউবা দরাজ গলায় পাঠ করে ইয়াসিন সূরা;
তখন আর কে আছে মৃত্যুর পরোয়ানা অমান্য করে
তার আর থাকে না মরার ভয়, জীবনে সে হয়ে গেলে লাশ
পৃথিবীর প্রেমসব বেহাত বিপ্লবে পরিণত হয়।
বিদ্রোহী প্রেম তার হয়ে যায় ঠিকঠাক লজ্জাবতী গাছের মতো।
চির চঞ্চলা যৌবনা উচ্ছল হাসি তার নুয়ে পড়ে চুয়ে চুয়ে
বাদল দিনের মতো মাটির প্রেমের কাছে বৃষ্টির প্রস্তাবিত বাজেটের মিল;
কে আছে উত্থাপন করবে নতুন বাজেটের রঙ ও রেখা
যেখানে মিলিত হওয়ার অদৃশ্য প্রয়াস থাকে নিখিল ভারতের হিশেবশাখা
আর কিছু মেহনতি মজলুম মানুষের জীবন মৃত্যুর চুক্তিপত্র।
