দোঁহা

নিমাই জানার দুটি কবিতা

 



হে তাম্ররুপী পিতা মৃত্যুঞ্জয় অন্ধকারের অক্ষর পোড়াও

মহাযৌগিক শ্বেত রক্তের থেকেও আরো মারাত্মক বিভীষিকার রক্ত স্নায়ুর নীলাভ চুম্বকীয় সাঁড়াশির থেকেও আরো খর্বাকৃতি শৌচালয়ের স্নায়বিক মৎস্য শিকারির ন্যায় অতি চর্বিযুক্ত পিতার মতো বসে থেকে ধ্যানজ ক্ষুব্ধ মণ্ডলে সাত্ত্বিক ইকুয়েশন আঁকছে , অক্ষম বার্ধক্যের যৌবন ক্ষেত্রের মারিচ এসে নামে যজু বেদের মতো সাংখ্যমান রোমহর্ষক জঙ্গলে। পঞ্চম বেদের ৎ  খেলা করে সারা রাত , দাউদাউ খোলস পুড়ে যায় এ দেহ বিপরীত অনুতপ্ত তাম্রিসার অন্ধকারের অতৃপ্ত অক্ষরের নষ্ট পাতন শ্মশানের শব্দপুরে ছারখার হয়ে যায় ছাই ঋ কারের মৃতজ পুষ্টিকতন্ত্রে  , মৃতদেহ অঙ্গার হে পুতুলের অধীশ্বর নাবিক কাকে ধুয়ে ফেলো নদীর পরমাত্মিক ঢেউ কণিকার বিষাক্ত লোহিত বর্ণের অসাঙ্কেতিক তরঙ্গায়িত খরোষ্টি দাঁতের পৌরাণিক , শব্দ এক একটি নিম্নগামী শতরূপার মতো সম্মিলনে তৈরি করে রনজিৎ খোলসে , এসে নাচে সারারাত এই মহানগরীর প্রায়োপবেশন জায়গায় , ধ্বংস হয়ে যাবে ব্রহ্মা ও উন্মত্তপতির নর্তকী সংগীত নারী , সম্রাজ্ঞীর দেহ ধারণ করলে অতলে জ্বলে যাচ্ছে রজঃ সৃষ্টির একটি পূর্ণব্রহ্ম ঋতুপর্ণার হাড় ,  দেহটি শ্লোকের মতো বৃত্তাকার দেহটি পূর্ণ শ্লোকের মতো বিদ্যাধনুর্ধর বিদ্যা জ্বেলে রেখেছে একটি ঋকবেদের দেহে , দেহটাই অতৃপ্ত ভান্ডের আগুন , পূর্বের পুলস্ত্য ঋষির মতো অতন্দ্র প্রহরের আগুন জ্বললে মায়াবী কেতু এসে রক্তভর্তি শয়ন কক্ষে ফেলে যাবে একটি বিদ্যুৎ সৃষ্টির অনন্ত বজ্ররেখার আলজেব্রা , এসো শক্ত শব্দের ব্রহ্ম ও অক্ষর বিশিষ্ট অগ্নিশলাকা জ্বেলে জ্বেলে স্থুল শরীরের মাংস বেছে দাও শুকদেব তিনি ষষ্ঠ ও ১০ম অতন্দ্র প্রহরীর মিঠুন পুরুষ দেহে পৌরাণিক কথা শেখাচ্ছেন দেহযোগের মত পদ্মকোষ ও নাভিসংজাত সর্বনামকে , বারুদের সংঘাতে ও জ্বলছে নীল সরোবরের মহা মোহ অন্ধকার , তামাটে শরীরের ভেতরে আমিও মৈত্রী ঋষির মতো বসে থাকি ভাগবত পুরাণের কাছে , কে ওই বেদ পাঠ করছে বিদুরের অনতি দূরের ব্যাশাসনে বসে। হে কৌরব্য এই মহাস্থানে এসো নিষ্কাম তরঙ্গের মৃত্যু নিয়ে লাল রক্তের মতো জরাটিকে ধ্বংস করি আরো আরো ধ্বংস করি , সৃষ্টির কুণ্ডল বীজ ও রেখাঙ্কিত স্থাপত্যে নাগার্জুন সম্প্রসারিত হচ্ছেন আত্মার রক্তের চরক সংহিতা দিয়ে , তরঙ্গে তরঙ্গে সর্বনাশ সংক্রামক



নষ্ট চর্বির চুল্লি ও সিগমা বেদানার তেজস্ক্রিয় চিতা

ফাল্গুনী রায়ের মতো নষ্ট টেলিভিশনের আত্মার ভেতরে তিন ব্যালেরিনার অনন্য ধ্রুপদ সংগীত ছেড়ে হিজড়েদের প্রকাশিতব্য সরাইখানায় নীলসম্ভোগ দ্রাক্ষাদর্শের মৃদু তরঙ্গের সাঁই সাঁই প্রোটোনিক মহা কৌণিক এঁকে দিচ্ছে বিষধর নীল ক্রায়োলাইট পাথরের জান্নাত দেহের ভেতরে , তিনজন ফ্যান্টাস্টিক ওমেন পোর্ট্রেট ড্রেড ড্রিমারের মতো মৃদু সাইকেল চালিয়ে আলোক সম্প্রপাতের জন্মাষ্টমী দিচ্ছে আত্মার মতো অতিপ্রবৃদ্ধ কোন জলপ্রপাতের হরিণদের সংকেত নিয়ে , কখনো কখনো রাত্রিতেই জন্মনিয়ন্ত্রণের ঘোর আসলেই মৃত তান্ত্রিক ঋষি শৈলোশ্বরের ভাঁজ করা সেতুটি নামে জগন্ময় উন্মাদের মতো মহা ভৌগোলিক কফের ওষুধ খেয়ে কথা বলে। এই নিষিদ্ধ গণিকালয়ের হড়হড়ে সেতুরস পেরিয়ে একাকী দোষারোপ করে স্মৃতিভ্রংশ ঈশ্বরের চামড়ার গায়ের বাইরে ঝুলে থাকা যকৃতের মাংসকে  ,ঈশ্বরের গায়ে ও মাত্রাতিরিক্ত ভেদ বমির দাগ থাকে কে ওই মুন্ডহীন কঙ্কালরেখার মতো যক্ষ্মা রোগ আর মহামারী খুনের অনন্ত বিরোধ রেখে যায় অপরাধীদের প্রতি ,  গুণিতক রক্তের অতি শ্লীল মলয় রায়চৌধুরী নামক বেদানা তৈরীর নারকোটিক্স সার্জেনটি অতি বৈদ্যুতিক ছুতার নামক শস্যদানার ভেতরে মৌমাছির গন্ধর্ব পাখনা খুলে হৃদপিণ্ডের কুঠুরিতে ঢুকিয়ে দিচ্ছে অতি শুক্রাণু ভর্তি রক্ত তরলের সংকেতবিহীন ফল্গুধারার অনিদিষ্টকালীন ভগিরথ মৃতদেহের মতো আলখাল্লার বন্দরে নামে মায়াবী রাক্ষস কে ধরে ধরে,  কাঁচের টুকরো হয়ে জবানবন্দি রাখি স্নায়ুবীজ চাষ করি গ্রাফটিং জননের অতিলৌকিক বৃক্ষ ছেদনের রক্তাল্পতায় বেড়ে ওঠে মাংসাশী পুনমের চুল্লি, জিওল মাছেরা পৃথিবীর দরজা খুলে হাইড্রেনের পৃষ্ঠাগুলোকে হাই প্যারাবোলিক সঙ্গম শেখাচ্ছে  যদ্যপি ক্ষেত্রে
হে রক্ত স্থিতিস্থাপক গলগন্ডের অস্ত্রপ্রচার ঘর তিনবার মহা সঙ্গমে লুটে নাও আমার তলপেটে ঢেকে রাখা জাহাজের গুহ্য কথার বারকোড , কেউ কেউ পঞ্চভৌতিক কাব্য পড়ে ব্রহ্মাণ্ডের যজ্ঞালয়ে আধ্যাত্মিক খুনির চাষ করছে  , ঈ কার বক্ষবন্ধনীটি গোপন বন্ধরে যায় জিভের দাতব্য তাম্র রসের আগুন জ্বালিয়ে ।




 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

মোট পৃষ্ঠাদর্শন