দোঁহা

কাজল রায়ের কবিতা

 


 কালান্তর সময়  
 
পূর্ব জন্ম জানার জন্য আমি মন্ত্র খুঁজি
মস্তিষ্কের একটা গ্ল্যান্ড খুলে গেলে
ভেসে ওঠে জীবন সরণি
কী ছিল সেই দৃশ্যে!
পাখি, গাছ, কৃষক নাকি নরাধম!
খুঁজতে খুঁজতে কৃত্তিবাস চলে গেলেন দেখি অরণ্যের পথে
রেখে গেলেন দু'কলম কালি
পরজন্মের দিকে সরে যাচ্ছে আমার দু'পায়ের মাটি
একটা টাইম জোন থেকে অন্যটায় ঘুরতে থাকে
আমার মন, মগজ, দেহ আর কালান্তর সময়



শেষ অধ্যায়
 
একটু একটু করে হেরে যাই
বোগেনভিলিয়া গাছটি নিচু হয়ে আমাকে খোঁজে
জেতার ইচ্ছে বড় বেয়াদব জিঘাংসা
চাঁদের কোনও অহংকার নেই
সবারই মাথায় সে জেতার মুকুট নিয়ে সুন্দরের প্রতীক
এক পা এক পা করে এগিয়ে আসছে শ্মশানের হাতছানি
চৈতি হারিয়ে গিয়ে জিতে গেছে শেষ ভিকট্রি ল্যাপ
যাওয়ার সময় বলে গেছে,
আশি লক্ষ যোনি থেকে আমাদের মনুষ্যজন্ম !
কী হবে হারাকিরি করে
কোথাও না কোথাও তো আগুনে জ্বলবেই নাভিকুন্ডলী
হিংসা স্তিমিত হয়ে নিভে যাবে শেষ অধ্যায়


 
হৃদপিন্ড জাগিয়ে রেখেছি 

গাছের হৃদপিন্ড ছুঁয়ে কথা রাখা হয় না আর
সমস্ত বল্কল খুলে গেছে আমাদের ছদ্মবেশী জীবনে
পাতারা ঝরে যায় নখ, দাঁত, চুলের মতন
ক্যানভাসে স্মৃতি ভাসে‌ ধূসর কুয়াশাময় নদীর রসায়ন
শিকড় চলে গেছে শুধু সুদূর জলের সন্ধানে
তৃষ্ণার্ত গাছের মত হৃদপিন্ড জাগিয়ে রেখেছি আজও
বৃক্ষেরা শিখিয়ে যায়
ক্ষমার কাছে জীবন কিভাবে বন্ধক রাখতে হয়









 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন