দোঁহা

নীলম সামন্তের কবিতা

 

 

মৌসুমি বায়ু আছড়ে পড়ার পর

 মৌসুমি বায়ু আছড়ে পড়ার পর 
কোন খানাতল্লাশির প্রয়োজন পড়ে না৷ 
তার বিশাল আকারের পাঞ্জা
ধারালো জিভ 
লবনাক্ত লালারসে কোন কিছু ঠান্ডা করার আগেই 
পুড়িয়ে ছারখার করে দেয় আভ্যন্তরীণ স্পন্দন।

তারপর—
কোন একদিন আবহাওয়া অধিদপ্তরের গাফিলতির কারণে 
খবরে প্রকাশ পেল না ভারীবর্ষণের খবর
এদিকে সামান্য সিগারেটের টানে 
বর্ষা উদযাপন ক্রমশ অপরাহ্নের দিকে... 

আবার মাঝরাত 
ভেসে যাচ্ছে দাতব্যখানার দালান।
জলের রঙ লাল, 
জলের রঙ - চোখ, ঠোঁট, কোমর ও অন্ধকার। 

খবরওয়ালা ছুটে আসছে 
কত কত অটোরিকশা, সমাজের ক্যামেরা 
ফল ফুল ডুবে যাচ্ছে নির্লজের জলে।


পাত্র ও অপাত্রে উৎসর্গ

'শাওন গগনে ঘোর ঘনঘটা'... 
গাইতে গাইতে হঠাৎ সুর বদলে চলে গেলাম 
'বসন্তের এই মাতাল সমিরণে'-এ। 

হুড়হুড়িয়ে জল ঢালছি মাথায়,
আর বন্যায় ভেসে যাচ্ছে হাত, পা, জামা কাপড়।
আমরা কখনও দুর্যোধনের তপস্যা করি না —
সে নৌকা বাইতে জানে না। 
অথচ বৈঠার ওপর প্রজাপতির মিছিল সম্পন্ন হলে 
পতঙ্গবিশারদদের অপেক্ষা করি। 

অপেক্ষা আর তপস্যা এক নয়। 
যারা তপস্যা করতে জানে বানভাসি হবার আগে পর্যন্ত 
প্রীতি-সম্ভাষণ উপেক্ষা করে
ছাতা বিলি করে— 
প্রদর্শনীতে নিয়ে আসে কলার ভেলা কিংবা ব্যানানা বোট। 

কিছু উচ্ছিষ্ট তো থাকেই যারা বিলি হবে জেনেও 
স্রোতে গা ভাসায়, 
আবার বহুরূপী বেশে এক চুমুক মধুপর্কও খায়। 

তাদের উদ্দেশ্যেও একখানি গান আর নৌকাডুবি শ্রীকৃষ্ণকীর্তন উৎসর্গ করলাম। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন