বদনাম চালিশা
কীভাবে কি করলে বদনাম হবে মহল্লায়… হে প্রভু
পাড়াটা চেনালে না কেউ যেখানে মৌচাকের ফুল –
আর কেউ এসে গড়িয়ে দিলে না সময়ের চাকা হে
আমি পড়তেও পাড়ি পড়াতেও পাড়ি লাল কিতাব
পৃথিবী ধ্বংস হবে বদনামের তাতে কী বাতাসে মরে
রাতের পর রাত রাতারাতি বদল হয় শোবার বাহানা
মৌচাক ফেলে রস গড়ালে মুখের রং বদলে ঘেন্না হয়
আজও কোনো সংবাদ এলো না…হে প্রভু শনির দশা
ভুল করে মানুষও ফুল তুলে আনে প্রখর রোদে ছুটে
ব্যারিকেডে লটকে থাকে বদনাম চালিশা…হে ঈশ্বর
বিকেলের আলনায়
বিকেলের আলনায় হাত দু'টো রেখে বাতাস খুঁজছো
শরীরের দেহে শিহরণ আলপনা মেখে তুমিও বিকেল
মৃদুল মৃদুল বলে আটকে পড়ে কবিতার শেষ পংক্তি
যেন একটা জাহাজ চলে যায় ভ্যাপুঁ বাজিয়ে এবেলা
অফুরান মধ্যবয়স ঘন কুয়াশায় ঢাকা হাইওয়ে যেমন
নাই-নাই করেও কুড়িয়ে নিলে শব্দের শব্দ নৈঃশব্দ্যে
কবির কলম থেমে আছে রাফখাতায় অমিল অক্ষরে
ঢাকঢোল যতই পেটাও সন্ধের শঙ্খধ্বনিতে উদাসমন
একান্তই আপন মানুষ খোঁজে দু'টো চোখ অনন্তকাল
বিকেলের আলনায় হাত রেখে খুঁজছো সত্য অনুভব
জলমাটি
মাটি ও জল একসঙ্গে রেখে বলি জলমাটি….
জল ও কাদা একসঙ্গে গুলে থাকে বলে কাদামাটি
ঝুরোঝুরো মাটির ঘ্রাণ নিয়ে আসে অন্যমাত্রা আবহ
তবুও কেউ তুলে নিয়ে রাখে না সুসজ্জিত বসার ঘরে
উঠোনের মাটি সারাদিন দেখে সাংসারিক উচ্চাভিলাস
রাতের অন্ধকারে ঘুম জড়িয়ে শোনে মানুষের আলাপ
স্বপ্ন ছেনে ছেনে কাঁচা পুতুল বানায় যুবক মানুষ এক
মাটির দেয়াল জুড়ে ওঠে রংবাহারি সংলাপ জীবনের
কাদাজল মেখে মানুষ নামে মানুষের রচিত সে-দৃশ্যে
এক এক করে বুঝে নেয় মাটি ও মানুষ কতটা আপন