আরোগ্যের ত্রাণ
কাগজের পাখি মনে মনে উড়িয়ে ছিলাম সেই
মাঠের কিনারে দেখি অঘ্রাণের শীত বসে আছে।
প্রাদেশিক শ্বাসে খুঁজেছি সমবেত খুশির খেই,
পরিকল্পিত মাছরাঙা ঝাঁপিয়ে পড়ে তার মাছে।
আজো রেকাবিতে সময় সেই হৃদয়ের পাঠক,
উচ্ছ্বসিত শিশির থেকে ছিটকে আসা আলো চায়।
বাঁশের মাচা জুড়ে আলো যেন সে ঝিকিমিকি বক
উড়ন্ত দৃশ্যে বহু রঙ হয়ে চোখে মুখে ছড়ায়।
সভা জুড়ে বিচ্ছুরিত হয় সেই হৃদয় দুহিতা,
প্রকটিত তিরের মতো শব্দের ফলা পৌরাণিক ।
মেহফিলে এক হয়ে রাম রহিম সাবিনা সীতা...
মঞ্চের মাহাত্ম্যে সব মন এক হয়ে যায় ঠিক।
বিভেদের সীমানা মুছে দেয় যে জলসার গান,
সেই শব্দের কাছে মানুষ পায় আরোগ্যের ত্রাণ।
লীলাক্ষেত্র নর্তকী
চ্যুত পাতাটির মতো নর্তকীর পড়ে আসে বেলা,
বালির প্রহরে চিকচিক করে প্রকৃতির কাম।
বাতাস তার শীতাতুর করোটিতে রেখেছে খেলা,
ভাঙা নিয়তির প্রতি ঘৃণা রেখেছে তার প্রনাম।
রাত মাতোয়ারা তার চুরমার চুড়ির কিনারে,
বাতিল ইচ্ছে ঘষে জ্বলে ওঠে দূরগামী সব শোক।
ক্ষত-জ্ঞানে উচ্ছ্বাস কোনোদিন ঔষধি হতে পারে?
হৃদয়ের তটে ভস্মীভূত উড়ে যায় চন্ডাশোক।
অগোচরে তার দাউদাউ কাঁপে জৈবিক বিনুনি,
তার দেহের লীলা ছেড়ে ক্ষোভ উড়ে যায় প্রান্তরে।
পীড়নের সংসারে তার নিরাময় অধরা শুনি,
তার নারাজ ঘিরে রাখা আছে চিৎ ভালুকের জ্বরে।
বিষাদ উজ্জ্বল করে রাখা আছে গ্রাম্য জলসায়,
টাকার বিনিময়ে চির দারিদ্র্য দিব্যি নেচে যায়।
জলসার গোঁসাই
এত আলো, এত রোশনাই দৃষ্টির বিভ্রম আনে,
স্থির জোনাকিরা গড়িয়ে নামে স্বগত পাটাতনে।
বীতরাগ অশ্রু ছুঁয়ে সেই নক্ষত্র নাবিক জানে--
জৈব আলোর জীবগুলি সব ঘুমিয়ে আছে বনে।
স্থিরতা এক বৈরাগ্য---, মানুষের বিপরীতে রাখা,
আলোর চিৎকারে ঘুম ভেঙে গুম সব পতঙ্গেরা,
জলসার হুল্লোড়ে কম্পিত হয় বাতাসের পাখা,
থিতু শূন্যে নির্জন হয়ে পৃথিবীর হয় না ফেরা!
স্থানিক রাতের কানে মরে যায় বোবা ফিসফিস,
দূরের উপেক্ষায় হারিয়ে যায় নিশাচর আয়ু।
আত্ম-উপভোগে মত্ত পানীয় রাতের মজলিস
কবে ভেবেছে তার দ্বারা পীড়নে থাকে কার স্নায়ু?
জলসার আলো স্মৃতির ভাঁজে আনে কি বনসাই?
হিতাহিত জ্ঞানে সব প্রেম হোক উন্মাদ গোঁসাই।
কাগজের পাখি মনে মনে উড়িয়ে ছিলাম সেই
মাঠের কিনারে দেখি অঘ্রাণের শীত বসে আছে।
প্রাদেশিক শ্বাসে খুঁজেছি সমবেত খুশির খেই,
পরিকল্পিত মাছরাঙা ঝাঁপিয়ে পড়ে তার মাছে।
আজো রেকাবিতে সময় সেই হৃদয়ের পাঠক,
উচ্ছ্বসিত শিশির থেকে ছিটকে আসা আলো চায়।
বাঁশের মাচা জুড়ে আলো যেন সে ঝিকিমিকি বক
উড়ন্ত দৃশ্যে বহু রঙ হয়ে চোখে মুখে ছড়ায়।
সভা জুড়ে বিচ্ছুরিত হয় সেই হৃদয় দুহিতা,
প্রকটিত তিরের মতো শব্দের ফলা পৌরাণিক ।
মেহফিলে এক হয়ে রাম রহিম সাবিনা সীতা...
মঞ্চের মাহাত্ম্যে সব মন এক হয়ে যায় ঠিক।
বিভেদের সীমানা মুছে দেয় যে জলসার গান,
সেই শব্দের কাছে মানুষ পায় আরোগ্যের ত্রাণ।
লীলাক্ষেত্র নর্তকী
চ্যুত পাতাটির মতো নর্তকীর পড়ে আসে বেলা,
বালির প্রহরে চিকচিক করে প্রকৃতির কাম।
বাতাস তার শীতাতুর করোটিতে রেখেছে খেলা,
ভাঙা নিয়তির প্রতি ঘৃণা রেখেছে তার প্রনাম।
রাত মাতোয়ারা তার চুরমার চুড়ির কিনারে,
বাতিল ইচ্ছে ঘষে জ্বলে ওঠে দূরগামী সব শোক।
ক্ষত-জ্ঞানে উচ্ছ্বাস কোনোদিন ঔষধি হতে পারে?
হৃদয়ের তটে ভস্মীভূত উড়ে যায় চন্ডাশোক।
অগোচরে তার দাউদাউ কাঁপে জৈবিক বিনুনি,
তার দেহের লীলা ছেড়ে ক্ষোভ উড়ে যায় প্রান্তরে।
পীড়নের সংসারে তার নিরাময় অধরা শুনি,
তার নারাজ ঘিরে রাখা আছে চিৎ ভালুকের জ্বরে।
বিষাদ উজ্জ্বল করে রাখা আছে গ্রাম্য জলসায়,
টাকার বিনিময়ে চির দারিদ্র্য দিব্যি নেচে যায়।
জলসার গোঁসাই
এত আলো, এত রোশনাই দৃষ্টির বিভ্রম আনে,
স্থির জোনাকিরা গড়িয়ে নামে স্বগত পাটাতনে।
বীতরাগ অশ্রু ছুঁয়ে সেই নক্ষত্র নাবিক জানে--
জৈব আলোর জীবগুলি সব ঘুমিয়ে আছে বনে।
স্থিরতা এক বৈরাগ্য---, মানুষের বিপরীতে রাখা,
আলোর চিৎকারে ঘুম ভেঙে গুম সব পতঙ্গেরা,
জলসার হুল্লোড়ে কম্পিত হয় বাতাসের পাখা,
থিতু শূন্যে নির্জন হয়ে পৃথিবীর হয় না ফেরা!
স্থানিক রাতের কানে মরে যায় বোবা ফিসফিস,
দূরের উপেক্ষায় হারিয়ে যায় নিশাচর আয়ু।
আত্ম-উপভোগে মত্ত পানীয় রাতের মজলিস
কবে ভেবেছে তার দ্বারা পীড়নে থাকে কার স্নায়ু?
জলসার আলো স্মৃতির ভাঁজে আনে কি বনসাই?
হিতাহিত জ্ঞানে সব প্রেম হোক উন্মাদ গোঁসাই।