দোঁহা

দেবব্রত রায়ের কবিতা

 


 ওসব মায়াজাল-টাল কিস্যু নয়

ওসব মায়াজাল-টাল কিস্যু নয়, পৃথিবীটা 
শুধুমাত্র, ধর্ষণের রাত এবং রাতের দখল
নিয়ে ঘুরছে, এটাই বিষয়  

জীবন বাজি রেখে কখনো কখনো ৯ আগস্ট, 
এই-সব আহ্ণিকগতির বিরুদ্ধে যাঁরা রুখে 
দাঁড়ায় তাঁদের শরীর থেকে নক্ষত্রের আলো
ছড়িয়ে পড়ে 

যদিও 

হিরোশিমা নাগাসাকি এবং কুরুক্ষেত্র থামানো যায়নি

মাঝরাতে অপেক্ষার-সকাল এনে দেওয়া কলরবই জানে, কীভাবে রাতের পৃথিবী নিজেদের দখলে নিতে হয়

উনোন থেকে জ্বালানি বের করে নিলে ব্রহ্মাণ্ড ছারখার করে দেওয়া আঁচও নিভু-নিভু হয়ে আসে
এবং 
এলোমেলো করে দে মা, লুটেপুটে খাইয়ের সংসারে গোল আলুটিও জানতে চায়, পৃথিবী মঙ্গল বুধ থেকে নেপচুন এমনকী, সূর্যটাও গোল অথচ, তাদেরই কেন গিলোটিনের নীচে এসে  দাঁড়াতে হয়

আসলে কখনো-কখনো একটা গনগনে মেরুদণ্ড ভীষণ দরকার হয়ে পড়ে, যা কিনা 
অন্তত, একবারও সমস্ত গড়িয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে একটা পাহাড় হয়ে দাঁড়ায়  



পুট

ছক্কা পাঞ্জা নিদেনপক্ষে চৌকার অ্যাসেম্বলিতে একটা পুট একেবারেই উষ্কখুষ্ক, হাভাতে 

যাদের হাওয়া-ভর্তি মুঠোও চিচিংফাঁক করলে শুধু সিঁড়িই-সিঁড়ি, তাদের মাথায় শকুনির হাত ঝরে পড়ে 
ফলে সিঁড়ি এবং সাপের বৈষম্য ধৃতরাষ্ট্র-স্নেহ:বাঁকুড়ার কাঁকুরে মাটি
 
না-মচকিয়ে, ভাঙার রেফারেন্সের কৃষ্ণ অর্জুন  ভীম কেউই নয়, তারা ভয় পায় একটা পীঠ ঠেকে যাওয়া দেয়ালকে

সাপলুডুজুড়ে চন্দ্রবোড়া খড়িশ কেউটের রি-ইউনিয়নে ছোট, মাঝারি এবং রাবণের সিঁড়িগুলো উইদাউট অ্যান্টিভেনমেই যেন, ১ টাকায়  ছ-কোটি

ধৃতরাষ্ট্রের কোলের ভাগডাঙগুলোও ৯৯ এ পৌঁছোলে, একটা পুটের মুখে এসে দাঁড়ায়

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন