দোঁহা

রাজেশ গঙ্গোপাধ্যায়ের কবিতা

  


আলো, আলোর, আলোরা


১.

রাগ, দ্বেষ, ধ্বংসের অন্ধকারে অরণ্য ঘনিয়ে এলে

শিরদাঁড়া বেঁকে যায়, দু হাতও পা হয়ে ওঠে

ত্বকের ওপর রোম পুরু হতে হতে মুছে আসে স্মৃতি

জন্মের ঋণ ভুলে শত্রু ভেবে নেওয়া যোনি

বধ্য হয়ে উঠলে তুমি আনন্দে উচ্ছ্বসিত হও

ভেবে নাও হাতছানি ঈশ্বরের বিপরীতে অমোঘ হয়েছে

এভাবে যে চূর্ণ হয়ে বিলীন হয়েছ অবিরাম ক্ষয়ে

এভাবে যে অস্তিত্বের সংকটে তুমিও, ভেবে দেখেছ কি?

শেষ হয়ে আসা অন্ধকারে আলো জ্বলে ওঠে

নিরীহ প্রাণের ভিড় অনন্ত মিছিলে, অগ্নিময় রাত দিন

দীপাবলি এসেছে আগেই...


২.

অনিবার্য রাত্রিই চালিত করেছে ঘুরে দাঁড়াতে এবার

মার খেতে খেতেও উঠে দাঁড়ায় প্রতিরোধ স্পৃহা, ওরা ভয় পায়

অন্ধকার থেকে শুরু আলোর গল্পগুলোয় প্রতিষেধক দ্রোহ

অবরোহ থেকে ফিরে তাকানোর নামই আরোহ

ভিড় করে আসা সকলের জন্য কি একটি বুলেট বরাদ্দ?

রক্তচক্ষু, এক কোপ, ভুল প্রতিরক্ষা নীতি -

যে মুহূর্তে ভয় পেতে পেতে ক্ষমতা বাড়ন্ত হবে

সেই ব্রাহ্মক্ষণে ধেয়ে আসবে আলোয় ভরা তেজ

আলোরও জ্বলনবিন্দু আগুন ধরায় জুতসই

আমাদের দীপাবলি তিথি বহির্ভূত...

1 মন্তব্যসমূহ

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন