দোঁহা

শাহ্ মাহফুজুর রাহমানের কবিতা

 


৩৯

(স্নানরতা) ফুল হও, বেবাক সমুদ্র 
কিংবা 
বিচ্ছিরি বিষবাণ 
                         তৃষিতের...

খড়ি দিয়ে লিখো- 'তোমার বিরক্তি ভাল্ লাগে।'

সূর্যের অপরিষ্কার ত্বকে 
বীর্যবান 
পুরুষের ক্ষোভ। কর্ণাস্ত্র।

কালা-বোবা অর্থবোধক হাসে!

নিয়মগুলো
সাংবিধানিক বেঞ্চেই বানানো। কড়া প্রহরায়।

কীন্নরগানে-সঞ্চয়িতা ভিজে...

তটিনী ঘেরাও পর্বে 
ভোর; তার 
শীতাতপ মদ ঝরে পড়ে...


রূপনারানের কূলে 

আঁখি বিড়ম্বনা থেকে 
ফলতঃ জন্ম নিল
হাসি ও আকাশী কালার বোধন...

অলস সান্নিধ্যে দুকূল হারালো না, ময়লা পা-জামা

ফিরিঙ্গি পাখির রাগে সফেদ হলো সময়।

ঘড়ির
(দূরারোগ্য)
'টিকটক' রপ্ত করলো-ছায়াচিল, ভান-মানুষের দল...

আমরা শুধু ভুল বোতলই খুঁজি

অলিখিত বিয়োগ ও বিলুপ্তির বিল জমার খাতায় আক্রান্ত পড়ে থাকে

(ঘাড়ত্যাড়া অন্ধকারে, ঘাসে)
অবশেষে
প্রতিতুলনা থেকে সরে আসে মানুষ!

ঘাড়ত্যাড়া অন্ধকারে, ঘাসে
চলে 
স্বমেহন। একান্ত জাহান্নমবিষয়ক পিরিতচর্চা।

এবং 
রূপনারানের কূলে নগ্ন হয়ে বসে থাকি আমি...


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন